রাজকন্যা কাঁদতে পারত না বলে সব সময় পাথর হয়ে ছিল। যে রাজার সাথেই তার বিয়ে হত, দুদিন বাদেই তাকে বাপের বাড়িতে ফেরত দিয়ে যেত।অথচ তার মনে দু:খের কালো মেঘ জমা হলেও সে কাঁদতে পারে না।
অনেক বছর পর তাকে বিয়ে করে এক চালের ব্যপারি।সেই দু:খে তার বুকের জমে থাকা পাথর গুড়োগুড়ো হয়ে গেল, কিন্ত ুসে কাঁদতে পারলো না। ব্যপারি সেই পাথরের গুড়ো চালে মিশিয়ে লাভ পাঁচগুণ করে ফেলল।কিন্তু পাথর ছিল লিমিটেড মাল। দু দিনেই শেষ। রাজকন্যা আবার বাপের বাড়িতে।
অনেক বছর পরে তাকে বিয়ে করে এক ভাস্কর। সে রাজকন্যার পাথর সম শরীরে ছেনি-হাতুড়ি কুঁদে এক কিমাকার জীব তৈরি করল, তবু রাজকন্যাএকফোঁটা কাঁদতে পারল না।
শিল্পী সেই ভাস্কর্য নিয়ে দেশে-দেশে ঘুরে বেড়ায়, তার প্রচুর নাম ও খ্যাতি।
শিল্পী মারা যাওয়ার পর ঠাই হল রাজকন্যার এক বিশাল মিউজিয়ামে। আশেপাশে সমস্ত শিল্পকলার সাথে ক্রমশ তার বন্ধুত্ব হল। দেখা গেল, তাদের কেউ হাসতে পারে না, কেউ ভেঙচি কাটতে পারে না, কেউ সিটি বাজাতে পারে না- প্রত্যেকের কিছু না কিছুবিশেষত্ব আছে তাই সকলে তার মত পোমো মিউজিয়ামে স্থান পেয়েছে।