কিন্তুসবাই যখন প্রস্তুত হতে লাগল নিজেকে আর ধরে রাখতে পারি না.মৃতু্য যদি থাকে তাহলে সেন্টমার্টিন গিয়েই মরি.কিন্তু এই জার্নিমিস করা যাবে না.পরে আফসোস থেকে যাবে.
আমরা সেন্টমার্টিন এর দিকে রওনা দিলাম ঈদ এর দুই দিন পর সকাল 8 টার দিকে.টেকনাফ পৌঁছাতে পৌঁছাতে দুপুর হয়ে গেল.খবর নিয়ে জানা গেল 'কেয়ারি সিন্দবাদ'সকাল দশটায় চলে গিয়েছে.আমরা এলাকার পোলাপান ছিলাম 11জন আরো প্রায় 20 জন মিলে একটা ট্রলার ঠিক করলাম.ট্রলারে যেতে হবে তাই নিয়ে ভয় পাচ্ছিলাম.(কত জনের কাছে এই ভয়ংকর ট্রলার জার্নির কথা শুনলাম ).
টেকনাফ থেকে যখনি নাফ নদীতে এসে পড়লাম চোখের সামনে ধরা পড়ল বার্মার বড় বড় পাহাড় গুলো.নাফ নদীর এক পাশ্বর্ে বামর্া আরকে পাশ্বর্ে বাংলাদেশ. এত সুন্দর দৃশ্য মনে হয় চোখ ফিরায় নিলে কিছু মিস হয়ে যাবে.
এক সময় আমরা নদীর এমন যাইগাই এসে পড়লাম যেখান থেকে বাংলাদেশের দিকের ভূমি দেখা যাই না.আবার বার্মার বর্ডার এর দিকেও যাওয়া যাই না.ঢেই গুলো ও আস্তে আস্তে বড় হতে লাগল .সাথে সাথে আমাদের ট্রলারের নাচা নাচি ও বেড়ে গেল.পরবর্তিতে রাতে ঘুমানোর সময় বিছানাই গিয়েও মনে হচ্ছিল ঢেউয়ের তালে তালে দুলছি .আমাদের ট্রলার টা নদীর মাঝখানে মাএ তিনবার বন্ধ হয়ে গেল (আম্মাআআ) .
প্রায় আড়াই কি তিন ঘন্টা লাগল স্টেমার্টিন পৌঁছাতে.ট্রলার থামার জেটি টা নষ্ট থাকার কারণে পানির মধ্যেই নামা লাগল.এই বার রাতে কোথায় থাকব তা ঠিক করার পালা.....
------------------------------------------------------------------------
পরের পর্বে শেষ করব.
সবাই দেশের বাহিরের ভ্রমণের কথা লিখে....কিন্তু আমাদের দেশর সুন্দর যাইগা গুলোর কথা আর লিখা হয় না.
সেন্টমার্টিন যাওয়ার ব্যাপারে কোন তথ্য জানতে চাইলে বলতে পারেন.
অনেক দিন পর পোস্ট করলাম শান্তি লাগছে...অলসতার জন্য কিছু করতে পারি না.