গতকাল সকালে অফিসে এসে সামহোয়ারইন খুলেই দেখি ডঃ ইউনুসের নোবেল প্রাইজ খবর, খুবই আনন্দ হচ্ছিল। সাথে সাথে সবাইকে জানাতে ইচ্ছে করছিল। রুমমেটকে ফোন করলাম, ঘুম গলায় যখন হ্যালো বলল তখন সুখবরটা দেবার ইচ্ছেটা মরে গেল। অন্যজনের ফোন অনবরত বেজেই চলেছিল। রাতে সবাইকে জানালাম। মনে হল অনেকদিন পর গর্ব করার মতো কিছু পেলাম।
কিন্তু বাঙ্গালীর যা স্বভাব, পেছনে না লাগলে পেটের ভাত হজম হয় না আর চোখের পাতায় ঘুম আসে না।
কতিপয় ব্লগার, হয়তো তাদের সংখ্যাটা অনেক বড়, তারা ডঃ ইউনুসকে 'রক্তচোষা' বণর্না করে নিজেদেরকে মহান বানানোর চেষ্টা করছে। হয়তো তাদের যুক্তি "অন্তত আমি তো তার মতো সুদের টাকায় মার্সিটিজে চড়ি না।"
অনেকটা আঙ্গুর ফল টক - দেখেন আজকে গ্রামীন ব্যাংকের চাকুরীর বিজ্ঞপ্তি দিলেই লাইন দিয়ে এরাই আবেদন পত্র জমা দেবে। গ্রামীন ব্যাংক রক্তচোষা আর তাতে কাজ করা তাহলে কি?
রক্ত তো সবাই চুষতেছে। রাজনীতিবিদ হতে শুরু করে পাড়ার মাস্তান সবাই। কিন্তু সেই রক্তচোষার কামড়ে কারোও উপকার হয় না। বড় লোক শুরু বড়ই হয় আর দরিদ্র দরিদ্রই থেকে যায়। অন্তত রক্তচোষা ডঃ ইউনুসের কামড়ে তো কারোও কারোও উপকার হয়েছে।
অন্যসবার মতো তিনিও একজন ব্যবসায়ী। ব্যবসায়ীর মূল লক্ষ্যই হচ্ছে লাভ। এখন ব্যবসায়ে যদি লাভই না হয় তাহলে ওই ব্যবসা চলবে কি করে? আর এমন কোন ব্যবসায়ী আছে যে কিনা
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০