যা হোক, আজকে এটাই তুলে দিলাম।
[গাঢ়]হঠাৎ এক সন্ধ্যায়[/গাঢ়]
সন্ধ্যার আগমন রাস্তাটা নির্জন
দূরে গান শোনা যায় মাইকে,
এদিক-ওদিক দেখে ছুরিটা পকেটে রেখে
উঠে পড়ি তিনজন বাইকে।
চাকরি-বাকরি নাই ছিনতাই করি তাই
ব্যবসাটা কিঞ্চিৎ রিস্কি -
পকেট আর ব্যাগ ফাঁকা করে মোরা পাই টাকা
টানি সিগারেট, খাই উইস্কি।
ঐ যে যাচ্ছে দেখা কে ঐ আসছে একা,
কাল্লু বলল, 'দোস্ত, রেডি থাক -
দুল যদি থাকে কানে ছিঁড়ে নিবি একটানে,
দেখিস করে না যেন হাঁকডাক'।
বাইকটা ঘুরিয়ে নিয়ে একটু এগিয়ে গিয়ে
চলে যাই রিকশার নিকটে।
মনে মনে বলি,'ওরে, দু'এক মিনিট পরে
দ্যাখ ভাল করে মজা কি ঘটে!'
'যা কিছু আছে সাথে তাড়াতাড়ি দিন হাতে
না হয় ফেলব চেঁছে চামড়া' -
এই ডায়ালগ ঝেড়ে ব্যাগটাকে নিয়ে কেড়ে
অ্যাকশানে নেমে পড়ি আমরা।
কিন্তু হঠাৎ একি! দু'চোখে সর্ষে দেখি
কে এল প্রাণে ভীতি জাগাতে?
মাজার হাড় ক'খানি ভেঙে গেছে ঠিক জানি
ক্যারাটের নিদারুণ আঘাতে।
অদ্ভুত এক ঘোরে কোনমতে উঠে পড়ে
দেখি পলায়নরত দুইজন
বলছে আমায় ডেকে, 'তাড়াতাড়ি পড় ভেগে,
জান বাঁচা, ছুট দে প্রাণপণ'।
বাঁচার কোন উপায় হল না যে মোর হায়
কলার ধরল চেপে তখুনি -
রিকশার মেয়েটাকে বড় বেশি ভয় লাগে
মনে হয় যেন এক শকুনি।
আমার কলার ধরে বলল ভীষণ জোরে,
'আমায় চিনতে নাহি পেরেছিস -
কতকিছু ভেঙে-চুরে ক্যারাটে শিখেছি, ওরে,
ভুল করে তুই আজ মরেছিস!
পড়েছি VNC তে জানি তোকে টাইট দিতে
ঘুরে আসি হাজতটা চল যাই -
সেখানে যাবার পরে একপায়ে কান ধরে
বলবি - ছাড়িয়া দেব ছিনতাই'।
হাজতেরই এক কোণে বসে ভাবি মনে মনে
ছেড়ে দেব বিশ্রী এ ব্যবসা -
মাজাটা গিয়েছে বেঁকে সারারাত থাকি জেগে
ফিউচার আমাদের ঝাপসা ।।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০০৬ সকাল ১১:৩৪