somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ইন্টেরিয়র পরামর্শ

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৬ রাত ১:৪১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

প্রতিদিন আপনার আশপাশে একই চিত্র দেখতে দেখতে আপনার মনের কৌতূহল দমে যেতে পারে। সৌন্দর্যের প্রতি আপনার আকাঙা কমে যেতে পারে। তাই ইন্টেরিয়র বা ঘরের অন্দর সজ্জায় কিছু কিছু পরিবর্তন মাঝে মাঝে করা ভাল। এতে পুরানোটা ভাবটা ঝরে যায় এবং ঘরের আসবাবপত্রকে নতুনভাবে বিন্যাস করলে নতুনের মতো মনে হয়। ফলে একটা চনমনে অনুভূতি মনের ভেতর জেগে উঠে। সাধারণত আসবাবপত্রের বিন্যাস এমনভাবে করা উচিত যেন তা ঘরের বিভিন্ন কোণার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং মানানসই হয়ে উঠে। যেমনটি ধরুন আপনি যদি আলোর বিপরীতে একটি উঁচু আসবাব রাখেন, তাহলে তা সমস্যা করবে না। কিন্তু আলোর গতি পথে যদি এ আসবাবটি রাখেন তাহলে ঘরটি অন্ধকার হয়ে উঠবে। সুতরাং নতুন সজ্জায় যাওয়ার আগে আপনার এ বিষয়গুলি খেয়াল করা উচিত। আমাদের দেশে সাধারণত ঘরের ভেতর জায়গা খুব বেশি থাকে না। যদি সজ্জা পরিবর্তন করতে হয় তাহলে খেয়াল রাখতে হবে এই জায়গা যেন বাড়িয়ে নেওয়া যায়। পুরানো থেকে নতুন সজ্জায় যাওয়ার েেত্র একটি বিষয় খুব গুরুত্বপূর্ণ। সেটি হচ্ছে- পরিষ্কার করা। সাধারণত দেখা যায়, আসবাবের বিভিন্ন জায়গায় নানা ময়লা জমে, মাকড়সার জাল জন্মে। যদি সজ্জায় পরিবর্তন আনেন, তাহলে এই পরিষ্কার করাটা খুব সহজেই হয়ে উঠে। সজ্জায় পরিবর্তন আনতে গিয়ে বিশেষ করে বেডরুম কিংবা ড্রইংরুমের েেত্র যে বিষয়টির উপর সবচেয়ে আগে যত্নশীল হওয়া উচিত তা হচ্ছে জানালার পর্দা। চেষ্টা করা উচিত প্রতি বছরই নতুন ধরনের প্রিন্ট কিংবা নতুন চেকের পর্দা বা নতুন রঙের বিন্যাস পর্দাতে আনার। যদি তা সম্ভব না হয় তাহলে যা করা উচিত, সেটি হচ্ছে পুরানো পর্দার সঙ্গে নতুন কিছু ব্যবহার করা। যেমন কোনো ঝালোর তৈরি করা যা পুরানো পর্দাকে নতুন রূপ দিবে। একই কথা বিবেচ্য হয় ফটো ফ্রেমের েেত্র। আমরা সাধারণত ঘরের দেয়ালে বিভিন্ন ফটো ফ্রেম ব্যবহার করি। যেগুলোতে আমাদের ছবি বা কোনো বিখ্যাত ব্যক্তির ছবি বা কোনো জল রঙ, তেল রঙ-এর ছবি থাকে। চেষ্টা করা উচিত ছ'মাস অনত্দর এ ছবিগুলোর অবস্থান বদলে দেওয়া। এতে ঘরের বিন্যাসে নতুনত্বের ছোঁয়া পাওয়া যায়। বিভিন্ন শো পিসের েেত্রও একই কথা খুব প্রযোজ্য। যদি শো পিসগুলো অদল বদল করে ব্যবহার করা যায় তাহলে দেখবেন জায়গাটি আগের চেয়ে অনেক বেশি সুন্দর লাগছে। পুরানো থেকে নতুন সজ্জায় যাওয়ার সময় একটি বিষয় খুব প্রবলভাবে খেয়াল রাখতে হবে, সেটি হচ্ছে প্রাকৃতির আলোর উৎস যেন উন্মুক্ত রাখা যায়। এেেত্র জানালাটি যে পাশে চেষ্টা করবেন সেই পাশে বড় বা উঁচু ফার্নিচারটি না রাখতে। ফার্নিচার অদল বদলের েেত্র খেয়াল রাখতে হবে যেন ফার্নিচারটি যুগোপযোগী হয় এবং আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবহার করা যায়। যেমন- আপনি যদি বেড রুমের ফার্নিচার অন্য কোথাও নিয়ে যান সেেেত্র একেবারে প্রয়োজনীয় ফার্নিচারটি না সরানোই ভাল। ওয়ারড্রোবটি বেডরুমে রাখাই ভাল। সেটি ডাইনিং স্পেসে নিয়ে যাওয়া খুব একটি জরুরি কিছু নয়। কিন্তু যদি আপনার ঘরের কোনো শোকেস বেড রুমে থাকে তাহলে সেটি ডাইনিং স্পেসেই বেশি শোভা পায়। তাই যখন আপনি সজ্জা বদল করছেন তখন এই ফার্নিচার বা আসবাবপত্রের উপযোগিতা নিয়ে ভাবার চেষ্টা করুন। যখন আপনি সজ্জা পরিবর্তন করছেন, যদি আপনার সামর্থে কুলায় তাহলে সেসময় নতুন রঙ করার চেষ্টা করুন ঘরের দেয়ালে। দেয়ালের সব অংশে না হলেও কিছু কিছু অংশে একটি ভিন্ন শেড বা কালার আনার চেষ্টা করুন যাতে ঘরের ফার্নিচার বা অন্যান্য আসবাবপত্রে একটি নতুনত্বের ছোঁয়া লাগে। আলোর উৎসও পরিবর্তন করার চেষ্টা করুন। ঘরে দু'তিন রকমের আলোর উৎস থাকা ভাল। খুব ফর্সা বা টিউব লাইট কখনো কখনো ভিন্ন রকমের আলোর উৎস হিসেবে কাজ করে। সুতরাং রঙ বদল, ফার্নিচার বদল, পর্দা বদল যেকোনোভাবে আপনি আপনার ইন্টেরিয়রে নতুন সজ্জা সংযোজন করতে পারেন যা আপনার রুচির পরিবর্তন ঘটাবে এবং আপনার মনজগতে সূ পরিবর্তনের একটি ছাপ ফেলবে যা হবে সম্পূর্ণ রূপে ইতিবাচক।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

অপরূপের সাথে হলো দেখা

লিখেছেন রোকসানা লেইস, ১৪ ই মে, ২০২৪ রাত ১:৩৫



আট এপ্রিলের পর দশ মে আরো একটা প্রাকৃতিক আইকন বিষয় ঘটে গেলো আমার জীবনে এবছর। এমন দারুণ একটা বিষয়ের সাক্ষী হয়ে যাবো ঘরে বসে থেকে ভেবেছি অনেকবার। কিন্তু স্বপ্ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমরা কেন এমন হলাম না!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪১


জাপানের আইচি প্রদেশের নাগোইয়া শহর থেকে ফিরছি৷ গন্তব্য হোক্কাইদো প্রদেশের সাপ্পোরো৷ সাপ্পোরো থেকেই নাগোইয়া এসেছিলাম৷ দুইটা কারণে নাগোইয়া ভালো লেগেছিল৷ সাপ্পোরোতে তখন বিশ ফুটের বেশি পুরু বরফের ম্তুপ৷ পৃথিবীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অভিমানের দেয়াল

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৪




অভিমানের পাহাড় জমেছে তোমার বুকে, বলোনিতো আগে
হাসিমুখ দিয়ে যতনে লুকিয়ে রেখেছো সব বিষাদ, বুঝিনি তা
একবার যদি জানতাম তোমার অন্তরটাকে ভুল দূর হতো চোখের পলকে
দিলেনা সুযোগ, জ্বলে পুড়ে বুক, জড়িয়ে ধরেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের গ্রামে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি

লিখেছেন প্রামানিক, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩১



২৬শে মার্চের পরে গাইবান্ধা কলেজ মাঠে মুক্তিযুদ্ধের উপর ট্রেনিং শুরু হয়। আমার বড় ভাই তখন ওই কলেজের বিএসসি সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্র ছিলেন। কলেজে থাকা অবস্থায় তিনি রোভার স্কাউটে নাম... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিকেল বেলা লাস ভেগাস – ছবি ব্লগ ১

লিখেছেন শোভন শামস, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৪৫


তিনটার সময় হোটেল সার্কাস সার্কাসের রিসিপশনে আসলাম, ১৬ তালায় আমাদের হোটেল রুম। বিকেলে গাড়িতে করে শহর দেখতে রওয়ানা হলাম, এম জি এম হোটেলের পার্কিং এ গাড়ি রেখে হেঁটে শহরটা ঘুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×