7 মার্চের ঐতিহাসিক ভাষনে তিনি জাতিকে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দিয়ে প্রস্তুত হতে বললেন সংগ্রামের জন্য। পাশাপাশি গোপনে ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ করে যুদ্ধের রসদ নিশ্চিত করলেন.. নিশ্চিত করলেন গেরিলা বাহিনীর সামরিক প্রশিক্ষন ও ভারতের মাটি ব্যবহারের অনুমতিও নিয়ে নিলেন ইন্দিরা গান্ধীর কাছ থেকে।
1971 সালের 25 মার্চ রাতে পাকিস্তান বাহিনীর হাতে গ্রেফতারের আগেই ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলসের ওয়ারলেসের মাধ্যমে স্বাধীনতার ঘোষনা ছড়িয়ে দেন বঙ্গবন্ধু। মুহুর্তের মধ্যেই খবরটি ছড়িয়ে বিশ্বপরিমন্ডলে। লন্ডনে ও দিল্লীতে বাঙ্গালী কুটনীতিকরা ওই ঘোষনা প্রচার করে বিশ্বজুড়ে।
দেশের বেতার কার্যক্রমে সম্ভব না হলেও বিপ্লবী বেতার কেন্দ্র চালু করা হয় কালুরঘাটে। আওয়ামী লীগ নেতা এম এ হান্নান, প্রখ্যাত বেতার কর্মী আবুল কাশেম সন্দ্বীপ ও মেজর জিয়াউর রহমান পর্যায়ক্রমে তা পাঠ করতে থাকেন জাতিকে উদ্্বুদ্ধ করতে।
এরপর রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম। স্বাধীনতা। যার পুর্নতা এলো বঙ্গবন্ধুর ফিরে আসার মধ্য দিয়ে 1972 সালের 10 জানুয়ারীতে। ভারতে তাকে দেয়া সম্বর্ধনা সভায় বাংলার মুজিব একবুক ভালবাসা ও অহংকার নিয়ে বললেন-- কবিগুরুর কথা ভুল প্রমানিত হয়েছে --আমার বাঙ্গালী মানুষ হয়েছে-জীবন দিয়ে স্বাধীনতা এনেছে।
লাখো মানুষের ভালোবাসা নিয়ে প্রিয় বাংলায় ফিরলেন মুজিব। মাত্র সাড়ে তিনবছরের মাথায় সেই মুজিবকে হত্যা করলো স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি যারা বেসামরিক ও সামরিক ছদ্মাবরনে ঘাপটি মেরে ছিলো। ইতিহাসে আবার অন্তর্ভুক্ত হলো বাঙ্গালীর জন্য কলুষিত একটি দাগ। যে ঘোর অমানিশায় নিক্ষিপ্ত হলো তা থেকে আজো আর বের হওয়া গেলোনা--- শেক্সপিয়ারের ম্যাকবেথে যেমন বলা হয়েছে- দি নাইট ইজ লং দ্যাট নেভার ফাইন্ডস দা ডে।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০