এ বছর একুশে বইমেলার নীতিমালার ৬.১ ধারা
"অমর একুশে গ্রন্থমেলায় অংশগ্রহণকারী প্রকাশকরা কেবল বাংলাদেশে
মুদ্রিত ও প্রকাশিত বাংলাদেশের লেখকদের মৌলিক/ অনূদিত/ সম্পাদিত/ সংকলিত
বই বিক্রি করতে পারবেন।"
মানে বিদেশি লেখকদের বই এবারের বইমেলায় পাওয়া যাবে না ।
আইন করে বাংলাদেশের জাতীয় সংগীতের রচয়িতা কবি রবীন্দ্রনাথের বই বইমেলায় নিষিদ্ধ করা হচ্ছে ! ! !
এখানে একটু কথা আছে , বিদেশী বলতে কিন্তু আমরা মূলত ভারতীয় বই গুলোকেই বুঝি ,
ভারত যেখানে আমাদের চ্যানেল তাদের দেশে দেখায় না তেমনি আমরাও আমাদের দেশে তাদের বই বিক্রি করতে দেব না , সহজ কথা
কিন্তু ভারতীয় চ্যানেল বন্ধ না করে বই নিষিদ্ধ করা কি খুব যুক্তি সঙ্গত ?
আপনাদের একটু মনে করিয়ে দেই ২০০৭-৮ এর দিকে একবার ভারতীয় চ্যানেল বন্ধ করার একটা প্রচেষ্টা হয়েছিল কিন্তু আমাদের গুলশান, বনানীর
অভিজাত শ্রেণীর মানুষরা তা মেনে নিতে পারেনি , যাদের মনে আছে তারা জানেন এমনকি তখন মিছিল পর্যন্ত করা হয়ে ছিল,
আজকে আমাদের দেশে মীনার থেকে ডোরেমনের জনপ্রিয়তা বেশী , কারণও খুব সহজ দেশে ২১টা চ্যানেল যার মধ্যে ৪টা নিউজ ,বাচ্চাদের চ্যানেল নেই কেন ?
আপনিই বলেন যদি প্রিয় কার্টুনটা বাংলায় পাই তাহলে অন্য ভাষায় কে দেখবে ? কেন দেখবে ??
কিন্তু দেখেন ফেসবুকের মত সাম্যবাদী সামাজিক সাইট গুলোতে ভারতীয় বাঙ্গালীদের থেকে
আমাদের আধিপত্য অনেক অনেক বেশী ।
তাই বলছি নিষিদ্ধ করা সমাধান নয় এটা অন্ধত্ব ।
আমাদের রবীন্দ্র-নজরুল-সুনীল-হুমায়ূনদের দেশ বা জাতিসত্বার বেড়াজালে আটকানোর কোন অধিকার নেই,
নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বোস ব্রিটিশদের হাত থেকে চট্রগ্রামকে ৩ দিন স্বাধীন রেখেছিলেন । সুভাষের দেশ কোনটা ?
রবি ঠাকুর বলেছেন
মোর নাম এই বলে খ্যাত হোক,
আমি তোমাদেরই লোক
আর কিছু নয়,
এই হোক শেষ পরিচয়।
রবীন্দ্রনাথ এটা লিখেছিলেন বাংলাদেশে বসে তাই
রবিন্দ্রনাথ বাঙ্গালী আমিও বাঙ্গালী । বাংলা ভাষার জন্য সব করতে পারি . . . .