বাঙ্গালীর নেতা শেখ মুজিব ধীরে ধীরে এই শোষন ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে মানুষকে জাগিয়ে তুললেন। নিজের জীবনের সোনালী সময়গুলো কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্টে কাটালেন তিনি বাঙ্গালীর অধিকার আদায়ের জন্য। যুক্তফ্রন্ট সরকারের মন্ত্রীত্বকে ছুড়ে ফেলে ঝাপিয়ে পড়লেন স্বাধীনতার সংগ্রামে।
নিষ্ঠুর অধ্যবসায়, জেল জুলুম, নির্যাতন, মৃত্যুর হুমকি, খুড়ে রাখা কবরের প্রান্তে দাড়িয়েও তিনি গেয়েছেন বাঙ্গালী ও বাংলার জয়গান। বলেছেন আমাদের স্বাধীনতার কথা। রচনা করেছেন স্বাধীনতা নামক অমর কাব্য। তার এই সাধনাই ঘাতক চক্রকে উদ্ভ্রান্ত করে তুলেছিলো।
ষড়যন্ত্র আর চক্রান্ত রুখে বঙ্গবন্ধু তার বাংলাকে স্বাধীন করতে পারলেও স্বাধীন বাংলার দুর্বল অর্থনেতিক ভিত্তি আর পাকিস্তানী ধারায় গড়ে উঠা সেনাকর্মকর্তাদের যোগসাজশে ঘাতকরা আরো বেশি কর্মতৎপর হয়ে উঠল। হাজার বছরের নিকৃষ্টতায় পূর্ণ হত্যাকান্ডে তারা কেড়ে নিলো বাংলার প্রতিচ্ছবিকে।