1971 সালের 16 ডিসেম্বর বিজয় লাভের পরও বাঙ্গালী জাতি উল্লাস করেনি বঙ্গবন্ধু ফিরেনি বলে। অর্থাৎ বঙ্গবন্ধুকে ছাড়া জাতি স্বাধীনতাকেও গ্রহন করেনি। এমনকি বিশ্ব গণমাধ্যম বঙ্গবন্ধুর প্রত্যাবর্তন ছাড়া বাংলাদেশকে স্বাধীন হিসেবে আখ্যা দেয়নি।
তাই আন্তর্জাতিক চাপের মুখে 1972 সালের 10 জানুয়ারী বঙ্গবন্ধু দেশের মাটিতে পা ফেলার পরই বাঙ্গালী বিদ্যুৎ ঝলকানির মতো জেগে উঠলো.. বাধ ভাঙ্গা উচ্ছবাসে ফেটে পড়লো সাড়ে সাত কোটি জনতা।
এরপরের তিন বছর দেশ গড়ার সংগ্রাম। কিন্তু এরই মধ্যে 71 র পরাজিত শক্তি যুদ্ধাপরাধী জামায়াত চক্র, যুক্তরাষ্ট্রও মুক্তিযোদ্ধা নামে ঘাপটি মেরে থাকা ষড়যন্ত্রকারীরা যারা মুক্তিযুদ্ধ করার জন্য বেতন পর্যন্ত গ্রহন করেছে সব এক হলো তাদের স্বার্থও স্বপ্ন বাস্তবায়নে। ভারতীয় পৃষ্ঠপোষকতায় মুক্তিযোদ্ধাদের বিভক্ত করা হলো কৌশলে। পাকিস্তান ফেরত সেনা কর্মকর্তা আর বেতন গ্রহনকারী মুক্তিযোদ্ধারা গোপনে এক হলেন বঙ্গবন্ধুকে হত্যার জন্য। অথচ একটি বারের জন্যও এদের সম্পর্কে সচেতন হলেননা বঙ্গবন্ধু। কারন এই ব্যক্তিরাই তাকে ঘিরে ফেলেছিলো।
অবশেষে সেই কলঙ্কিত 15 আগষ্ট। বঙ্গবন্ধু জীবন দিয়েই শেষবারের মতো প্রমান করলেন এই বাংলার জন্যই তার জন্ম হয়েছে। সারাজীবনের ব্রত বাংলাকে স্বাধীন করা। তা করে স্বাধীন মাটিতেই আত্মদান করলেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ এই বাঙ্গালী।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৬ দুপুর ২:৪৭