বেশ কিছুক্ষণ কথা হলো প্রাপ্তির মায়ের সাথে। ভাবী প্রাপ্তিকে নিয়ে তার আশংকার কথা বললেন। বললেন অনেক ভয়ের কথা। আমি বললাম, আশার কথা। আশ্বস্ত করে বললাম, প্রাপ্তি অবশ্যই সুস্থ হয়ে যাবে। আমাদের সবার প্রার্থনা তার জন্য। কারণ, প্রাপ্তি আমাদের সবার। একান্ত আদরের। প্রাপ্তির জন্য এক গোছা রজনীগন্ধা নিয়ে গিয়েছিলাম। সে হাতে ধরে থাকল। আমি ছবি তুললাম। এক গোছা ফুটন্ত রজনীগন্ধার আড়ালে প্রাপ্তি আগামী দিনের বিকশিত সম্ভাবনার প্রাণবন্ত ছবি ।
প্রাপ্তির সুস্থতার জন্য আরও অনেক দূর যেতে হবে। পিছিয়ে গেলে হবে না। থেমে গেলে হবে না। প্রাপ্তি ফাউন্ডেশনের জন্য কাজ চলছে। তাতে সবার অংশগ্রহণের দরকার। প্রাপ্তি হচ্ছে আমাদের ব্লগারদের বিবেকের একটি অখন্ড চিএ। একে ম্লান করা যাবে না। একে হেয় করা যাবে না। কারণ, প্রাপ্তির মতো আরও অনেকে অপেক্ষায় আছে সাহায্যের হাতের জন্য। তাই সবার প্রসারিত হাতের আশীর্বাদে বিকশিত হবে প্রাপ্তিসহ আরও অসংখ্য ফুল। সময়ের তাড়া ছিল। তাই, বিদায় নিতে হলো। বাইরে যখন বেরুলাম, সকালের সূর্যটাকে অনেক বেশী উজ্জ্বল, প্রখর আর তীব্রমনে হলো। মনের ভেতর অনেক আনন্দ আর উচ্ছ্বাস। রোকেয়া সরণী দিয়ে শুরু হলো যাএা পরবর্তী গন্তব্যের দিকে। মনে বাজছে:
সবারে করি আহবান-
এসো উৎসুকচিও, এসো আনন্দিত প্রাণ।
হৃদয় দেহো পাতি, হেথাকার দিবা রাতি
করুক নব জীবনদান।
আকাশে আকাশে বনে বনে তোমাদের মনে মনে
বিছায়ে বিছায়ে দিবে গান।
সুন্দরের পাদপীঠতলে যেখানে কল্যাণদীপ জ্বলে
সেথা পাবে স্থান।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০০৬ সকাল ৯:২৭