নটিংহিলের নাম বোধ করি কাউকে মনে করিয়ে দিতে হবে না। জুলিয়া রবার্টসের সেই ভূবনজয়ী হাসি যে দেখেছে, সে কি করে নটিংহিলের কথা ভুলতে পারে।
রবিবার উইকন্ডের ছুটিতে তিনটার দিকে বেড়িয়ে পড়লাম কার্নিভাল দেখার জন্য। মার্বেল আর্চের কাছাকাছি আসতেই টিউব বন্ধ হয়ে গেল, আর যাবে না। কারন দুই স্টপ পড়েই নটিংহিল আর ওই দিকে টিউব বন্ধ আছে।
মার্বেল আর্চ থেকে বের হলেই হাইড পার্ক। বিশাল পার্ক, বিশাল বললে হয়তো বরং কমই বলা হবে। রৌদ্রজ্জ্বল বিকেল, চনমনে রোদ। পার্কে ঢুঁকেই মন ভাল হয়ে গেল। কেউবা বক্তৃতা দিচ্ছে ( এখানে সবাই নিজের ইচ্ছে মতো কথা বলতে পারে, আগ্রহী ব্যক্তিরা তাকে ঘিরে তার কথা শুনে ), কেউবা এই ফাঁেক রোদ পোহাচ্ছে। আমরা হাঁটা শুরু করলাম, বেশ কিছুটা পথ পার হতে হবে।
এইদিক থেকে লন্ডনের অভিজাত এলাকা শুরু, কেনসিংটন, হাইড পার্ক, নটিংহিল। পার্ক পার হতেই অনেক সময় লেগে গেল। মাঝপথে দেখি রাস্তার পাশে চিত্রশিল্পীরা নিজেদের শ্লিল্পকর্ম পার্কের দেয়ালে লাগিয়ে বিক্রি করছে।
নটিংহিল পৌছাতে পৌছাতে প্রায় পৌনে একঘন্টা লেগে গেল। কাছাকাছি টের পেলাম আমাদের জন্য কি অপেক্ষা করছে!!!
আপনারাও অপেক্ষা করুন পরের পর্বের জন্য, আপাতত এতটুকুই। অফিসের অপেক্ষা কাজ পরে আছে, একটু সামলে নেই।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে আগস্ট, ২০০৬ সকাল ৯:৪৩