somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

'বাংলাদেশ একদিন ইউরোপ হবে'

২৮ শে আগস্ট, ২০০৬ দুপুর ১:৪৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বাংলাদেশ একদম ফেলে দেবার মত নয়। বাঙালী হিসাবে আমাদের গর্ববোধ করার মত আকাশসম উৎস্য রয়েছে। অন্যান্য জাতির চেয়ে আমরা ইতিহাসে কম সমৃদ্ধ নই। আমাদের ভুল বলতে রয়েছে নিজের ভাঙ্গা ঘর ফেলে রেখে পরের ঘর ঠিক করায় মগ্নতা। এটা আমাদের জাতিগত কলঙ্ক নয়, বরং এটা আমাদের একটা বিশেষ বৈশিষ্ট্য যা অন্যান্যদের জাতি থেকে আমাদের আলাদা করে রেখেছে।

অনেকেই বলেন- "মুসলিম হিসাবে বাঙালী জাতি কুলসিত। তারা ধর্মের লেজের খবরও রাখে না। বিশ্বের যেসব মুসলিম প্রকৃত ধার্মিক জীবন যাপন করছে তারা সব ইউরোপে কিংবা তারও ওপারে থাকেন!" এর কড়া প্রতিবাদ করছি আমি। উক্ত ধার্মিক বোদ্ধারা যদি নিজেদের অবস্থান পর্যবেক্ষন করতেন, তাহলে এমনটা বলতে পারতেন না। পেটে খিদে নিয়ে ধর্ম পালন? অসম্ভব। আমাদের দেশের এনভায়রোমেন্ট আর ইউরোপীয়দের এনভাইরোমেন্টের মাঝে বিরাট ফারাক। বাংলাদেশের পথের কুকুররাও যদি নিজেদের একটা ধর্ম বানিয়ে সেখানে জীবন যাপন করতে যায়, তাতেও তাদের অবস্থান দৃঢ় হবে। হওয়া উচিৎ। এটা ধারনা নয়, এটাই প্রকৃত সত্য। আমি ঐসব মুসলিমদের বলছি- আপনারা বাংলাদেশে এসে পারবেন তেমন জীবন যাপন করতে? এটার অবশ্য একটা পরীক্ষাও করা যায়; বাংলাদেশ থেকে 1000 নড়বড়ে ধার্মিক ব্যক্তিকে ইউরোপে চালান দিয়ে, ইউরোপের 1000 ধার্মিক মুসলিমকে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয়া হোক। এক বছর ধরে তাদের উপর জরিপ চালানো হোক। দেখা যাবে, কে কতটা ডেভেলপ করছে। কে কতটা ধার্মিক জীবন যাপন করতে পারছে। এটাই স্বাভাবিক। অতএব, যত গলাবাজি তারাই করুক না কেন- তারা নিজেদের দেশকে চেনে না বলেই এসব বলতে পারে। এটা তাদের ক্রেডিট নয়, এটা সেদেশের ক্রেডিট যারা ভিন্ন ধর্মালম্বী হওয়া সত্ত্বেও মুসলিমদের জীবন ধারনের সব উপকরন যোগান দেয়ার মত সুযোগ সুবিধা দিচ্ছে।

বাংলাদেশের উন্নতি হবে কোনো একদিন। বাংলাদেশও একদিন ইউরোপ হবে। এদেশেও একটি টোকাই একদিন স্বাভাবিক জীবন যাপন করবে; স্বাভাবিক জীবন যাপন করবে কারওয়ান বাজারের ফুটফাতে শুয়ে থাকা মানুষগুলোও। তাদের স্বপ্নগুলোও একদিন সাতরঙি হবে। সেদিনের ভিত্তিপ্রস্তর আমাদের হাতেই। আমাদেরকেই করতে হবে। আমাদের ভেতর মতের অনেক অমিল থাকতে পারে, কিন্তু দেশ নিয়ে ভাবনা আমাদের সবাইকে একই কাতারে দাঁড় করাবে। যেসব দেশপ্রেমিকরা বিদেশে চালান হয়ে, সেখানকার ইমিগ্র্যান্ট হবে... দেশের সাথে একটা লম্বা দূরুত্ব সৃষ্টি করে দেশের বিপক্ষে সাফাই গাইবে, দেশ পরিবর্তনের নির্দেশনা দিবে... আমরা তাদের কথা শুনবো কেন?
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে আগস্ট, ২০০৬ দুপুর ১:৫০
৭টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সভ্য জাপানীদের তিমি শিকার!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৫

~ স্পার্ম হোয়েল
প্রথমে আমরা এই নীল গ্রহের অন্যতম বৃহৎ স্তন্যপায়ী প্রাণীটির এই ভিডিওটা একটু দেখে আসি;
হাম্পব্যাক হোয়েল'স
ধারনা করা হয় যে, বিগত শতাব্দীতে সারা পৃথিবীতে মানুষ প্রায় ৩ মিলিয়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

রূপকথা নয়, জীবনের গল্প বলো

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৩২


রূপকথার কাহিনী শুনেছি অনেক,
সেসবে এখন আর কৌতূহল নাই;
জীবন কণ্টকশয্যা- কেড়েছে আবেগ;
ভাই শত্রু, শত্রু এখন আপন ভাই।
ফুলবন জ্বলেপুড়ে হয়ে গেছে ছাই,
সুনীল আকাশে সহসা জমেছে মেঘ-
বৃষ্টি হয়ে নামবে সে; এও টের... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে ভ্রমণটি ইতিহাস হয়ে আছে

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১:০৮

ঘটনাটি বেশ পুরনো। কোরিয়া থেকে পড়াশুনা শেষ করে দেশে ফিরেছি খুব বেশী দিন হয়নি! আমি অবিবাহিত থেকে উজ্জীবিত (বিবাহিত) হয়েছি সবে, দেশে থিতু হবার চেষ্টা করছি। হঠাৎ মুঠোফোনটা বেশ কিছুক্ষণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৮ ই মে, ২০২৪ ভোর ৬:২৬

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
প্রথমত বলে দেই, না আমি তার ভক্ত, না ফলোয়ার, না মুরিদ, না হেটার। দেশি ফুড রিভিউয়ারদের ঘোড়ার আন্ডা রিভিউ দেখতে ভাল লাগেনা। তারপরে যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

×