somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মাদ্রাসা- বক্তৃতায় আছে চিন্তায় নেই।

২৬ শে আগস্ট, ২০০৬ রাত ২:৫২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মাদ্রাসা দু রকমের। সরকারী মাদ্রাসা অন্যটা বেসরকারী মাদ্রাসা । সাধারণত এবতেদায়ি ও কওমী নামেই এই মাদ্রাসা গুলো পরিচিত। দাখিল, আলিম, ফাজিল , কামিল এই হলো সার্টিফিকেট। শিক্ষা বোর্ডের নীতি অনুসারে এই সার্টিফিকেটগুলো এস,এস,সি , এইচ,এস,সি, অনার্স এবং মাস্টার্স এর সমমানের।এতদিন সরকারী মাদ্রাসার ছাত্ররা সার্টিফিকেট পেত। এখন সেটা কওমী ওরফে বেসরকারী মাদ্রাসও পেতে যাচ্ছে। মাদ্রাসার ছাত্ররা এখন সবখানেই পরীক্ষা দিতে পারবে। অর্থাৎ সেকুলার শিক্ষা ব্যবস্থার শিক্ষার মতই মাদ্রাসার ছাত্ররা সব জায়গায় পরীক্ষা দিতে পারবে। কিন্তু বিষয়টা হচ্ছে কাজির গুরু কেতাবে আছে গোয়ালে নেই। মাদ্রাসার সার্টিফিকেট কিন্তু দুনিয়াবি কোন কাজে আসে না । অথচ দাখিল /আলীম পাস করে আসা ছাত্ররা কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালযে ঢোকার জন্য পরীক্ষায় বসতে পারে। পারে পর্যন্ত। তারপরে দেখেন খুজে তাদের কোথায় পাওয়া যায় ? যারা সেকুলার শিক্ষা ব্যবস্থায় পড়াশুনা করছেন তারা খেয়াল করে দেখুন মাদ্রাসা থেকে আসা ডাক্তার , ইঞ্জিনিয়ার কতজন আেেছন? পদার্থবিদ, রসায়নবিদ, কতজন? বিশ্ববিদ্যালযে এসে যারা তাবলিগ জামাতে নাম লেখায় খেয়াল করুন তাদের কতজন মাদ্রাসা অনুষদের ছাত্র। সংখ্যাটা একেবারে হাতের আঙ্গুলে গোনা যায়। সিলেবাস আলাদা । পড়াশুনার ব্যবস্থা আলাদা । পরীক্ষা আলাদা। কাজেই তাদের পক্ষে অসম প্রতিযোগিতায় টেকা সম্ভব নয় । টেকেও না । সরকারী চাকুরীতে কতজন মাদ্রাসার ছাত্র? মাাল্টিন্যাশনাল কোম্পানীতে কতজন মাদ্রাসার? বেসরকারী ফার্মে কতজন মাদ্রাসা পাশ লোক ? পরিসংখ্যান ছাড়াই বলা যাবে অতি নগন্য। হাজার ছাড়িয়ে লাখে এসে দাড়ানো ছাত্ররা তাহলে যাবে কোথায় ? এরাও তো আমাদেরই মতো বাঙ্গালী ভাই । অথচ মাদ্রাসা শিক্ষার সঙ্গে সেকুলার শিক্ষার লোকদের দুরত্ব যোজন যোজন। সার্টিফিকেট দেবার নাম শুনে সেকুলার শিক্ষা ব্যবস্থার লোকজন এর শোরগোল কানে আসছে। তাদের বক্তব্য এতে অনেক তি হবে। প্রতিযোগিতা বাড়বে ।চাকুরীর বাজারে অস্থিতিশীলতা আসবে। প্রাইেেভট ইউনিভার্সিটিগুলোর ভূমিকা তাহলে কি? যারা সার্টিফিকেট দিচ্ছে তারা দিচ্ছে ভোটের জন্য্। যারা এর প্রতিবাদ করছে তারা করছে সঙ্কীর্ন স্বার্থ থেকে। উভয়রই লক্ষ্য কিছু অর্জন করা। সার্টিফিটে মান সমান কারীরা বলছেন, এখন তারা সব জায়গায় চাকুরীর দরখাস্ত করতে পারবে, চাকুরী কি পাবে? চাকুরীর বাজারে অস্থিতশীলতা সে তো আগে থেকেই আছে।কিন্তু কেন? সেকুলার শিক্ষা ব্যবস্থা কি তাহলে শুধু চাকুরী দেবার জন্য শিক্ষা ব্যবস্থা । তাই যদি হয় ,বিশ্ববিদ্যালয় পাস করেও অনেকে বেকার, সে েেত্র সেকুলার শিক্ষাও কি শুধু সার্টিফিকেট দিচ্ছে না ? সার্টিফিকেট ধারী শিতি বেকার সংখ্যায় যদি বাড়তেই থাকে তাহলে আমাদের এমন শিা ব্যবস্থা তৈরী করা উচিত যাতে পাশ করার সবাই চাকুরীর নিশ্চয়তা পায় । এখন মাদ্রাসা থেকে পাস করা লোকেরা হচ্ছে বোমাবাজ ও মৌলবাদী , আর সকুল কলেজ থেকে পাসকরা ছাত্ররা হচ্ছে দুনীতিবাজ ও বেকার ( অনেক মাদ্রাসা ও তার মধ্যে পড়ে) । তাহলে এটা স্পষ্ট স্কুল কলেজের সার্টিফিকেট দেওয়া শিক্ষাও বেকার বাড়ানোর কারিগর হয়ে পড়ছে । শিক্ষার হার বাড়ার সাথে সাথে আমাদের দেশ দূনর্ীতিতেও চ্যাম্পিয়ন হতে শুরু করেছ্ ।ে; আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার যারা পরিচালক তাদের এখন পুরো শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়েই নতুন করে চিন্তা ভাবনা করা উচিত। হাজার হাজার সার্টিফিকেট ধারী এবং বেকার না বানিয়ে বরঞ্চ কারিগরি স্কুল বা কৃষি বিষয়ক টেকনিকাল স্কুল বেশী বানানো যায় কিনা?

সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুরসি নাশিন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৫


সুলতানি বা মোগল আমলে এদেশে মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল৷ আশরাফ ও আতরাফ৷ একমাত্র আশরাফরাই সুলতান বা মোগলদের সাথে উঠতে বসতে পারতেন৷ এই আশরাফ নির্ধারণ করা হতো উপাধি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আর আদর্শ কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৭

তার বিশেষ কিছু উক্তিঃ

১)বঙ্গবন্ধু বলেছেন, সোনার মানুষ যদি পয়দা করতে পারি আমি দেখে না যেতে পারি, আমার এ দেশ সোনার বাংলা হবেই একদিন ইনশাল্লাহ।
২) স্বাধীনতা বৃথা হয়ে যাবে যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

কৃষ্ণচূড়া আড্ডার কথা

লিখেছেন নীলসাধু, ১৯ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:০২



গতকাল পূর্ব নির্ধারিত কৃষ্ণচূড়ায় আড্ডায় মিলিত হয়েছিলাম আমরা।
বছরের একটি দিন আমরা গ্রীষ্মের এই ফুলটির প্রতি ভালোবাসা জানিয়ে প্রকৃতির সাথে থাকি। শিশুদের নিয়ে গাছগাছালি দেখা, ফুল লতা পাতা চেনাসহ-... ...বাকিটুকু পড়ুন

সকাতরে ঐ কাঁদিছে সকলে

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:২৯

সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে, শোনো শোনো পিতা।

কহো কানে কানে, শুনাও প্রাণে প্রাণে মঙ্গলবারতা।।

ক্ষুদ্র আশা নিয়ে রয়েছে বাঁচিয়ে, সদাই ভাবনা।

যা-কিছু পায় হারায়ে যায়,... ...বাকিটুকু পড়ুন

বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!

লিখেছেন নাজনীন১, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:০৯


যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।

কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!

ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×