বিজ্ঞানীরা ফ্রান্সের লা ভালস্না সুর রেবফোর্ট গ্রামের একটি ছোট পর্বতে বসে দীর্ঘ 5 বছর যাবৎ গবেষণা চালান। তারা ফেনিকিউরাস অসরম্নরোচ প্রজাতির পাখির ওপর গবেষণা চালান। তারা লৰ্য করেন, সনত্দান-সন্তুতি এবং ছোটখাটো বিষয় নিয়ে পুরম্নষ এবং স্ত্রী পাখির মধ্যে নিত্য কলহ বাধছে। কিংবা এক সনত্দানকে অপর সনত্দানের চেয়ে পিতা পাখিটি বেশি আদর-যত্ন করছে। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর খুনসুটি লাগছে। মারাত্মক ঝগড়ার পর দুই-এক দিনের জন্য আবার স্বামী এবং স্ত্রী পাখির মধ্যে 'ভালোবাসাবাসি' বন্ধ থাকছে। একজন 'অভিমান' ভাঙ্গাতে গেলে অন্যজন পেছন ফিরে রাগ বুঝাচ্ছে। ঠিক যেমনটি মানব সমাজে ঘটে থাকে। এক পর্যায়ে দেখা যায় স্বামী কিংবা স্ত্রী প্রিয় সনত্দানটিকে সঙ্গে করে অন্য কোন দলের মধ্যে কিংবা ভিন্ন এলাকায় গিয়ে সংসার পাতছে ভিন্ন কোন স্ত্রী পাখির সঙ্গে। গবেষক দলের প্রধান ড্রাগানু টিউডর বলেন, পাখির এই বৈশিষ্ট্য সব প্রজাতির মধ্যে কমবেশি বিদ্যমান।
ডিসকভারি নিউজে বলা হয়েছে, স্বামী এবং স্ত্রী পাখির মধ্যে কে বেশি কাজ করছে কিংবা কে শুধু বসে বসে খাচ্ছে এসব বিষয় নিয়েও তুমুল ঝগড়া বাধে! কখনো কখনো এই ঝগড়া ডিভোর্স পর্যনত্দ গড়ায়। গবেষকরা বলেন, ইতিপূর্বে আরো এক ডজন পাখির ওপর গবেষণা করে মানব সমাজের কিছু বৈশিষ্ট্য এদের মধ্যে পাওয়া গেছে।
**ইত্তেফাক **