somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

... এ তো বড় রঙ্গ জাদু !

১৭ ই আগস্ট, ২০০৬ রাত ৮:০০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



সার্কাসে খেলা দেখতে দেখতে বোর হয়ে গেলে স্টেজে চলে আসে জোকার। দর্শকদের হাসির ফোয়ারায় মাতিয়ে দেয়। নানা রং-তামাশা করে বিনোদন দেয় লোকেদের।
সার্কাস দলের সাফল্য অনেকাংশেই নির্ভর করে কিন্তু- ঠিক সময়ে জোকার-কে মঞ্চে নিয়ে আসার ওপর।
অর্থাৎ- ঝোঁপ বুঝেই কোপটা মারতে হয়।

-----------------------------
ঢাকা-10 এর এম.পি. তখন ডা:ইকবাল। বেশ সু(!)পরিচিত মুখ।
একদিন সকালে পত্রিকা খুলে দেখি তার ছবি। হরতালবিরোধী বা ঐরকম কোন একটা মিছিলে তার পাশে দাঁড়িয়ে দু'জন দলীয় ক্যাডার প্রতিপক্ষ মিছিলের উদ্দেশ্যে গুলি ছুঁড়ছে!
হৈ হৈ কান্ড! ব্যাপারও রৈ রৈ।
বেশ কিছু পত্রিকা সমালোচনা করলো।সরকার ও বিরোধী দলীয় প্রতিনিধিরা কাদা ছুঁড়ে ও চেটে যার যার ভূমিকা পালন করলেন। ডা: ইকবালের পক্ষ থেকেও বলা হলো, তিনি এসবের কিছুই জানেন না, কখন এসে তার পাশে দাঁড়িয়ে ঐ ক্যাডাররা "পোজ' দিয়েছে আর পত্রিকাওয়ালারা ছবি তুলেছে- তিনি নাকি টের পান নি।
সে সময় প্রথম আলোয় কলাম লিখতেন গাফফার চৌধুরি। একুশ শতকের বটতলায়। অনবরত দলীয় প্রচারনা-টাইপ কলামের কারনে বহু আগেই তিনি আরো অনেকের মতই আমার কাছেও শ্রদ্ধার আসন হারিয়েছেন।
ইকবাল-কান্ডের পরেও তিনি কলম ধরলেন।
একুশ শতকের বটতলায় লেখা হলো- ছবি সব সময় সত্য কথা বলে না। ঠিক মনে নেই, সম্ভবত ওখানে সরাসরি দাবী করা হয় নি যে ইকবালের ছবিটা সাজানো, কিন্তু বারবার নানা রকম ঘটনা ও পূর্বাপর ইতিহাসের উল্লেখ করা হয়েছিলো- যেসব ক্ষেত্রে ভুল ছবির কাহিনি ঘটেছে।
তখনও গাফফার চৌধুরীর মোহ কাটেনি এমন একজন সহপাঠীর সাথে এই নিয়ে বেদম তর্ক হলো। আমি বললাম- এটা নির্লজ্জ সমর্থন। সহপাঠী বারবার ডিফেন্ড করলো, দ্যাখ - উনি তো একবারো বলেননি এই ছবি ভুল, বলেছেন ছবি ভুল হতেই পারে।
আমার কথা ছিলো- ঠিক এই সময়েই এমনটা বলার কারন কি? এই কলামটাই এক মাস আগে বা পরে লেখা হতে পারতো- কিন্তু ইকবাল-কান্ডের পরপরই এরকম কলামের মানে কি হতে পারে? মানে একটাই, জনাব চৌধুরী জানেন যে তাঁর একটা গ্রহনযোগ্যতা আছে, সেটা সুযোগ বুঝে কাজে লাগালেন। একটা বিভ্রান্তির সৃষ্টি করে পরোক্ষ সমর্থন দিলেন। নিজের ইমেজ কাজে লাগিয়ে এরকম কিছু করা- এটা ভন্ডামি নয়?
তবু অবিচল সেই সহপাঠী। শেষমেষ বিরক্ত হয়ে বলেছিলাম, [গাঢ়]ঝোঁপ বুঝে কোপ মারা [/গাঢ়]বুঝিস? না বুঝলে এই বার বুঝে নে!

-------------------

ব্লগে ইদানীং নানা রঙ্গ-তামাশা দেখা যাচ্ছে।
গোয়াল কিংবা খামার পলাতক একদল চতুষ্পদ এখানে এসে অশ্রাব্য চিৎকার করছে।
এসমস্ত চিৎকার চিরকালই অসহ্য লাগে। রেগে গেলে নিজেও দিয়ে বসি মাঝে মাঝে, তবু- সমর্থন করি না। শুরুতে অনেক বলেছি। এখন আর গা করি না। আশার কথা হচ্ছে- কয়েকজন এখনো এসবের প্রতিবাদ করছেন। কর্তৃপক্ষকে বলা হচ্ছে বারবার-এসবের প্রতিকারের উপায় বের করতে।
কিন্তু সমস্যা হচ্ছে- অতি বিবেকবান কেউ কেউ আবার আরো এক কাঠি উপরে গিয়ে সেসবের উৎস সন্ধানে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। কে কোথায় কবে শুরু করলো- কে বেশি অবদান রেখেছে- এইসব আর কি!
তা হতেই পারে। এরকম মহান দায়িত্ব কাউকে না কাউকে পালন করতেই হয়। সঠিক সমালোচনা কিংবা প্রতিকারের জন্যে হলেও জানা দরকার আছে প্রত্যেকের অবদান।

সবই ঠিক।
শুধু ঝামেলা বাঁধিয়েছে সময়জ্ঞান।
সময়,আগুপিছু ঘটনা এবং পরিপ্রেক্ষিত বিবেচনা করে আমার কেন জানি সেই পুরোনো বাগধারাই মনে পড়ছে বারে বারে, [গাঢ়] ঝোঁপ বুঝে কোপ মারো [/গাঢ়] ।


--
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০
১৯টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

পাইলট ফিস না কী পয়জনাস শ্রিম্প?

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১২ ই মে, ২০২৪ সকাল ৭:৪০

ছবি সূত্র: গুগল

বড় এবং শক্তিশালী প্রতিবেশী রাষ্ট্রের পাশে ছোট ও দূর্বল প্রতিবেশী রাষ্ট্র কী আচরণ করবে ? এ নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক অধিক্ষেত্রে দুইটা তত্ত্ব আছে৷৷ ছোট প্রতিবেশি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার মায়ের চৌহদ্দি

লিখেছেন শাওন আহমাদ, ১২ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩৫



আমার মা ভীষণ রকমের বকবকিয়ে ছিলেন। কারণে-অকারণে অনেক কথা বলতেন। যেন মন খুলে কথা বলতে পারলেই তিনি প্রাণে বাঁচতেন। অবশ্য কথা বলার জন্য যুতসই কারণও ছিল ঢের। কে খায়নি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছেলেবেলার অকৃত্রিম বন্ধু

লিখেছেন ঢাবিয়ান, ১২ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৯

খুব ছোটবেলার এক বন্ধুর গল্প বলি আজ। শৈশবে তার সাথে আছে দুর্দান্ত সব স্মৃতি। বন্ধু খুবই ডানপিটে ধরনের ছিল। মফস্বল শহরে থাকতো। বাবার চাকুরির সুবাদে সেই শহরে ছিলাম... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দেশ ও জাতি সম্পর্কে আমাদের ১ জন ব্যুরোক্রেটের ধারণা!

লিখেছেন সোনাগাজী, ১২ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১৭



নীচে, আমাদের দেশ ও জাতি সম্পর্কে আমাদের ১ জন ব্যুরোক্রেটের ধারণাকে ( পেশগত দক্ষতা ও আভিজ্ঞতার সারমর্ম ) আমি হুবহু তুলে দিচ্ছি। পড়ে ইহার উপর মন্তব্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

জমিদার বাড়ি দর্শন : ০০৮ : পাকুটিয়া জমিদার বাড়ি

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১২ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:২৪


পাকুটিয়া জমিদার বাড়ি

বিশেষ ঘোষণা : এই পোস্টে ৪৪টি ছবি সংযুক্ত হয়েছে যার অল্প কিছু ছবি আমার বন্ধু ইশ্রাফীল তুলেছে, বাকিগুলি আমার তোলা। ৪৪টি ছবির সাইজ ছোট করে ১৮ মেগাবাইটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×