পিতা-মাতার প্রতি ইহসান করো
তোমার রব নির্দেশ দিচ্ছেন, তোমরা তাঁর ছাড়া আর কারো দাসত্ব করো না এবং পিতামাতার প্রতি ইহসান করো। তোমাদের কাছে যদি তাদের কোন একজন কিংবা দু'জনই বৃদ্ধ অবস্থায় থাকেন, তবে তাদের প্রতি কোন অবজ্ঞামূলক কথা উচ্চারণ করো না, তাদের প্রতি বিরক্তি প্রকাশ করো না, বরং তাদের সাথে সম্মানের সাথে কথা বলো। (বনি ইসরাঈল : 23)
প্রিয় বন্ধুরা, কুরআনের ভাষায় ইহসান বলতে দয়া, অনুগ্রহ, প্রাপ্যের চেয়ে বেশি দেয়া, দায়িত্বের চেয়ে বেশি করা, সুন্দর ব্যবহার করা, চমৎকার আচরণ করা ইত্যাদি বুঝানো হয়েছে।
তোমরা নিশ্চয় বুঝতে পেরেছো এখানে মানুষের দু'টি কর্তব্যের প্রতি নির্দেশ দেয়া হয়েছে_
এক. আলস্নাহর প্রতি কর্তব্য,
দুই. পিতা-মাতার প্রতি কর্তব্য।
আলস্নাহর কর্তব্য পালনের পরই মানুষের সবচেয়ে বড় কর্তব্য হলো পিতা-মাতার সাথে ভাল ব্যবহার করা, তাঁদেরকে সম্মান ও শ্রদ্ধা করা, তাঁদের সেবা-যত্ন করা।
বন্ধুরা, আমাদের প্রিয় নবীও (সা) মাতা-পিতার প্রতি সর্বদা ভালো ও উত্তম আচরণের প্রতি তাকিদ দিয়েছেন। তোমরা জানো, মায়ের আদেশ পালন করতে গিয়ে তোমাদের মতো কিশোর- তরম্নণ বয়সে বায়েজীদ বোসত্দামি পানির গস্নাস হাতে নিয়ে সারারাত মায়ের শিয়রে দাঁড়িয়ে ছিলেন। যার ফলে মায়ের দোয়ায় তিনি অনেক বড় হয়েছিলেন। পিতা-মাতার সাথে ভালো ব্যবহার করলে দোয়া কবুল হয়।
তাহলে এসো আমরা আলস্নাহর কর্তব্য পালনের পাশাপাশি পিতামাতার কর্তব্যও যথাযথভাবে পালন করি। বিশেষ করে বৃদ্ধ পিতামাতার প্রতি দরদ ও সহানুভূতি দেখাই। তাদেরকে কখনো অবজ্ঞা, অবহেলা, অযত্ন না করি। তাঁদের সেবা করতে গিয়ে বিরক্ত না হয়ে পড়ি। বন্ধুরা, আমরা সব সময় পিতামাতার জন্য দোয়া করবো এবং তাঁদের কথা মান্য করবো।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০