somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আবদুল হাই শিকদারের সংক্ষিপ্ত জীবন বৃত্তান্ত

১০ ই আগস্ট, ২০০৬ ভোর ৬:০৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বাংলাদেশে সাহিত্য চর্চার ৰেত্রে সর্বোচ্চ সম্মান বাংলা একাডেমী সাহিত্য পুরস্কারপ্রাপ্ত কবি আবদুল হাই শিকদার দেশের একজন স্বনামধন্য কবিই শুধু নন- তিনি একজন বিশিষ্ট সাংবাদিকও বটে। টিভি উপস্থাপনায়ও তিনি দৰতা প্রদর্শন করেছেন। কবিতা, গবেষণা, শিশু সাহিত্য, গল্প, ভ্রমণ ইত্যাদি বিষয়ে এখন তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা ষাটের অধিক।
বাংলাদেশের বুদ্ধিবৃত্তির মূলধারা এবং প্রতিবাদী অগ্রসরমান তারম্নণ্যের সার্থক প্রতিনিধি কবি আবদুল হাই শিকদার।
বাংলা কবিতার শেষ প্রানত্দ যেমন তাঁর উপস্থিতিতে হয়েছে উজ্জ্বল, তেমনি সাংবাদিক হিসেবেও অর্জন করেছেন দেশজোড়া খ্যাতি। আবার একদিকে সাংস্কৃতিক সংগঠক হিসেবে তিনি বিজাতীয় অপসাংস্কৃতিক আগ্রাসনের বিরম্নদ্ধে প্রতিরোধ যুদ্ধে আপ্রাণ, অন্যদিকে আত্মানুসন্ধানী উপস্থাপক হিসেবে বিটিভিতে যোজনা করেছেন ভিন্ন মাত্রার দ্যোতনা। আমাদের শিশু-সাহিত্য তাঁর স্পর্শে হয়েছে প্রাণবনত্দ।
সঙ্গত কারণেই আধিপত্যবাদ ও কায়েমি স্বার্থের তল্পিবাহকদের রোষের শিকার হয়েছেন বার বার। শুধুমাত্র রাজনৈতিক ভিন্নমত পোষণের কারণে '96 এর 25 সেপ্টেম্বর তাকে হত্যার ঘৃণ্য উদ্যোগ নেয় তারা। পরের বছর 11 সেপ্টেম্বর তাকে চাকরিচু্যত করে 'সাপ্তাহিক বিচিত্রা' থেকে। এরপর তাকে বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অপচেষ্টায় মেতে ওঠে একই চক্র।
তারপরও আবদুল হাই শিকদার মাথা নত না করা এক কলম সৈনিক, এক শিকড় সন্ধানী গবেষক। সাহসের অপর নাম যদি প্রতিভা হয়, তাহলে তিনি তাই। বাক, ব্যক্তি স্বাধীনতা ও মানবাধিকারের সপৰে তিনি সত্যিকার অর্থেই অকুতোভয় লড়াকু। আবার বিশ্বাসের সঙ্গে বিজ্ঞান, ঐতিহ্যের সঙ্গে আধুনিকতার সংমিশ্রণে সমুন্নত হয়েছে তার শিল্পের পতাকা।
বিশেষ করে বর্তমান সময়ে নজরম্নল গবেষণা ও চর্চার ৰেত্র সমপ্রসারণ ও গতিশীল করার ৰেত্রে তিনি যোগ করেছেন তাৎপর্যপূর্ণ নতুন মাত্রা। তাঁর 'বাংলাদেশে নজরম্নলের বাংলাদেশ' গ্রন্থটি নজরম্নল গবেষণার ৰেত্রে একটি গুরম্নত্বপূর্ণ সংযোজন। নজরম্নল গবেষণায় ইতোমধ্যে অর্ধডজন গ্রন্থ উপহার দিয়েছেন তিনি। বাংলাদেশ টেলিভিশনে এ যাবৎ প্রচারিত নজরম্নল সংক্রানত্দ শতাধিক অনুষ্ঠানের তিনি পরিকল্পনাকারী ও উপস্থাপক। নজরম্নল ইনস্টিটিউটের প্রথম তথ্যচিত্র 'কুমিলস্নার নজরম্নল' এর তিনি পরিচালক ও গ্রন্থনাকারী। তাঁরই নিরনত্দর লেখালেখি, ব্যক্তিগত উদ্যোগ ও প্রসত্দাব অনুসারে বাংলা একাডেমীতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে 'নজরম্নল স্মৃতি কৰ' ও 'নজরম্নল মঞ্চ'। চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নজরম্নল স্মৃতি রৰার জন্য তিনি চালিয়ে যাচ্ছেন নিরলস প্রচেষ্টা। এর ফলে ইতোমধ্যে চট্টগ্রামে গড়ে উঠেছে 'নজরম্নল স্কোয়ারের' বিরাট স্থাপনা। বঙ্গোপসাগরের তীরে পতেঙ্গায় স্থাপিত হয়েছে নজরম্নল স্মৃতি ফলক।
স্বাধীনতার পর এদেশের প্রথম নিয়মিত সাহিত্য মাসিক 'এখন' এর তিনি ছিলেন প্রতিষ্ঠাতা ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক।
তাঁর নজরম্নল চর্চায় সামগ্রিক অবদানের কথা বিবেচনা করেই, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ দেশের একমাত্র সরকারি নজরম্নল চর্চার প্রতিষ্ঠান নজরম্নল ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালকের দায়িত্ব ভার তাঁকে অর্পণ করেছে। এই প্রতিষ্ঠানে যোগ দেয়ার আগে তিনি দেশের একমাত্র সরকারি বার্তা সংস্থা বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) ফিচার বিভাগের প্রধানের পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। তিনি যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, থাইল্যান্ড, জাপান, ভারত ও চীনসহ বহু দেশ ভ্রমণ করেছেন।
বাংলাদেশের শিশু সাহিত্যে তিনি নিয়ে এসেছেন নতুন প্রাণচাঞ্চল্য। বিষয় উপকরণ ভাষা সব কিছুতেই তিনি এখানে সঞ্চার করেছেন নতুন চেতনা। ফলে সামান্য বিষয় হয়ে উঠছে অসামান্য। শিশুদের প্রাণের পাশে তার নির্মিত আসন এখন অনেকটাই স্থায়ী। ইতোমধ্যে ব্যাপক পাঠকপ্রিয়তায় তিনি হয়েছেন অভিষিক্ত।

নাম : আবদুল হাই শিকদার
পিতা : মরহুম ওয়াজেদ আলী শিকদার
মাতা : মরহুম হালিমা খাতুন
স্থায়ী ঠিকানা : গ্রাম-দৰিণ ছাট গোপালপুর,
উপজেলা ও ডাকঘর-ভুরম্নঙ্গামারী,
জেলা-কুড়িগ্রাম
বর্তমান ঠিকানা : সি-110, তৃতীয় কলোনী, লালকুঠি, মাজার রোড, মিরপুর, ঢাকা।
জন্ম তারিখ : 1 জানুয়ারি 1957
ধর্ম : ইসলাম
জাতীয়তা : বাংলাদেশী
পেশা : সাংবাদিকতা
সাংবাদিকতার অভিজ্ঞতা : 26 বছর
শিৰাগত যোগ্যতা : স্নাতক সম্মান, বাংলা, 1979, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।

চাকরিগত অবস্থান
নির্বাহী পরিচালক, নজরম্নল ইনস্টিটিউট 2005- চিফ অব ফিচার সার্ভিস, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস) 2004-05 সহকারী সম্পাদক, দৈনিক ইনকিলাব 1997-2004
সহকারী সম্পাদক, সাপ্তাহিক বিচিত্রা (টাইমস বাংলা ট্রাস্ট) 1994-1997
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক, মাসিক এখন (বাংলাদেশের প্রথম নিয়মিত সাহিত্য মাসিক) 1986-87 সহকারী সম্পাদক ও সাহিত্য সম্পাদক দৈনিক মিলস্নাত 1987-1994
সহকারী সম্পাদক, সিনিয়র সহ-সম্পাদক, প্রতিবেদক, সাপ্তাহিক সচিত্র স্বদেশ, 1981-86

সামাজিক পরিচিত
কবি, সাংবাদিক, শিশু-সাহিত্যিক, নজরম্নল গবেষক, সাংস্কৃতিক সংগঠক, গল্পকার, টিভি উপস্থাপক।

সাহিত্য পত্রিকা সম্পাদনা
আশির দশক-1986
আশ্রয়ের খোঁজে কতকাল-1987
শাব্দিক সাহিত্যপত্র-1977

সরকারি কার্যক্রম (দায়িত্ব পালনরত)
সদস্য : পরিচালনা বোর্ড, জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র
সদস্য : প্রকাশনা কমিটি, বাংলাদেশ শিশু একাডেমী
সদস্য : বেসরকারি পাঠাগার অনুদান কমিটি, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়
সদস্য : সরকারি-বেসরকারি স্কুল কলেজের বইপত্র নির্বাচন কমিটি, শিৰা মন্ত্রণালয়
সদস্য : বিদ্যালয় পরিদর্শন কমিটি, শিশু কল্যাণ ট্রাস্ট, প্রাথমিক ও গণশিৰা মন্ত্রণালয়

প্রশিৰণ
সমপাদকীয় লেখকদের কর্মশিবির, বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউট 1991
প্রকাশনায় আধুনিক প্রযুক্তি, জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র 1989
পুসত্দক বিক্রয় প্রশিৰণ কোর্স, জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র 1394

সাংগঠনিক কার্যক্রম
ফেলো, বাংলা একাডেমী
আজীবন সদস্য, বাংলাদেশ ইতিহাস পরিষদ
আজীবন সদস্য, জাতীয় নজরম্নল সমাজ
আজীবন সদস্য, কাউন্সিল ফর ন্যাশনাল কালচার
সহসভাপতি, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন
সদস্য-সচিব, যুগ্ম সম্পাদক, সহসভাপতি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাস) কেন্দ্রীয় কমিটি
সভাপতি, এখন আবৃত্তি সংসদ
সভাপতি, বাংলাদেশ কালচারাল একাডেমী
উপদেষ্টা, মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম
উপদেষ্টা, জাতীয় এইডস প্রতিরোধ কমিটি
উপদেষ্টা, শিশু সংগঠন ফেডারেশন
উপদেষ্টা সভাপতি, জাতীয়তাবাদী লেখক ফোরাম
উপদেষ্টা, জিয়া নাগরিক ফোরাম
উপদেষ্টা, স্বদেশী জাতীয়তাবাদী কেন্দ্র (স্বজাগ)
সদস্য, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি
সদস্য, ইউনিভার্সিটি ফিল্ম সোসাইটি
সদস্য, বাংলাদেশ লেখক ইউনিয়ন
সদস্য, ভাসানী স্মৃতি সংসদ
সদস্য, শহীদ দেশপ্রেমিক স্মৃতি সংসদ

বিশেষ সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড
কো-সদস্য সচিব, চতুর্দশ শতাব্দী পূর্তি উদযাপন জাতীয় কমিটি, (আহ্বায়ক, দেওয়ান মোহাম্মদ আজরফ, সদস্য সচিব, জাহিদ হোসেন চুন্নু। এ কমিটির অনুষ্ঠানমালা উদ্বোধন করেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া)।
সদস্য সচিব, মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানী মৃতু্যবার্ষিকী পালন জাতীয় কমিটি 1987 (আহ্বায়ক, কমরেড আবদুল মতিন)।
সদস্য সচিব, বখতিয়ার খিলজীর বঙ্গ বিজয়ের 747তম বার্ষিকী উদযাপন 1997 (আহ্বায়ক আরিফুল হক)
সদস্য সচিব, পলাশী ট্র্যাজেডির 240তম বার্ষিকী স্মরণ জাতীয় কমিটি (আহ্বায়ক আরিফুল হক, জুন 1997)।
সদস্য, বাংলাদেশ ইতিহাস কেন্দ্র উদযাপন কমিটি।
সদস্য, নজরম্নল জন্মশতবার্ষিকী জাতীয় কমিটি, 1999, (এই কমিটির অনুষ্ঠানমালা উদ্বোধন করেন তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া)।
সদস্য সচিব, মনীষী সৈয়দ আলী আহসান স্মরণ নাগরিক কমিটি 2002 (আহ্বায়ক, প্রফেসর এমাজউদ্দীন আহমদ)।
সদস্য,শত নাগরিক কমিটি (আহ্বায়ক, প্রফেসর এমাজউদ্দীন আহমদ)।
প্রধান সমন্বয়কারী, দৈনিক ইনকিলাব গণসেমিনার ও গোলটেবিল প্রস্তুতি কমিটি (এই কমিটির আওতায় 1997-2001 পর্যনত্দ শতাধিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়)।
একক কবি, যুক্তরাজ্যের ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে আয়োজিত 'স্বরচিত একক কবিতা পাঠ' অনুষ্ঠান প্রথম বাংলাদেশী কবি হিসেবে আমন্ত্রিত 1995।

নজরম্নল বিষয়ক কর্মকাণ্ড
ইরানের রাজধানী তেহরানে অনুষ্ঠিত আনত্দর্জাতিক নজরম্নল সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপক (1 ফেব্রম্নয়ারি 2006)।
বাংলা একাডেমীর বর্ধমান হাউজে 'নজরম্নল স্মৃতিকৰ' প্রতিষ্ঠার বিশেষ অবদান।
বাংলা একাডেমীর বটমূলে 'নজরম্নল মঞ্চ' প্রতিষ্ঠা ও বাসত্দবায়নের প্রসত্দাবক।
চট্টগ্রাম মহানগরে সুবিখ্যাত ডিসি হিলে 8 একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত 'নজরম্নল স্কোয়ার' প্রতিষ্ঠার উদ্যোক্তা।
কবির স্মৃতিধন্য পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে নজরম্নল স্মৃতি ফলক 'তোমার চরণ স্মরণ চিহ্ন' স্থাপনের প্রধান উদ্যোক্তা।
নজরম্নল জন্মশত বার্ষিকী জাতীয় কমিটির নির্বাহী পরিষদের সদস্য হিসেবে বছরব্যাপী অনুষ্ঠানমালায় গুরম্নত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন।
বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি)-এ নজরম্নল সংক্রানত্দ শতাধিক অনুষ্ঠানের উপস্থাপক ও পরিকল্পনাকারী।
রংপুর শহরে অনুষ্ঠিত তিন দিনব্যাপী 'নজরম্নল উৎসব' ও বইমেলার অন্যতম উদ্যোক্তা। স্কটল্যান্ডের গস্নাসগোতে প্রতিষ্ঠিত 'নজরম্নল ও বার্নস্ সেন্টারে' সহায়তা প্রদান।
নজরম্নল ইন্সটিটিউটের নির্বাহী পরিচালক হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণের পর বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের মাধ্যমে দেশী-বিদেশী পর্যটকদের জন্য প্রথমবারের মতো 'নজরম্নল পর্যটন' চালুর উদ্যোগ গ্রহণ ও বাসত্দবায়ন।
নজরম্নল ইন্সটিটিউটে প্রথমবারের মতো 'আবৃত্তি প্রশিৰণ কোর্স' চালুকরণ।
নজরম্নল রচনাবলী বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদের ৰেত্রে ভূমিকা পালন।
নজরম্নল ইন্সটিটিউটের কার্যক্রম বিশেষ করে প্রকাশনা ও স্বরলিপি সত্যায়ন ও প্রত্যয়ন কার্যক্রমে গতিশীলতা আনয়ন।
নজরম্নল ইনস্টিটিউটে 'নজরম্নলের গানে ও কবিতায় পাখি' শীর্ষক 7 দিনব্যাপী প্রদর্শনীর ব্যবস্থা গ্রহণ করে পাখি বিশারদ, পরিবেশ বিশেষজ্ঞ ও শিশু-কিশোরদের মধ্যে নজরম্নলপ্রীতি বৃদ্ধি করার ৰেত্রে কার্যকর ভূমিকা পালন।
নজরম্নল স্মৃতি বিজড়িত স্থানসমূহের ওপর তথ্যচিত্র নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ।
কবির সানি্নধ্যধন্য শিল্পীদের গাওয়া আদি গ্রামোফোন রেকর্ড থেকে বাছাই করা গান নিয়ে প্রকাশ করেছেন 12টি গানের অডিও সিডি।

টেলিভিশনে পরিচালিত কার্যক্রম
উপস্থাপক, বাংলাদেশ টেলিভিশন 1992-96, 2003- শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি, ইতিহাস ও ঐতিহ্য ভিত্তিক ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান 'কথামালার' উপস্থাপক, পরিকল্পক ও গ্রন্থনাকারী। এই অনুষ্ঠান জাতীয় সংস্কৃতি বিকাশ ও শিকড় সন্ধানে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। মুসলিম বাংলার প্রথম কবি শাহ মোহাম্মদ সগীর, মধ্যযুগের কবি আবদুল হাকিম, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, মীর মশাররফ হোসেন, ড. মোহাম্মদ শহীদুলস্নাহ, মহাকবি কায়কোবাদ, কবি সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত, কবি মোহিতলাল মজুমদার, বাংলা সনের প্রতিষ্ঠাতা আমীর ফতেহউলস্নাহ খান সিরাজী, কাঙ্গাল হরিণাথ মজুমদার, শেখ ফজলুল করিম, আবুল মনসুর আহমদ, নবাব সিরাজদৌলা, কবি হেয়াত মামুদ, মহাকবি হাফিজ, কবি ফররম্নখ আহমদ, নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী, কাগমারী সাংস্কৃতিক সম্মেলন, শহীদ জিয়ার সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড, ফারায়েজী আন্দোলন এবং জাতীয় কবির জীবনের অনেক অনুদঘাটিত দিক নিয়ে সরেজমিন প্রতিবেদন প্রচার করা হয়।

এটিএন বাংলা : 'এই দেশ এই সময়' শিরোনামে একটি ধারবাাহিক টকশো উপস্থাপনা।
চ্যানেল আই : বিশেষ অনুষ্ঠান উপস্থাপনা। তৃতীয় মাত্রায় অংশগ্রহণ।

তথ্যচিত্র নির্মাণ
'কুমিলস্নায় নজরম্নল' জাতীয় কবির ওপর নজরম্নল ইন্সটিটিউট প্রযোজিত প্রথম তথ্যচিত্র 2006।
'ত্রিশালে নজরম্নল' তথ্যচিত্র 2006
'চট্টগ্রামে নজরম্নল' (নির্মাণাধীন)
'ঢাকায় নজরম্নল' (নির্মাণাধীন)

আলোকচিত্র প্রদর্শনী
আর কোন পলাশী নয়, একক আলোকচিত্র প্রদর্শনী 1997 (উদ্বোধন করেন তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী বর্তমান প্রধানমনত্রী বেগম খালেদা জিয়া)
আর কোন পলাশী নয়, একক আলোকচিত্র প্রদর্শনী 1995
আর কোন পলাশী নয়, একক আলোাকচিত্র প্রদর্শনী- 1994

প্রকাশিত গ্রন্থ
কাব্য :
1. আশি লৰ ভোর- 1987
2. আগুন আমার ভাই-1991
3. রেলিং ভরা নদী-1992
4. যুগলবন্দী ভূগোল (যৌথ) 1992
5. মানব বিজয় কাব্য-1992
6. এই বধ্যভূমি একদিন স্বদেশ ছিলো-1997
7. লোডশেডিং নামিয়াছে-2001
8. দুধকুমারের জানালাগুলি-2001
9. কবিতা সমগ্র-2001
10. সুন্দরবন গাথা-2003
11. মেঘমাতৃক ধাতুতান্ত্রিক-2004
12. শ্রেষ্ঠ কবিতা-2006
13. হাফিজ, এই যে আমার দরখাসত্দ 2006
14. গাড়ি সিদ্ধেশ্বরীর দিকে ঘুরে গেল-2006
শিশু সাহিত্য :
15. কিশোর মওলানা ভাসানী-1990
16. গান পাখিদের দিন-2001
17. ইউলিয়ারা পথ হারালো-2001
18. মওলানা ভাসানী-1995
19. বাঘ বাহাদুর-2002
20. এডভেনচার কচিখালী-2002
21. কাঁথা বাঘের রহস্য-2003
22. বাঘের মহান দড়িস্মৃতি-2003
23. পাখিবন্ধু অনীক উদ্যান-2004
24. দাদির বনের গাছ বিরিৰি-2005
25. দারম্নণ সুন্দর সুন্দরবন-2005
26. শ্রাবনত্দীর মনের মায়াবাড়ী-2002
27. ফুলপরীর সব মনে আছে-2002
28. সময় ছিল দুপুর- 2002
29. ভ্যাসপার ক্যাসপার-2003
30. আমাদের দাদী-2003
প্রবন্ধ :
31. বাংলাদেশের পথ-2001
32. জানা অজানা মওলানা ভাসানী-2001
33. বাংলা সাহিত্য : নৰত্রের নায়কেরা-2003
34. দেশ সময় সমাজ : চড়াই উতরাইয়ের প্রচ্ছদ-2006
35. কালের কহলার : আবর্তনের স্থিরচিত্র-2006

ভ্রমণ কথা :
36. পলাশী ট্র্যাজেডির 234 বছর পর : সিরাজদৌলা মুর্শিদাবাদ-1992
37. কবিতীর্থ চুরম্নলিয়া-1997
38. নিপ্পন নি সাসাগু-2000
39. সোনারগাঁও : অনত্দরে বাইরে তুমি রূপকথা-2001
40. ফিরে ফিরে আসি-2003
41. ভ্রমণ সমগ্র-2006

জীবনী
42. মনিরউদ্দীন ইউসুফ-1992

সম্পাদনা
43. চলিস্নশ বছরের প্রেমের কবিতা-1984
44. আমাদের মিলিত সংগ্রাম মওলানা ভাসানীর নাম-1986
45. আলমগীর কবির 1989
46. মনিরউদ্দীন ইউসুফের অগ্রন্থিত কবিতা-1991
47. যে আগুন ছড়িয়ে দিলে-1993
48. বাংলা কবিতার দেশনেত্রী-2003
49. অবিস্মরণীয় 7 নভেম্বর 2002
50. মওলানা ভাসানীর হক কথা-2003
51. সৈয়দ আলী আহসান : মনীষার মুখ-2003
52. সৈয়দ আলী আহসান স্মারকগ্রন্থ-2005
53. মনিরউদ্দীন ইউসুফের উপন্যাস সমগ্র-2003

নজরম্নল বিষয়ক :
54. কবিতীর্থ চুরম্নলিয়া-1997
55. বাংলাদেশে নজরম্নল নজরম্নলের বাংলাদেশ
তোমার চরণ স্মরণ চিহ্ন-2003
56. বাংলাদেশে নজরম্নল চর্চা : মুখোশ ও বাসত্দবতা-2003
57. জাতীয় কবি ও শহীদ জিয়া-2005
58. নজরম্নল রচনায় পলাশী ট্র্যাজেডি-2005
59. নজরম্নল রচনায় মোহররম-2006
60. অ্যালবাম : চিত্রকলায় নজরম্নল-2006
61. কঊগঅখ চঅঝঐঅ : ওঘ ঞঐঊ ঊণঊঝ ঙঋ কঅতও ঘঅতজটখ ওঝখঅগ
গল্প
62. শুকুর মামুদের চুয়াত্তর ঘাট-2002

চলচ্চিত্র
63. বাংলাদেশের চলচ্চিত্র : ইতিহাসের এক অধ্যায়-2003

পত্রপত্রিকায় প্রকাশ
রাজনীতি, শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি ইত্যাদি বিষয়ে দেশের জাতীয় দৈনিক, সাপ্তাহিক ও অন্যান্য জার্নালে প্রকাশিত প্রবন্ধ, প্রতিবেদন, ফিচারের সংখ্যা সহস্রাধিক।

দেশ ভ্রমণ
ভারত-1988, 1991
জাপান-1992
যুক্তরাজ্য-1995
ফ্রান্স-1995
চীন-2002
থাইল্যান্ড-2002
ইরান-2006

পুরস্কার, সম্মাননা
চুরম্নলিয়া নজরম্নল একাডেমী পদক 2006
বাংলা একাডেমী সাহিত্য পুরস্কার 2003
কবি তালিম হোসেন ট্রাস্ট পুরস্কার 2003
জাতীয় প্রেসকাব সম্মাননা 2003
কুড়িগ্রাম প্রেসকাব সংবর্ধনা 2002
আলপনা সাহিত্য পুরস্কার 2002
জাতীয় নজরম্নল সমাজ পদক 2001
বোচাগঞ্জ প্রেসকাব সংবর্ধনা পদক 2001
নজরম্নল সম্মাননা, লাঙ্গলকোর্ট 2001
আবদুল হাই শিকদার সংবর্ধনা 1996
ভুরম্নঙ্গামারী প্রেসকাব সংবর্ধনা 1995
গস্নাসগো বেঙ্গলি পারফরমিং আর্টস পদক 1995
রংপুর নাগরিক সংবর্ধনা পদক 1995
লক্ষ্মীপুর সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদ সংবর্ধনা পদক 1995
কালচক্র একুশে স্মৃতি স্বর্ণপদক 1994
স্বাধীনতা পদক 1995
ভাসানী সনদ 1987

অন্যান্য
স্ত্রী, আবিদা শিকদার
পুত্র, পরম ওয়াজেদ শিকদার
কন্যা, প্রকৃতি ওয়াজেদ শিকদার


চে গুয়েভারার একটা কথা আছে, আমাদের প্রতিটি কাজ সত্যিকার অর্থে একটি করে যুদ্ধ ঘোষণা, এই যুদ্ধ সাম্রাজ্যবাদের বিরম্নদ্ধে, আধিপত্যবাদের বিরম্নদ্ধে। এখন এই কাজগুলো যদি জনগণের চিত্তলোকের অধিকারীদের দ্বারা নন্দিত হয়, তাহলে সে প্রাপ্তির সাথে আর কোন কিছুরই তুলনা হতে পারে না।
মায়ের সনত্দানরা যখন প্রশংসিত হয়, তখন নিজের অজানত্দেই আনন্দের বিশেষ প্রবাহ তাঁর চোখকে ভাসিয়ে নিয়ে যেতে পারে পানিতে।

আবার কবি শেখ ফজলুল করিমের আৰেপটাও ভাবনার বিষয়- এতোটা পথ একলা চলেছেন। কেউ বললো না, পথিক এখানে গাছের ছায়ায় একটু জিরিয়ে যাও। ফলে নিজের অজানত্দেই মুখ ফসকে বলে বসেছেন, বঙ্গীয় মুসলমানের হৃদয়গুলোতে মরম্নদ্যানের প্রভাব খুব বেশি নেই। ধনে এবং মনে দু'পথেই তারা গেছে।
আসলেই আনন্দ এবং বেদনা, কুসুম ও কণ্টকের ভেতর দিয়ে খাঁটি বাংলাদেশী লেখকদের যাত্রা। তার চলার পথকে কর্দমাক্ত করার আয়োজন সর্বত্র। ঘরে তিনি কোটারী স্বার্থে ৰতবিৰত। বাইরের দুয়ার তার জন্য রম্নদ্ধ। তিনি মুখ থুবড়ে পড়লে, তার জন্য তখন কেবল অপেৰা করে তিনি এবং তার নিঃসঙ্গতা। এরপরও তিনি যদি উঠে দাঁড়ান, তাহলেও তিনি একলা। তার কষ্ট শুধুমাত্র তারই কষ্ট এই ব্যথা থেকে উপশম দান করার কেউ নেই তার জন্য। উল্টো মিডিয়ার দৌলতে তাকে সইতে হয় অযোগ্যের আস্ফালন। সিংহের গর্জন ভাল লাগে, কিন্তু বাঁদরের ভেংচিকে কতৰণ শিল্প বলে মেনে নেয়া যায়? বাংলাদেশের লেখকদের হরদম এসব মেনে তারপর বলতে হয় : তুমি আছ, আমি আছি।
এবার বলি, 'কিশোরকণ্ঠ'র সহৃদয় পাতাগুলোতে বিসত্দর লিখেছি আমি। কখনো বানাতে চেয়েছি দৰ স্ট্রাইকার, কখনো হাঁকাতে চেয়েছি ছক্কা, কখনো বা রোদ্দুর ও জোছনাকে অাঁকতে চেয়েছি একটি রেখায়- এক সময় আতিথ্যজনিত অভাবে পেয়ে বসেছে কানত্দি।
সেসব কিছু তাহলে কেউ না কেউ মনে রেখেছিল! নইলে এই পুরস্কার কপালে জুটলো কি করে?
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুরসি নাশিন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৫


সুলতানি বা মোগল আমলে এদেশে মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল৷ আশরাফ ও আতরাফ৷ একমাত্র আশরাফরাই সুলতান বা মোগলদের সাথে উঠতে বসতে পারতেন৷ এই আশরাফ নির্ধারণ করা হতো উপাধি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আর আদর্শ কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৭

তার বিশেষ কিছু উক্তিঃ

১)বঙ্গবন্ধু বলেছেন, সোনার মানুষ যদি পয়দা করতে পারি আমি দেখে না যেতে পারি, আমার এ দেশ সোনার বাংলা হবেই একদিন ইনশাল্লাহ।
২) স্বাধীনতা বৃথা হয়ে যাবে যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

কৃষ্ণচূড়া আড্ডার কথা

লিখেছেন নীলসাধু, ১৯ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:০২



গতকাল পূর্ব নির্ধারিত কৃষ্ণচূড়ায় আড্ডায় মিলিত হয়েছিলাম আমরা।
বছরের একটি দিন আমরা গ্রীষ্মের এই ফুলটির প্রতি ভালোবাসা জানিয়ে প্রকৃতির সাথে থাকি। শিশুদের নিয়ে গাছগাছালি দেখা, ফুল লতা পাতা চেনাসহ-... ...বাকিটুকু পড়ুন

সকাতরে ঐ কাঁদিছে সকলে

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:২৯

সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে, শোনো শোনো পিতা।

কহো কানে কানে, শুনাও প্রাণে প্রাণে মঙ্গলবারতা।।

ক্ষুদ্র আশা নিয়ে রয়েছে বাঁচিয়ে, সদাই ভাবনা।

যা-কিছু পায় হারায়ে যায়,... ...বাকিটুকু পড়ুন

বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!

লিখেছেন নাজনীন১, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:০৯


যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।

কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!

ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×