যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে নৌ-বাহিনীর জাহাজ নির্মাণ ও মেরামত কারখানার একটি ভবনে বন্দুকধারীর গুলিতে ১২ জন নিহত হয়েছেন। পরে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে হামলাকারী নিজেও নিহত হন।
Published : 16 Sep 2013, 09:27 PM
সোমবার স্থানীয় সময় সকাল ৮টা ২০ মিনিটে নৌবাহিনীর সমুদ্র ব্যবস্থাপনা সদর দপ্তর ভবনে এ ঘটনা ঘটে। এই নৌঘাঁটিটি যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস ভবন ক্যাপিটল থেকে এক মাইল এবং প্রেসিডেন্টের অফিস ও বাসভবন হোয়াইট হাউস থেকে ৩ মাইল দূরে।
এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ১২ জন। তবে তাদের মধ্যে কতোজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন তা পরিষ্কারভাবে জানা যায়নি।
নিহত সন্দেহভাজন হামলাকারীকে শনাক্ত করেছে ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভিস্টিগেশন (এফবিআই)। ৩৪ বছর বয়সী এই সন্দেভাজনের নাম অ্যারন অ্যালেক্সিস। টেক্সাসের ফোর্ট ওর্থের বাসিন্দা আলেক্সিস যুক্তরাষ্ট্র নৌবাহিনীর সাবেক পেটি অফিসার এবং রিজার্ভ সেনা ছিল।
অ্যালেক্সিসের বিরুদ্ধে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে গোলাগুলির দুটি অভিযোগ তদন্তনাধীন আছে। অসদাচরণের দায়ে ২০১১ সালে তাকে নৌবাহিনীর রিজার্ভ সেনার পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়।
তার উদ্দেশ্যে ও তিনি কিভাবে নৌঘাঁটিতে প্রবেশ করলেন শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তা জানা যায়নি। গুলিবষর্ণের ঘটনার কয়েকঘন্টা পর সম্ভাব্য অপর আরেকজন সন্দেহাভাজনের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বন্দুকধারী নৌবাহিনীর সমুদ্র ব্যবস্থাপনা সদর দপ্তরে কোন একভাবে প্রবেশে করে পাঁচতলায় মিলনায়তনে এসে গুলিবর্ষণ শুরু করে। সঙ্গে সঙ্গেই উপস্থিত লোকজনের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। ফ্লোরের ফায়ার অ্যালার্মগুলো বেঁজে ওঠে ও সবাইকে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেয় পুলিশ।
কয়েকশত লোক তৎক্ষণাত পালিয়ে যায়, কেউ কেউ দেয়াল বেয়ে নামতে শুরু করে। বেপরোয়া গুলিবষর্ণের এক পর্যায়ে বন্দুকধারীকে ঘিরে ফেলে পুলিশ। এরপর পুলিশের সঙ্গে তার কয়েক দফা বন্দুকযুদ্ধ হয়। এরই এক পর্যায়ে পুলিশের গুলিতে নিহত হন বন্দুকধারী অ্যালেক্সিস।