somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বেসিক ইন্সটিংক্ট : এক এবং দুই

০৪ ঠা আগস্ট, ২০০৬ সন্ধ্যা ৭:৫৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

প্রথমটা দেখেছিলাম লুকিয়েলুকিয়ে। তখনো যৌনতা বিষয়ক কিশোরসুলভ চিত্তচাঞ্চল্য বিদ্যমান আমাদের মধ্যে। মানুষের বেসিক ইনস্টিংক্ট কি এটাই নাকি নিষ্ঠুরতা- এরকম কোন জটিলতর ভাবনা তখনো আমাদের কাছে অকারন।
লুকিয়ে দেখা আরো অনেক কিছুর লিষ্টে বেসিক ইন্সটিংক্ট নামক সিনেমাটিও ছিলো। মাহেনদ্্রক্ষণে যখন শ্যারোন স্টোন তার পা বদলালেন, সামনে বসে থাকা ডিটেকটিভদের পেছনে তখন আমরাও ছিলাম, আমরা-কিছু উদ্ভ্রান্ত কিশোর, গলায় আটকানো গন্ধম ফলের অস্তিত্ব অস্বিকারের চেষ্টায় বারে বারে ঢোক গিলছি সবাই।
আটকানো দরজার এপাশে, কমানো ভলিউমে, একসাথে বসে দেখতে দেখতেও নানা দৃশ্যে নিজেদের মাইকেল ডগলাস ভেবে ফেলবার মত স্বার্থপর নি:সঙ্গতায় আমরা কমবেশি সবাই আক্রান্ত। শ্যারোন স্টোনের তীব্রতায় ডুবতে ডুবতে আমরা নিষিদ্ধ গন্ধ পাই। সেই গন্ধ আমাকে বহু বছর আগে কেনা আমাদের ছোট্ট-নতুন-কাঠের শো-কেসটির কথা মনে পড়িয়ে দেয়। কি অদ্ভুত ঝাঁঝালো একটা গন্ধ ছিলো তাতে, আর কি সুন্দরই না সেই বাদামী রঙের পলিশ করা গা তার, শ্যারোন স্টোনের মতই।

দ্্বিতীয় পর্ব দেখলাম গতকাল।
অনাবশ্যক জটিলতা কাহিনিতে। সেই জম্পেশ সাইকো-থ্রিলার ভাবটি অনুপস্থিত সেখানে, বরং খানিকটা যেন সাই-ফাই। যেসব ছবির শেষে পাদটীকা আকারে এতক্ষণ দেখে আসা নানা দৃশ্যের ব্যাখ্যা সংযোজন করা হয়, তাদের আমার পছন্দ নয়। অনেক বেশি পৌনপুনিকতায় বৃত্তাবদ্ধ এবারের পর্ব। খানিকটা নতুনত্ব বোধহয় হতে পারে মানসিক আধিপত্য ছড়িয়ে এমকি খুনও করিয়ে ফেলবার আইডিয়াটুকু।
তুলনায় না গিয়েও শুধু একক মুভি হিসেবেও ভালো লাগেনি বলা চলে।
দরোজা না আটকে অথবা ভলিউম না কমানো একটা কারণ বলে বিবেচিত হতে পারে। অথবা হয়তো ঢোক না গিলেও নিজের অ্যাডামস অ্যাপেলের অস্তিত্ব খালি চোখেই দেখতে পাওয়াটা। কিংবা, পাংশুটে পলিশের সেই পুরোনো শো-কেসও হতে পারে, সময়ের সাথে সাথে ক্রমশ বুড়োটে হয়ে গেছে সে, যেমনটা হয়েছেন শ্যারোন স্টোন!


--------------
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০
১৪টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ইসলামে পর্দা মানে মার্জিত ও নম্রতা: ভুল বোঝাবুঝি ও বিতর্ক

লিখেছেন মি. বিকেল, ১৯ শে মে, ২০২৪ রাত ১:১৩



বোরকা পরা বা পর্দা প্রথা শুধুমাত্র ইসলামে আছে এবং এদেরকে একঘরে করে দেওয়া উচিত বিবেচনা করা যাবে না। কারণ পর্দা বা হিজাব, নেকাব ও বোরকা পরার প্রথা শুধুমাত্র ইসলাম ধর্মে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুরসি নাশিন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৫


সুলতানি বা মোগল আমলে এদেশে মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল৷ আশরাফ ও আতরাফ৷ একমাত্র আশরাফরাই সুলতান বা মোগলদের সাথে উঠতে বসতে পারতেন৷ এই আশরাফ নির্ধারণ করা হতো উপাধি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আর আদর্শ কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৭

তার বিশেষ কিছু উক্তিঃ

১)বঙ্গবন্ধু বলেছেন, সোনার মানুষ যদি পয়দা করতে পারি আমি দেখে না যেতে পারি, আমার এ দেশ সোনার বাংলা হবেই একদিন ইনশাল্লাহ।
২) স্বাধীনতা বৃথা হয়ে যাবে যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

সকাতরে ঐ কাঁদিছে সকলে

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:২৯

সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে, শোনো শোনো পিতা।

কহো কানে কানে, শুনাও প্রাণে প্রাণে মঙ্গলবারতা।।

ক্ষুদ্র আশা নিয়ে রয়েছে বাঁচিয়ে, সদাই ভাবনা।

যা-কিছু পায় হারায়ে যায়,... ...বাকিটুকু পড়ুন

বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!

লিখেছেন নাজনীন১, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:০৯


যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।

কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!

ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×