বহুল প্রচলিত শব্দের ভারে নেতিয়ে গেছে
মানবিক বোধগুলো; ভলভো বাসের টিকিটের জন্য দাঁড়িয়ে থাকা নিপাট জনগোষ্ঠীর মত, সার বেঁধে দাড়িয়ে আছে এখন মনের অলিন্দে।
নৃশংসতা ভারবাহী গাধার চাইতে অধম একটা শব্দ এখন। কিছুই বোঝা যায় না, শব্দটা দিয়ে। কেউ কারও গায়ে মুতে দিলো, কেউ একটা গ্রাম উইপোকার ঢিবির মত পায়ে মাড়িয়ে দিল, কেউ কারও মুখখানা ঝলসে দিল, কেউবা পুরো একটা জাতিকে উলংগ করে মজা পেল। সব কিছু এখন ঐ একটা শব্দের ব্রাকেটে বন্দী।
সারাদিন শুনি গান গেয়ে যায় লোকে কি হবে মনে রেখে এইসব পুরোনো কথা। হায়রে ঘোঁচু নিজের পুরোনো জিন্সের মায়া ছাড়তে পারিস না, ইতিহাসের মায়া ছেড়ে দিস।
সেই কবে জন্ম দিয়েছে মা তোকে সেটাও মনে রাখিস। কবে প্রথম হাত ধরেছিলি, চোখে চোখ সব থাকে মনে।
21 দিন আগে শুরু হওয়া এই যুদ্ধের প্রথম 19 দিন কি ভুলে গেছিস? 49 বছর আগে জন্ম নেওয়া জারজের প্রৌঢ় ত্ব এসে গেল পারিস কিছু ভুলতে।
কেন তবে এত অনীহা 35 বছর আগের কথায়, কেন এত তিক্ততা। কিসের এত পাপবোধ কুরে খায়
অন্তর। কেন আগে মনের বাঘ মোকাবেলা না করে বনের বাঘের পিছনে ছুটিস।
সব তোমরেই দিলাম, রাখিনু তবে মম এই অশ্রদ্ধা টুকু আপন অলিন্দে।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০