বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে ইতোমধ্যে যাদের অনুকূলে পূর্ববর্তী হারে ডিমান্ড নোট জারি করা হয়েছে কিন্তু এখনো সংযোগ দেয়া হয়নি তাদের ক্ষেত্রে এ নতুন টেলিফোন সংযোগ ফি প্রযোজ্য হবে না(খাইয়ালামু)।
এখন কথা হল বেসরকারি মোবাইল ফোনের জনপ্রিয়তার কাছে জনগন কি উল্লেখযোগ্যভাবে এই আমলাতান্ত্রিক সংস্থার (জনগনই যার মালিক ) প্রতি সাড়া দিবে? মনে হয় দিবে না। এর কারন অবশ্য কমবেশি সবারই জানা। এর মধ্যে কয়েকটিঃ
* উল্লেখিত সংযোগ ফির সাথে ঘুষ দিতেই হবে
* মাসিক লাইন রেন্ট মাফ নাই(আম্মাআআ)
* লাইনম্যানদের তথাকথিত মাসিক বা একটু বেশি সময় পর পর টিপস দিতে হবে কানেকশনে সমস্যা দেখা দিলে (গ্রাহককে লাইনম্যানদের বখশিশ সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে সরকার সাশ্রয়ী ওয়্যারলেস সংযাগ চালু করতে পারে।)
* সংযোগ পেতে দিনের পর দিন অফিসে অফিসে টেবিলে টেবিলে দৌড়াদৌড়ি করতে হবে(আম্মাআআ)
আরো আছে বিলিং সমস্যা। লাইন ধরে বিল জমা দিতে হবে। কখনো বিল সময় মত হাতে নাও পেতে পারে গ্রাহক। এছাড়া বিটিটিবির নতুন কলরেট এর প্রতি জনসাধারন একেবারে নাখোশ।
বিটিটিবির মোবাইলে মিনিট প্রতি আউট গোয়িং কল রেট ধার্যকরা আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত ছাড়া কিছুই না। আর সাড়া দেশে বিভিন্ন জোনে ভাগ করে উচ্চহারে কলরেট ধার্য করে মোবাইল কোম্পানীগুলোর সাথে প্রতিযোগিতায় পেরে উঠতে পারছে না বিটিটিবি। আবার সহসাই সকল মোবাইল ফোনে টিএন্ডটি ইনকামিং (ফ্রি) এবং আউট গোয়িং সুবিধা যুক্ত হচ্ছে। তাই সংযোগ ফি কমালেও কাজের কাজ হচ্ছে না। দিনের পর দিন তাদের রেভিনিউ কমেই যাচ্ছে। রসিকরা তাই বলতেই পারে, "ল্যান্ডফোন ব্যবসায় মাইনক্যা চিপায় বিটিটিবি"।