যেখানে সবুজ ফসলের গান... বৃষ্টির সজীবতা... মেঠো ঘ্রাণ... বুদবুদের শিল্প আর আঁকা-বাঁকা মেঠো পথ ধরে হেঁটে যাওয়া উদভ্রান্ত পথিকের সৃষ্টিশীল ভাবনা মিলেমিশে একাকার... সেখানে। সৃষ্টিশীল পথিক...? হয়তো তাই! হয়তো নই। মাঝে মাঝে ভাবনারা আসে...যায়, পথিক আবেগী হয়। কতটা? সে নিজেই তা জানেনা। জানাটা স্পষ্টভাবে জানা কতটা জরুরী তার কাছে? কতটা?
তার পরিচয়?
সে অবশ্যই কেউ একজন। তারপরও সে কেউ নয়। সে কেউনা। হি ইজ নোবডি। তার একটা জন্মদিন আছে। আছে সম্বোধন করা যায় এমন একটি নাম... একটি ঘর... একটি সংসার... কিছু চেনা মুখ। তারপরও সে কেউ নয়। হি ইজ নোবডি!
পথচলা?
সবুজের হাত ধরে বহুদূরে...। পথের বাঁকে; সময়-অসময়ের ইশারায় সে দোল খায়। তবু, দারুন অসময়েও সে চায় কিনারা। খুঁজে যায়। তৃষ্ণাত্ত চাতকের মত ঘুরে ঘুরে পিপাসিত হয়। ডুব দিয়ে যায় গভীর থেকে গভীরে; অদ নাবিকের মত। কিছু পাওয়া যায় কি? মানব জীবনের গভীরতা কতটুকু মাপা সম্ভব? কতটুকু? জানে না সে। জানাটা ষ্পষ্টভাবে জানা খুব বেশি জরুরী নয় তার কাছে।
সমাপ্তি!
কিংবা ঝরে যাওয়া... একদিন আসবেই। দ্বিতীয়বারের মত? নাহ্ অতটা অ্যাম্বিসিয়াস সে নয়। পথের মায়াকান্না তার চেনা। সবুজ ফসলের ঢেউ, শনশন শব্দে মুখোরিত মেঠো পথ... কতটা দুঃখ ভোলায়? দুঃখ...? ধূর... কল্পবিলাসী পথিক। তফাৎ যা, তফাৎ যা। বেদনা, দুঃখ, কষ্ট, জ্বালা... এ-সব বহু আটপৌড়ে শব্দ। আটপৌড়ে অনুভূতি। এর চোখে কেবল আবেগ আছে, ঝরে যাওয়া আছে, আছে নিশ্চুপ আঁধার। নতুন সূর্যোদয়ের আভা তার চোখে তুই কখনো দেখবি নে। অচেনার মাঝে চিনে নে নতুন দিগন্তের ঠিকানা।
তুই বলিস- ওরা দুর্বল, ওদের হাত ধরে নিয়ে চল বহুদূরে! কিন্তু পথিক যে তা পারেনা। সে যে প্রতিশ্রুতি'র কাছে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ! আমি পথিককে দোষ দিতে পারিনা। তাদেরও না। এটা নিয়তি আর সময়ের এক মনস্তাত্তি্বক খেলা। যেই জিতুক না কেন, পথিকের হার।
কেন এমন হয়?
তুই জানিস? তুই-ই বল!
--- 17-7-2006ইং
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে জানুয়ারি, ২০০৭ বিকাল ৪:১৩