somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অন্তরঙ্গ কথোপকথনে জাহেল সালোয়ার

১৫ ই জুলাই, ২০০৬ রাত ৩:২০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

অনেক দিন পর আবার প্রকাশিত হচ্ছে সাক্ষাৎকারভিত্তিক দৈনিক কথাবার্তা- সাংবাদিকরা সব গত 2 মাসে নিজের মতো চড়ে বেড়িয়েছে, আমিও ব্যাস্ত ছিলাম ঠিক মতো খোঁজ নিতে পারি নি।
সবার সংবাদ নিয়ে সবাইকে নিয়ে পূনরায় শুরু করা, যেমন যায় যায় দিন নতুন আঙ্গিকে দৈনিক ট্যাবলয়েড হিসাবে জন্ম নিলো তেমনই।
আগে জানা যাক আমাদের পূর্বের সাংবাদিকরা কে কোথায় ক্যামোন আছে-
লন্ডন প্রতিনিধি হাসান বিবাহইচ্ছুক সে সারাদিন বিভিন্ন ম্যাট্রিমনি সাইটে ঘোরাফেরা করছে, সংবাদ বলতে তার কাছে এখন পাত্রির বায়োডাটা আর ডেমোগ্রাফি আর ভাইটাল স্ট্যাট।
অন্য প্রতিনিধি আমাদের জ্ঞানবিজ্ঞান পাতার মহাসম্পাদক শোহাইল মতাহির চৌধুরি ছদ্ম নামে গোয়েন্দাগিরি শুরু করেছে। তার সবচেয়ে সফল রহস্য উদঘাটন যা বিলাতের বিভিন্ন পত্রিকায় ছাপা হয়েছে, তার তিনকোনা হ্যাটের ছবি সহ তা হলো লন্ডন মসজিদের জুতা চুরির সমাধান। অন্য আরও একটা রহস্য উদঘাটন করেছেন তিনি যা সময় ও সুযোগ বুঝে আপনাদের জানাতে হবে, আমাদের চঞ্চু ব্লগার বদরূল ভাইয়ের হারানো বৌ খুঁজে দিয়েছেন, নিষ্ঠুর কার্বন মাঝি বদু ভাইয়ের বৌকে ইলোপ করেছিলো এই সংবাদটা বদু ভাইকে পৌছে দেয় তার সূহৃদ দিখু দ্্রাবিড়।
কার্বন মাঝির নতুন এ্যাকশন আর হাল আমলের স্ট্যান্ট গানের সাথে পমি রহমানের স্প্যানিশ লেডিস পিস্তলের ঠোকাঠুকি, জমজমাট রহস্য মুখফোড় জানাতেও পারে সে যদি জানাতে না চায় আমার তত্ত্ববধানে এটা ছাপা হবেই হবে, কার্বন মাঝির দৈরাত্ব সীমাছাড়া হয়ে যাচ্ছে তাকে শায়েস্তা করে শায়েস্তা খানের আমলে নিয়ে না যাওয়া পর্যন্ত আমাদের প্রতিবাদ চলবে।

আমাদের স্বর্গত প্রতিনিধি মুখফোড় ইদানিং কামচোর হয়ে গেছে, সারাদিন ইডেন গার্ডেনের আপেল গাছের নীচে বসে হুর পরীদের সাম্বা নাচ দেখে, অবশ্য এ দৃশ্য বেশী ক্ষন ভালো লাগে না, তাই ছুটে ছুটে যায় মগাদিশুর কাছে, তার সহকারী হয়ে নতুন নতুন রহস্য উদঘাটনের ব্যাস্ত সে এখন।
আমাদের টাইম মেশিনে চড়ে অতীতে চলে যাওয়া প্রতিবেদক অপ বাক টাইম ম্যাশিন লোপাট করেছে, তাকে খুঁজে পাওয়া মুশকিল হয়েছে, ইদানিং আমাকে এড়িয়ে চলে, তার দাবি হলো তাকে যে টাইম ম্যাশিন দেওয়া হয়েছিলো তার এক্সপায়ার ডেট অতিক্রান্ত, এখন দেশে ভেজাল বিরোধি অভিযান চলছে, এর মধ্যে যে এই জিনিষ মাঠে নামাতে পারবে না। আমি বুঝি সবই- এমন টালটি বালটি দিয়ে আমাকে ত্রিভূজ বানানো যাবে না। আমি সেয়ানা ফইদি।
আমাদের প্রিয় বৈদিক সাংবাদিক সুমন চৌ. মাঝে সামান্য অসুস্থ ছিলো প্রকৃতিবাদীদের পার্কে গিয়ে প্রাকৃতিক মানুষদের দেখে চোখের উপর চাপ পড়েছইলো তার, সবার চোখ তো প্রকৃতিবাদী শোমচৌয়ের চোখ না যে এসব দৃশ্য হজম হবে। আয়ুর্বেদের কেরামতিতে তার অবস্থার উন্নতি হয়েছে।
পদ্যপাতা ভুলে পদ্মপাতায় জলবিয়োগ করতে গিয়ে হাবুডুবু খাচ্ছে হিমু, অবশ্য লাইফ জয়াকেট থাকায় সলিল সমাধি হয় নাই, তবে পচা পানি গিলে পেট নেমে গেছে, সামান্য বল ফিরে পেলেই আবার নতুন উদ্যমে শুরু হবে তার পদ্যানো, তার জন্য থানকুনি পাতা সরবরাহ করতে নতুন লোক নিয়োগ করা হয়েছে,
আমাদের ভ্রমনিক অরুপ অনেক রাস্তা ঘুরে এখন কোথায় আছে ভুলে গেছে, কম্পাস কাজ করছে না, বাইনোকুলার আর কাটা কম্পাস চুরি করেছে বলে যাকে সন্দেহ করা হচ্ছে তার নামটা সঙ্গত কারনে উহ্য রাখা হলো, তবে সে নাকি আমাদের লন্ডন প্রতিনিধির বন্ধু মানুষ, অরুপ যখন লন্ডনে ডেরা গেরেছিলো তখন কোনো এক রাতে ঘুমের ঘোরে দৃষ্টিদান করেছে অরুপের সাধের সম্পদে।

তবে আমাদের নতুন সংযোজন, ঠোশা। বিজ্ঞ সাংবাদিক, ঠোশা অনেক বিখ্যাত রাজনৈতিককের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন, তবে এবার যার ফাটাফাটি সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে তিনি বাংলাদেশের অপ্রকাশিত কবি জাহেল সালোয়ার, কবিতায় নতুন দিগন্ত নিয়ে এসেছেন এই ম্যাড়ম্যাড়ে কবি।

অনেক খেলার সংবাদ পাওয়া যাবে অচিরেই, ডিগবাজি খেলা শুরু হবে রাজনীতিতে, এর তোরজোড় শুরু হচ্ছে, এসব বিষয়ে পরবর্তি সময়ে আলোকপাত করা হবে, আমরা সরাসরি ঠোশাকতৃক নেওয়া জাহেল সালোয়ারের সাক্ষাৎকার ও কবিতায় মনোনিবেশ করি।

আমি ঠোশা, নিভৃতচারী, পাঞ্জাবি পড়ি এবং সাথে কবিতাও পড়ি। পাজামা ভেবে একদিন ছাদে সালোয়ার ভুলে আনতে গিয়ে আমার পরিচয় চয় জাহেল সালোয়ারের সাথে, আমি তাকে বললাম আপনার নাম কি? তিনি আমাকে বললেন আপনার হাতে কি? এর পর আমরা দুজনেই একসাথে বললাম সালোয়ার, তিনি আমাকে বললেন আপনি আমাকে চিনেন? আমি বললাম চিনি তো, সরি ভুল হয়ে গেছে, আমার পাজামটাও ঝোল লেগে ছোপ ছোপ, তা এটা কি আমনার পরিবারের? তিনি হেসে বললেন, আমার কোনো পরিবার নেই, কবিদের পরিবার থাকতে নেই, কবিরা অন্য সময়ের মানুষ, তাদের পারিবারিক বন্ধন থাকতে নেই- তার কথা শুনেই আমি বুঝে গেলাম তিনি বিদগ্ধ কবি। তাই পাঞ্জাবির হাতা গুটিয়ে হাতের কব্জিতেই সাক্ষাৎকার লেখা শুরু করলাম।

ঠোশা: তা মিয়া কবিতা লিখেন ক্যান?
জেহল সালোয়ার: কবিতা লিখাটাই সহজ, ইদানিং শুনতাছি কেউ কেউ বাজারের লিস্টিও কবিতা বলে চালাইয়া দিতাছে, আমিও ভাবলাম আমার মুদির দোকানের বাকী বিলগুলারে কবিতা হিসাবে চালাইয়া দিমু। পরে কিছুদিন আধুনিক কবিতা পইড়া বুঝলাম এইটার চেয়ে সহজ কাজ আর নাই,60 টা শব্দ নিয়া ঘাটাঘাটি পারমুটেশন কম্বিনেশন করে ছেড়ে দিলে যা হবে তাই কবিতা

ঠোশা: আপনি তো অনেক পড়েন, আপনার চশমা দেখলেই বোঝা যায়, তা আপনার প্রিয় উপন্যাস কি?
জাহেল সালোয়ার: বাস্কারভিল হাউন্ডের লেখা আর্থার ক্যানন ডায়াল। অনেকেই এই চরিত্র নিয়ে লিখছে কিন্তু বাস্কারভিল হাউন্ডের মতো করে কেউ লিখতে পারে নাই। পারবেও না, উনি কবিতাও লিখতেন, আপনাকে উনার একটা কবিতার অনুবাদ শোনাই
নারীরা ফুলের মতো পুরুষরা মথ
ফুলেরা উড়ে যায় নাকে দিয়ে নথ
মৌমাছি মধু খায় প্রজাপতি পাখা
চৌকাঠে ঠোককর ফকফকা ফাঁকা
ফুলের শিশির শুকানোর আগে হেয়ার ড্রায়ারে প্লাগ পড়াতে ভুলে যায় নারী
ঘাসছাটা কল নিয়ে ঘরঘর ছুটে যায় পুরুষ স্বৈরাচারী,

যেভাবে কোকাকোলা পান করে, যদি ব্যাঙ স্ট্র ঠোটে ঝুলিয়ে বসে থাকে
দৃশ্যটা চমৎকার প্রতিকবিতার মতো হয়ে যায়, সার বেধে মথ নাচে, নথ নাচে
প্রজাপতি ফুল শুষে খায়,

অথচ সন্ধ্যাবেলা যখন জল পশ্চিমে গড়ালো তখন
আমার মনে পড়লো এখনও প্রজাপতির মতো ভালোবাসি নারীকে, কিংবা
নারীর অবয়বে হয়তো ফুল কিংবা পুরুষের নথ ভালোবাসি
মানুষের ভেতরে অচিন নিবাস
উলটো পায়ে হাটে বিজ্ঞ নার্সিসাস।

ঠোশা: কবিতা লিখে কি হয়?
জাহেল সালোয়ার: অদ্ভুত কথা বললেন আপনি কবিরাই তো কবিতা লিখবে? নাকি বলেন, কবিতা লিখে বলেই না কবিরা কবি? যদি গদ্য লিখতো তাহলে তো তাদের উপন্যাসিক বা প্রাবন্ধিক বলা যেতো, কবিতা লিখে কি হয় এটা বলতে গেলে অনেক কথাই বলতে হয়, কিছু একটা হয় যা সবাই বুঝে না, কবিকে ধাওয়া করে কবিতা, ঘাড়ে চেপে বসে, তাকে ঘাড় থেকে না নামানো পর্যন্ত ঘ্যাংহ্যান করতে থাকে বেবুশ্যের দের মতো।তাই লিখতে হয়, মুদির দোকানে বসে সময়টা ভালোই কেটে যায়, ও কিআশ্চর্য জানেন আপনাকে তো বলাই হয় নি, আমি নতুন একটা ছন্দ আবিস্কার করেছি সালোয়ারি ছন্দ, আপনাকে একটা উদাহরন দেই

সমুদ্্রসন্তরনে ঝিনুক কুড়ানো ছেড়ে কুড়িয়েছিলাম কিছু প্যান্টি-ব্রা
ভাবছিলাম বড় লাভ হলো, লাবনীকে দিয়ে দিবো প্র ীতি উপহার
অথচ নাঙ্গা এক মহিলা এসে ক্যাঁক করে চেপে ধরলো ঘাড়
সমুদ্্র আর বাতাসের কসম যদি সেই মুহূর্তেই শর্টসের ফসকা গেড়োটা ফস্কে না যেতো তবে গেড়ে দিতাম মা কসম
শালীর ঘরের শালী লাবনীর প্র ীতি উপহার নিয়ে টানাটানি করে।

ঠোশা: চমৎকার হয়েছে, কিন্তু ছন্দটা ঠিক বুঝলাম।
জাহেল সালোয়ার: এই ছন্দের রীতিটাই এমন, প্রথমে বোঝা যাবে না, আপনি বরং আমার ছন্দ মাপার জন্য স্কেল নিয়ে আসবেন, সামনে দেখবেন বিশ্ববীনা টেইলার্স, ওখানের জলিল সাহেব আমার পুরোনো বন্ধু শুধু তার গজফিতায় এই কবিতার ছন্দ ধরা পড়বে।
ঠোশা: পেশা হিসেবে কবিতা লেখা ক্যামোন?
জাহেল সালোয়ার: খরচার পেশা, আয় ইনকাম তেমন নাই, শুধু মুদির দোকান আছে বলে খেয়ে পড়ে কবিতা লেখার কাগজ কলমের জোগাড় হয়ে যায়।নাতো সিগারেটের প্যাকেটের পিছনে কবিতা লিখতে হতো। অবশ্য স্টার সিগারেটের প্যাকেট কবিতা লিখার জন্য ভালো। অনেক জায়গা, দেশি ব্যানসনের প্যাকেটের পিছনে হাইকু ছাড়া অন্য কিছু লেখা যায় না।
ঠোশা: আপনার তো কবিতা নিয়ে অনেক পড়াশোনা। তা আপনি কার কার কবিতা পড়েন? দেশে আপনার প্রিয় কবি কে?
জাহেল সালোয়ার: অনেকেই ভালো কবিতা লিখছে, তবে বেশীর ভাগ কবিতার ভাষাই মৃত। কবিরাও মৃতপ্রায়, দিতি, ওমর সানী কবিতায় নতুন প্রাণ ফিরিয়ে এনেছে, ওদের কবিতা পড়ে এখনও কবিতা লেখার অনুপ্রেরণা পাই।
ঠোশা: আপনি তোকোলকাতায় পড়তে গিয়েছিলেন, কি শিখলেন সেখানে?
জাহেল সালোয়ার: অনেক কিছুই শিখলাম, গঙ্গার ধারে যেই রাস্তাটা ওটার উপরে অনেক সাইনবোর্ড লেখার দোকান আছে ,সেখানে গিয়ে হাতের লেখার উপর একটা শর্ট কোর্স নিলাম, লেখালেখি করি, হাতের লেখাটা পরিস্কার থাকতে হবে। আর বোলপুরে গিয়েছিলাম, সেখানে গাছতলায় বসে হস্তরেখা বিদ্যার উপর কোর্স করেছি, উচ্চতর ট্রেনিংয়ের জন্য গিয়েছিলাম কামরূপকামাখ্যায়। ওখানে গুপ্ত বিদ্যা শিখে এসেছি।
ঠোশা: আচ্ছা ওখানে থাকাটা কি আপনার কবিতায় কোনো প্রভাব ফেলেছে?
জাহেল সালোয়ার: আমি কবিতার জন্য ওখানের শিক্ষার কাছে ঋনী। দ্্বৈপায়ন ভটভটি বলে এক কবি আছে, যার কবিতা ভীষন জ্যান্ত তিনি, চিড়িয়া খানায় বাঁদরের খাঁচায় সামনে বসে কবিতা লিখেন তিনি, কবিতা লিখে বাঁদরের ল্যাজে ঝুলিয়ে দেন, জ্যান্ত কবিতা লাফাতে লাফাতে মগডালে চড়ে। অবশ্য সেসব কবিতা পড়া একটু কঠিন, ওরা আবার বাঁদরের খাঁচায় ঢুকতে দেওয়ার ব্যাপারে ভীষণ রেস্ট্রিকশন দিয়েছে, এই দেখুন কবিতা পড়তে গিয়ে কত বাঁদরের সাথে মল্লযুদ্ধ হয়েছে আমার, হাতে - পায়ে আঁচড়ের দাগ পর্যন্ত আছে।
সেই অভিজ্ঞতা নিয়ে একটা কবিতা লিখেছিলাম তার কিছু অংশ আপনাকে শোনাই

অদ্্রবনীয় কবিতা
তুমি কবিতা লিখে ছেড়ে দাও একুইরিয়ামে, মাছে ঝাঁক আসে
কবিতার টোপ ফেলে তুমি বসে থাকে, কাঠিতে মাছ গেঁথে আনো
তুমি কবিতা বাঁধলে দেখি বাঁদরের ল্যাজে,
আমি কবিতার নতুন প্রকরণ শিখে নিলাম
নিলামে বাঁদর উঠে না, তবে কবিতা ঝুলে থাকে মগডালে
চক্রবর্তি মশাইয়ের টানা বারান্দায় দেখেছিলাম,
কবিগুরুর ছবির সামনে ভেঁঙচি কাটছে এক শাখামৃগ।
কবিগুরু সুশীলসমাজী তাই বাঁদরকে সম্মান করে
বলেছিলেন শাখামৃগ অথচ তাকে বাঁদর ডাকাটাই দস্তুর।

ঠোশাঃ বাংলাদেশের কবিতার ভবিষ্যত সম্পর্কে আপনার অভিমত কি?
জাহেল সালোয়ার ঃ কবিতার ভবিষ্যত আবার কি, যে দেশে আমার মতো কবির কবিতার কদর নেই সেখানে কবিতা টিকবে কিভাবে? এই যে দেখেন না বনমালী প্রকাছনিতে গিয়েছিলাম, সেখানের প্রকাশন সাচ্চু মিয়া বললো কবিতার বিপ্লব হবে, অথচ নেমকহারাম, শালার শালা, পান্ডুলিপির চিপা থেকে আমার হাই কোর্টের গাঁজা মেরে দিলো, ভেবেছিলাম প্রুফ দেখার সময় টানবো তা আর হলো না, আমি গরীব কবি, ওটা ভালো মাল ছিলো, 100 টাকা তোলা, কিন্তু ওকে কে বুঝাবে এটা বলেন।
ঠোশাঃ আচ্ছা সমসাময়িক কোন কোন কবিদের ভবিষ্যত ভালো মনে করেন আপনি, দেশে বিদেশে?
জাহেল সালোয়ারঃ লিটল গ্র ীনম্যানের কবিতার বইটা পড়েছে, হোককাইডুর কবিতার বইটাও খাসা।
জ্যাক লন্ডনের দীর্ঘ্য কবিতাৗলো অনবদ্য,ইষ্টের কবিতাগুলো টিকে থাকবে আরও 300 বছর এমনটাই আমার অনুমান, দেশে অনেকেই ভালো লিখছে, ফরিক দস্তুর শাহ, ম্যালিয়ের হাসান, উম্মুল হাসনাইন, জিনাত মোরশেদা, এদের কবিতায় নতুন শব্দ উঠে আসছে।
ঠোশাঃ আপনার সাথে কথা বলে ভালো লাগলো। আশা করি আবারও দেখা হবে,
জাহেল সালোয়ারঃ
আপনার নামটাই জানা হলো না। আসুন পান করি গুরুর নামে, এই কাজেই এসেছিলাম, আমার ছিলিমটা রাখা আছে ঐ কোনার রেলিংয়ের কাছে, আপনার অভ্যাস আছে? শংকরে আপত্তি নেই?
ঠোশাঃ না , আর না, এক কল্কিতেই টালমাটাল অবস্থা আমার, ঠিক মতো কানে শুনছি না, তবে একই ফ্ল্যাটে যখন থাকি মাঝে মাঝে দেখা হবে, আচ্ছা আপনি থাকেন কোন তলায়?
জাহেল সালোয়ারঃ আমি তিন তলার দক্ষিনের ফ্ল্যাট।
ঠোশাঃ কি আশ্চর্য! আমিও তো ঐ খানেই থাকি? আপনি কোন ঘরে থাকেন?
জাহেল সালোয়ারঃ আমি থাকি ড্রইং রুমের লাগোয়া ঘরটাতে, ঐ যে দরজায় ময়ুর আঁকা পর্দা।
ঠোশাঃ
আপনার সাথে পরিচিত হয়ে ভালো লাগলো, আমরা একই বাসায় থাকি, আমরা প্রতিবেশী, এটা জেনেই আশ্চর্য লগলো, অথচ আপনার সাথে এর আগে দেখাই হয় নি, ভাগ্যিস পাজামা খুঁজতে এসেছিলাম।

-----------

সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০
১২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মাটির কাছে যেতেই..

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৩ শে মে, ২০২৪ সকাল ৮:৫৬

মাটির কাছে
যেতেই..


ছবি কৃতজ্ঞতাঃ https://pixabay.com/

ঠিক যেন
খা খা রোদ্দুর চারদিকে
চৈত্রের দাবদাহ দাবানলে
জ্বলে জ্বলে অঙ্গার ছাই ভস্ম
গোটা প্রান্তর
বন্ধ স্তব্ধ
পাখিদের আনাগোনাও

স্বপ্নবোনা মন আজ
উদাস মরুভূমি
মরা নদীর মত
স্রোতহীন নিস্তেজ-
আজ আর স্বপ্ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

টাকা ভাংতি করার মেশিন দরকার

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ২৩ শে মে, ২০২৪ সকাল ৯:১০

চলুন আজকে একটা সমস্যার কথা বলি৷ একটা সময় মানুষের মধ্যে আন্তরিকতা ছিল৷ চাইলেই টাকা ভাংতি পাওয়া যেতো৷ এখন কেউ টাকা ভাংতি দিতে চায়না৷ কারো হাতে অনেক খুচরা টাকা দেখছেন৷ তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

বেলা ব‌য়ে যায়

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৩ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩০


সূর্যটা বল‌ছে সকাল
অথছ আমার সন্ধ্যা
টের পেলামনা ক‌বে কখন
ফু‌টে‌ছে রজনীগন্ধ্যা।

বাতা‌সে ক‌বে মি‌লি‌য়ে গে‌ছে
গোলাপ গোলাপ গন্ধ
ছু‌টে‌ছি কেবল ছু‌টে‌ছি কোথায়?
পথ হা‌রি‌য়ে অন্ধ।

সূর্যটা কাল উঠ‌বে আবার
আবা‌রো হ‌বে সকাল
পাকা চু‌ল ধবল সকলি
দেখ‌ছি... ...বাকিটুকু পড়ুন

পর্ণআসক্ত সেকুলার ঢাবি অধ্যাপকের কি আর হিজাব পছন্দ হবে!

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৩ শে মে, ২০২৪ দুপুর ২:২৭



ইন্দোনেশিয়ায় জাকার্তায় অনুষ্ঠিত একটা প্রতিযোগিতায় স্বর্ণপদক জিতেছে বাংলাদেশি নারীদের একটা রোবোটিক্স টিম। এই খবর শেয়ার করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অধ্যাপিকা। সেখানে কমেন্ট করে বসেছেন একই বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেকজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

আত্মস্মৃতি: কাঁটালতা উঠবে ঘরের দ্বারগুলায়

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ২৩ শে মে, ২০২৪ রাত ৮:১৪


কাঁটালতা উঠবে ঘরের দ্বারগুলায়
আমার বাবা-কাকারা সর্বমোট সাত ভাই, আর ফুফু দুইজন। সবমিলিয়ে নয়জন। একজন নাকি জন্মের পর মারা গিয়েছেন। এ কথা বলাই বাহুল্য যে, আমার পিতামহ কামেল লোক ছিলেন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×