জীবনে প্রথম ভাড়া বাসায় থাকা শুরু হয় ঢাকায় এসে।প্রথম প্রথম মনে হত আমার নিঃস্বাস দেয়ালে প্রতিফলিত হয়ে আবার আমার কাছে ই ফিরে আসছে। সে এক ভয়ংকর অনুভূতি।কার্জন হলে ক্লাশ করার সুজোগ হবার পর মনে হল বেচে গেলাম। সারা দিন ক্যাম্পাসে থাকা শুরু করলাম, ক্যাম্পাস কনসটেন্ট। আবার যাযাবর জীবন শুরু হলো পাশ করার পর। বাসা খুজা, বাসা চেনজ কারা। কান্না চলে আসত। নিজেকে রিফুজি রিফুজি লাগত।
এইখানে এসে ও সেই একই অবস্থা। আবার ও বাসা চেনজ করতে হবে, অথচ সামনে আমার পরিক্ষা।পাশ করলে ভাল, না করলে কিক আউট,পুরা হওয়ার উপর দুলছি।পড়া শুনা হচ্ছে না একেবারেই। প্রতিদিন অফিসে আসি পড়ব বলে, এসেই ব্লগ খুলি। এই নিয়ে তিনটা পোস্ট কিছুদূর লিখে বাদ দিয়েছি, পড়ার অজুহাতে, অথচ পড়া হয়নি। আবার ঘাড়ের উপর বসে আছে প্রফেসর। দুনিয়ার কাজ দিয়ে যাচ্ছে। তাও ঠিক মত করছি না।তার উপর আমি চাচ্ছি আমার পিএইস ডি টা অন্য বিষয়ে করতে।নতুন করে কিছু অ্যপাই ও করছি।
বিকাল হলে বাসায় ফিরি সব বই নিয়ে , ভাবটা এমন সব একরাতেই পড়ে ফেলব।কিসের পড়।আমার গুন ধর পুত্র, রাত11:30 পর্যন্ত জেগে থাকেন মায়ের সাথে বিদ্যাশিক্ষা করবে বলে।আমার পড়ার সময়ই একনিষ্ঠ বিদ্যার্থি হয়ে উঠেন তিনি।তাকে ঘুম পারাতে পারাতে দেখি আমি ও ঘুমিয়ে পড়েছি।
কিছুতেই কিছু স্থির করতে পারছি না।কিছুই করা হয়ে উঠছে না।যাযাবর মন নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছি এখানে সেখানে।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০