somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

এক্স ফাইলস

১০ ই জুলাই, ২০০৬ রাত ২:০০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

গত 2 মাস ধরে নিয়মিত এক্স ফাইলস দেখলাম, একেবারে প্রথম থেকে শুরু করে 9 বছরের সবগুলো পর্ব, অনেকগুলো বিষয় জমা হলো, প্রথম 2টা বছরের পর বিষয়টা চরম বিরক্তিকর হয়ে যায়, সপ্তম বছরের মাথায় এসে এটা রীতিমতো যন্ত্রনাদায়ক হয়ে উঠে, এবং সেই সাথে ঘটনায় নতুন মাত্রা যুক্ত হয়, অবশেষে বলতে হয় এটা বেশ বৃহৎ মাপের প্রেম কাহিনী,
যেখানে অনেকগুলো ধারনা নিয়ে আলোচনা হলেও, আলোচনাটা আসলে একটা বিষয়কে ভিত্তি করেই চলতে থাকে। গ্রহান্তরী জীবদের পৃথিবীকে উপনিবেশ বানানোর প্রক্রিয়ায় একদল মানুষ কাজ করছে এবং নায়ক তার সঙ্গিনী নিয়ে এই উপনিবেশকরন প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে লড়ছে, অবশেষে সত্য প্রকাশিত হয়, জানা যায় 2012 সালে পৃথিবীকে দখল করতে আসবে গ্রহান্তরীরা- এটার উৎস প্রাচীন মায়া ক্যালেন্ডার, যেখানে কোনো এক কারনে বর্ষগননা সেই নির্দিষ্ট দিনে এসে শেষ হয়ে যায়,
দানিকেন নামক এক প্রত্নতাত্তি্বক বেশ অনেক দিন ধরে এই দাবি করে আসছে, মানুষ আসলে গ্রহান্তরের জীবদের জেনেটিক প্রকৌশলের নমুনা, আমাদের সভ্যতায় অনেক আগে থেকেই সেসব ভিনগ্রহবাসীদের আনাগোনা, তারা কোনো এক কারনে 5000 বছর পর আবার আসার সিদ্ধান্ত নেয়, ডোগান উপজাতির ভাষ্য মতে তাদের নিবাস লুব্ধকের আশে পাশের কোনো নক্ষত্রে, ডোগানদের এই একটা মাত্র দাবি আধুনিক বিজ্ঞান প্রমান করেছে, লুব্ধকের আশে পাশে সত্যি সত্যিই একটা সহচর নক্ষত্র পাওয়া গেছে, যদিও ডোগান উপজাতির ধর্ম কখনই মূল ধারায় আসলো না বা আসবে না এমন চাক্ষুষ বৈজ্ঞানিক প্রমান থাকার পরও এটা এবরা ক্যাবরা আদিবাসি মানুষের বক্তব্য হয়ে থাকবে, আমরা কোরানে বিজ্ঞান খুঁজবো।

এক্স ফাইলসের মতে আমরা যেসব ধর্মকে দেখছি তাও সেই ভিনগ্রহের মানুষদের অবদান, তারাই বাইবেল, কোরানের জনক, তারাই এখানে ছড়িয়ে আছে, তাদের রক্ত সবুজ, উদ্ভট একটা বিষয় যদিও, কেনো তারা মানুষের মতো নয়, কেনো তাদের মূল চেহারা বিকৃত, তার একটা ব্যাখ্যা শুনেছিলাম এক বন্ধুর কাছে, যদি কেউ বেশী মেধা ব্যায় করে তাদের মস্তিস্কের আকার বৃদ্ধি পাবে, এবং মাথা বড় হতে থাকবে,ভারসাম্য বজায় রাখার কাজটা যেহেতু মাথার তাই মাথার অন্য অংশগুলো বিবর্ধিত না হয়ে কপাল বড় হতে থাকবে এবং অবশেষে ই টির মতো মানুষের আকৃতি হবে, ভিন গ্রহ বাসীদের সমস্যা এটাই, তারা অতিরিক্ত বুদ্ধিমান।
এবং তাদের সহায়তায় বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক গবেষনায় সাফল্য পাচ্ছে, সরকার গোপন চুক্তি করেছে তাদের সাথে, আমেরিকান সৈন্যবাহিনী তাদের সাহায্যে বিভিন্ন প্রাংহাতি অস্ত্র আবিস্কার করছে, বিভিন্ন গোপন গবেষনাগারে তাদের নিয়ে গবেষনা চলছে, জমজমাট কাহিনী এটা। তবে বিরক্তিকর, প্রচন্ড বিরক্তিকর অসামজ্ঞস্যতার ভরপুর।
নায়িকার ডিম্বানু নিয়ে নেওয়া হয় যদিও মেয়েদের সমস্যা হলো তাদের ডিম্বানু সীমিত, মোটামুটি 2 লক্ষ ডিম্বানু থাকে একজন নারীর, তারা প্রতি মাসে তার কিছুটা হারিয়ে ফেলে এবং 45 উর্ধ বয়সে আসলে তার ডিম্বানু থাকে না, এই প্রক্রিয়াটাকে মেনোপেজ বলে, তখন নারী কমনীয়তা হারাতে থাকে, যাই হোক সমসয়া হলো ডিম্বানু চাইলেই শুষে নেওয়া সম্ভব নয়, যেসব ডিম্বানু পরিনত হয় তারাই গর্ভাশয় থেকে বের হয়ে আসে, এবং রক্তপাত হয়, এই সময়ের কোনো এক মহেন্দ্র ক্ষনে যার অস্তিত্ব খুব বেশী হলে 12 ঘন্টা, এই সময়ে যদি ডিম্বানু শুক্রানু খুঁজে পায় এবং যদি সেই শুক্রানুর ভেদন ক্ষমতা থাকে তবে আমরা পরবর্তি প্রজন্ম পাবো নিষিক্তকরন প্রক্রিয়ায়। একেকবারে পরিনত হওয়া ডিম্বানুর সংখ্যা একাধিক হলেও তা কখনই খুব বেশী পরিমানে নয়, যাই হোক ভিন গ্রহের অধিবাসীরা অনেক উন্নত তারা গর্ভাশয় ছেঁটে ফেলটে পারে এবং পরিমিত পুষ্ঠি সরবরাহ করে সেই ছেঁটে ফেলা ডিম্বাশয় থেকে ডিম্বানু নিয়ে গবেষনা করতে পারে-
নায়িকা গর্ভাশয় হারিয়ে হয়রান হয়ে গেলো। প্রচলিত ডাক্তারি মতে তার গর্ভধারন করা সম্ভব নয়, এবং এক্স ফাইলস বলেই সে গর্ভধারন করে এবং এক অলৌকিক সন্তানের জননী হয়। মেটাফোর হিসেবে অনন্য, সেই অলৌকিক সন্তান সভ্যতা রক্ষা করবে, তাকে হেফাজত করার জন্য বিভিন্ন মানুষ ব্যাতিব্যাস্ত হয়ে উঠে, এবং তাকে হত্য করার জন্যও একদল মানুষ বের হয়, এবং এই শুভ বনাম অশুভের লড়াইয়ে অবশেষে সত্য উদঘাটিত হয়,

বাইবেল বিশ্বাসি মানুষের বাজারে বাইবেলের অনেক ধারনাকে ব্যাবহার করা হয়েছে, শতানের ধারনা, সত্যতার ধারনা, চার্চ এবং চার্চে শয়তান প্রবেশ করতে পারে না এমন সব ধারনার মধ্যে সবচেয়ে আনন্দের ধারনা হলো যীশুর মৃতকে জীবিত করার মন্ত্র সম্পর্কিত ধারনাটা।
আমি এধরনের বিষয় বেশ আগ্রহ নিয়ে দেখি, নির্বোধ মানুষ অলৌকিক বিষয় দেখলেই মুগ্ধ হয়ে যাই। তবে এক্স ফাইলসের প্রতি বিরাগভাজন হওয়ার একটা কারন হলো এক পর্বে এরা খুব গম্ভির ভাবে দেখালো এন্টি মেটারের ধারনা। একজনের ছায়া পরিবর্তিত হয়ে এন্টি মেটার হয়ে গেছে। তার ছায়ার সংস্পর্শে আসলেই জীবিত বস্তু ধ্বংস হয়ে যায়। তবে সমস্যাটা হলো ছায়াটা বিধ্বংসি হয়ে উঠে যদি জীবিত বস্তু পায় তবেই, হাতের পিস্তল পর্যন্ত পুড়ে ছাই হয়ে যায় কিন্তু তার ছায়া সাধারন মাটিতে পড়লে কিছু হয় না- ফিকশনে অনেক কিছুই সম্ভব, গল্পের গরু গাছে উঠলেও সমস্যা নেই, এমন কি আকশা দিয়ে উড়লেও আমার আপত্তি থাকার কোনো কারন নেই, তবে এক্স ফাইলস নিয়ে অন্য এক বন্ধু বলেছিলো ঘটনাগুলো সত্যঘটনার প্রেক্ষিতে নেওয়া, এমন ধারনা নিয়ে শুরু করেছিলাম বলেই আরও মর্মহত হয়েছি আমি।
এখন চিন্তা করছি সুপার ম্যানের শোশব ও কৌশোর নিয়ে একটা সিরিজ আছে সেটা দেখবো, মানুষের ক্ষমতার বাইরের জিনিষপত্র দেখতে আমি অত্যন্ত আগ্রহী।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০
৪টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কোথাও ছিলো না কেউ ....

লিখেছেন আহমেদ জী এস, ২০ শে মে, ২০২৪ রাত ১০:১৯




কখনো কোথাও ছিলো না কেউ
না ছিলো উত্তরে, না দক্ষিনে
শুধু তুমি নক্ষত্র হয়ে ছিলে উর্দ্ধাকাশে।

আকাশে আর কোন নক্ষত্র ছিলো না
খাল-বিল-পুকুরে আকাশের ছবি ছিলো না
বাতাসে কারো গন্ধ ছিলোনা
ছিলোনা... ...বাকিটুকু পড়ুন

নারীবাদ, ইসলাম এবং আইয়ামে জাহেলিয়া: ঐতিহাসিক ও আধুনিক প্রেক্ষাপট

লিখেছেন মি. বিকেল, ২০ শে মে, ২০২৪ রাত ১১:৫৪



আইয়ামে জাহিলিয়াত (আরবি: ‏جَاهِلِيَّة‎) একটি ইসলামিক ধারণা যা ইসলামের নবী মুহাম্মদ (সাঃ) এর আবির্ভাবের পূর্ববর্তী আরবের যুগকে বোঝায়। ঐতিহাসিকদের মতে, এই সময়কাল ৬ষ্ঠ থেকে ৭ম শতাব্দী পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল।... ...বাকিটুকু পড়ুন

#প্রিয়তম কী লিখি তোমায়

লিখেছেন নীল মনি, ২১ শে মে, ২০২৪ সকাল ৭:৫১


আমাদের শহর ছিল।
সে শহর ঘিরে গড়ে উঠেছিল অলৌকিক সংসার।
তুমি রোজ তাঁকে যে গল্প শোনাতে সেখানে ভিড় জমাতো বেলা বোস, বনলতা কিংবা রোদ্দুর নামের সেই মেয়েটি!
সে কেবল অভিমানে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভুল শুধু ভুল নয়

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ২১ শে মে, ২০২৪ সকাল ৮:১৬

এক
লেখাটা একটি কৌতুক দিয়ে শুরু করি। ১৯৯৫ সালের ৩০ নভেম্বর থেকে শফিপুর আনসার একাডেমিতে বিদ্রোহ হয়। ৪ ডিসেম্বর পুলিশ একাডেমিতে অভিযান চালায়। এতে চারজন আনসার সদস্য নিহত হয়েছিল। এটি ছিল... ...বাকিটুকু পড়ুন

ময়লাপোতার কমলালেবুর কেচ্ছা!! (রম্য)

লিখেছেন শেরজা তপন, ২১ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৫:১৩


বাংলাদেশের বিশেষ এক বিভাগীয় শহরে ময়লাপোতা, গোবরচাকা, লবনচোরা, মাথাভাঙ্গা, সোনাডাঙ্গার মত চমৎকার সব নামের এলাকায় দারুণ সব সম্ভ্রান্ত পরিবারের বাস।
আমার এক বন্ধুর আদিনিবাস এমনই এক সম্ভ্রান্ত এলাকায় যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×