বাসন্তী হাওয়ায় যখন উড়ে গেলো
তোমার গঙ্গা-যমুনা শাড়ির আঁচল-
কপালের উপর আছড়ে পড়লো
তোমার বিবাগী চুল-
তুমুল সমর্পণে তখন মনে হলো
তুমি যেন ঠিক একজন দেবী
মধ্যাহ্নের আকাশে মাধুকরী অবনী।
ঘাড়ের বাদামী তিলে
যখন তুমি তোলো কোনো বৈকালিক রাগ
তখন তোমার ভ্রুর ভাঁজে ভাঁজে
শুরু হয় অভিসারের গোপন কানাকানি।
মেয়ে তুমি
অমল প্রান্তরে ঘাসের আড়াল-
লুকিয়ে থাকা এক হীরকখণ্ড-
সারাদিনের মায়াময় রৌদ্রের নরম আলোতে রচিত
নীলিমার মমতা।
তুমি কি জানো
ভালোবাসি বলবার আগেই
ফুলের উষ্ণতায় শুনতে পাই ভ্রমরের গুঞ্জন
খুলে যায় প্রাসাদের অক্ষম স্থবির মরচে পড়া কপাট।
ভালোবাসার বিবিধ ফুলের তাপে
মালার সংহতি হও-
মলিন নৈঃশব্দ্যের একক সাগরে
নিভৃত ধ্যানমগ্নতায় প্রকাশিত হও-
তুমি আমার প্রস্ফুটিত বিশুদ্ধ কমলসোহাগী
জলের বুকে জলছবি
দীপ শিখা আলোকিত ধুপসন্ধ্যার সিঁড়ি
করতলে রাত্রির, চিবুক ছোঁয়া মায়াবিনী।
তোমার–আমার ভালোবাসায়
দূর হোক অন্ধকারের শাণিত বিষাদ।