somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

শ্রীকৃষ্ণের ষোড়শ সহস্র এক শত আট কান্তাগণের উল্ল্যেখযোগ্য ৪ জন ।

৩১ শে মে, ২০১৩ রাত ১:৩৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

রাধিকা বা রাধা হলেন গোকুলনিবাসী বৃষভানুর কন্যা। ইনি শ্রীকৃষ্ণের সহস্রাধিক গোপিনী প্রেমিকাগণের একতমা। এঁর স্বামী হলেন আয়ান (সংস্কৃত: অভিমন্যু)। শ্রীকৃষ্ণ এবং রাধার প্রেম বিষয়ক বহু গাথা কবিতা বৈষ্ণব পদাবলি সাহিত্যের অন্যতম উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে যা বাংলা সাহিত্যের এক অমূল্য ঐশ্বর্য। শ্রীকৃষ্ণকীর্তনেও রাধাকৃষ্ণের প্রেমলীলা সুবিস্তৃতভাবে বর্ণিত হয়েছে। বাংলার ভক্তি আন্দোলনেও এর সুদুরপ্রসারী প্রভাব পড়েছিল।

রুক্মিণী হলেন শ্রীকৃষ্ণের ষোড়শ সহস্র এক শত আট কান্তাগণের একতম। ইনি বিদর্ভরাজ ভীষ্মকের কন্যা এবং ভীষ্মকপুত্র রুক্মীর ভগিনী। ইনি শ্রীকৃষ্ণের প্রতি প্রণয়াসক্ত হন এবং তাঁকে বিবাহ করার ইচ্ছাপ্রকাশ করেন। শিশুপালের সঙ্গে বিবাহের পূর্বলগ্নে শ্রীকৃষ্ণ এনাকে হরণপূর্বক বিবাহ করেন এবং দ্বারকায় আনয়ন করেন। শ্রীকৃষ্ণের দ্বারা এঁর দশবার গর্ভসঞ্চার হয় এবং ইনি দশটি তেজস্বী পুত্রসন্তান লাভ করেন। এঁরা হলেন প্রদ্যুম্ন, চারুদেষ্ণ, সুদেষ্ণ, চারুদেহ, চারুগুপ্ত, ভদ্রচারু, চারুচন্দ্র, বিচারু এবং চারু।

জাম্ববতী সংস্কৃত ভাষায় রচিত ভাগবত পুরাণে বর্ণিত একটি চরিত্র ৷ ইনি ভাল্লুক রাজা জাম্ববানের কন্যা ও শ্রীকৃষ্ণের সহস্রাধিক মহিষীগণের একতম ৷ একবার সূর্যদেব দ্বারকার বিশিষ্ট নাগরিক বৃষ্ণি বংশীয় সত্রাজিতের ভ্রাতা প্রসেনকে স্যমন্তক মণি উপহার প্রদান করেন। তখন সত্রাজিৎ সকল দ্বারকাবাসীগণকে সেই মণি দেখার জন্য আমন্ত্রণ জানান। দ্বারকাধীশ শ্রীকৃষ্ণও সেই মণির কথা শ্রবণ করে কৌতুহলী হয়ে সেই মণি দর্শন করতে সত্রাজিতের গৃহে আগমন করেন। কিন্তু শ্রীকৃষ্ণ যখন সত্রাজিতের কাছে স্যমন্তক মণি দেখতে চাইলেন তখন সত্রাজিৎ তাঁকে সন্দেহ করলেন এবং ভাবলেন যে বাসুদেব তার মণিটির কথা শুনে প্রলুব্ধ হয়েছেন এবং সেটি অপহরণ করার অসদুদ্দেশ্য নিয়েই মণিটি দেখতে চেয়েছেন। তিনি স্যমন্তক মণিটি তাঁকে দেখালেন বটে কিন্তু মনে মনে শ্রীকৃষ্ণের নামে কলঙ্ক রটানোর পরিকল্পনা করলেন। গোপিনীবল্লভ শ্রীকৃষ্ণ তাঁর বাড়ি থেকে প্রস্থান করা মাত্রই তিনি তার ভাই প্রসেনকে স্যমন্তক মণিটি দিয়ে তাকে আত্মগোপন করে থাকতে বললেন। এরপর তিনি সমগ্র দ্বারকায় প্রচার করে দিলেন যে স্যমন্তক মনিটি অপহৃত হয়েছে এবং দ্বারকেশ্বর দেবকীনন্দন মণিটি দেখে চলে যাওয়ার পরেই মণিটি অদৃশ্য হয়েছে। এইকথা শ্রবণমাত্র শ্রীকৃষ্ণ স্বয়ং ঘটনার প্রকৃত সত্যতানুসন্ধানে প্রবৃত্ত হলেন। তিনি এক দুর্গম পার্বত্য অঞ্চলে গুহামধ্যে দেখলেন যে প্রসেন এক সিংহ কর্তৃক নিহত হয়েছেন এবং সম্ভবত সেই সিংহই মণিটি অপহরণ করেছে। এরপর বহু অন্বেষণের পর শ্রীকৃষ্ণ ভল্লুকরাজ জাম্ববানের কাছে স্যমন্তক মণির সন্ধান পেলেন। শ্রীকৃষ্ণ মণিটি তার কাছে প্রার্থনা করলে জাম্ববান তা দিতে অস্বীকৃত হলেন। জাম্ববান বললেন যে যদি যাদবশ্রেষ্ঠ কৃষ্ণ তাকে মল্লযুদ্ধে পরাস্ত করতে পারেন তবেই তিনি মণিটি তাঁকে দিয়ে দেবেন। তখন শ্রীকৃষ্ণ সেই শর্তে সম্মত হলেন এবং বললেন যে যদি জাম্ববান মল্লযুদ্ধে তাঁর কাছে পরাভব স্বীকার করেন তবে স্যমন্তক মণির সাথে সাথে তিনি জাম্ববানের পরমাসুন্দরী কন্যা জাম্ববতীকেও ভার্যারূপে গ্রহণ করবেন। যথানিয়মে মল্লযুদ্ধ আরম্ভ হল। জাম্ববান বীর হলেও মহাবলবান শ্রীকৃষ্ণের সঙ্গে যুদ্ধে অতি সহজেই পরাভূত হলেন। শ্রীকৃষ্ণের শৌর্যে এবং পৌরুষে মুগ্ধ হয়ে জাম্ববান সুপ্রসন্ন চিত্তে তার কন্যা জাম্ববতীকে বাসুদেবের হস্তে সমর্পণ করলেন। এরপর স্যমন্তক মণি এবং জাম্ববতীকে নিয়ে যদুকুলপতি দ্বারকায় প্রত্যাগমন করলেন।

সত্যভামা শ্রীকৃষ্ণের ১৬১০৮ মহিষীর একতম। ইনি বৃষ্ণিবংশীয় সত্রাজিতের কন্যা। একবার সূর্যদেব দ্বারকার বিশিষ্ট নাগরিক বৃষ্ণি বংশীয় সত্রাজিতের ভ্রাতা প্রসেনকে স্যমন্তক মণি উপহার প্রদান করেন। তখন সত্রাজিৎ সকল দ্বারকাবাসীগণকে সেই মণি দেখার জন্য আমন্ত্রণ জানান। দ্বারকাধীশ শ্রীকৃষ্ণও সেই মণির কথা শ্রবণ করে কৌতুহলী হয়ে সেই মণি দর্শন করতে সত্রাজিতের গৃহে আগমন করেন। কিন্তু শ্রীকৃষ্ণ যখন সত্রাজিতের কাছে স্যমন্তক মণি দেখতে চাইলেন তখন সত্রাজিৎ তাঁকে সন্দেহ করলেন এবং ভাবলেন যে বাসুদেব তার মণিটির কথা শুনে প্রলুব্ধ হয়েছেন এবং সেটি অপহরণ করার অসদুদ্দেশ্য নিয়েই মণিটি দেখতে চেয়েছেন। তিনি স্যমন্তক মণিটি তাঁকে দেখালেন বটে কিন্তু মনে মনে শ্রীকৃষ্ণের নামে কলঙ্ক রটানোর পরিকল্পনা করলেন। সত্রাজিতের বাড়ি থেকে প্রস্থানকালে সত্রাজিতের একমাত্র কন্যা সত্যভামার সঙ্গে শ্রীকৃষ্ণের সাক্ষাৎ ঘটে। সত্যভামাকে দর্শনমাত্র বহুরমণীভোগী শ্রীকৃষ্ণ পরম প্রীত হন এবং তার প্রতি প্রণয়াসক্ত হয়ে তাকে কামনা করেন। সত্রাজিৎতনয়াও শ্রীকৃষ্ণের বলদৃপ্ত, তেজোদীপ্ত অপূর্বমনোহরকান্তি দেখে এবং তাঁকে সুচতুর বাকপটুত্বের সঙ্গে রসালাপ করতে দেখে বিমুগ্ধ হন ও তাঁকে পতিরূপে স্বীকার করেন। এরপর গোপিনীবল্লভ শ্রীকৃষ্ণ তাঁর বাড়ি থেকে প্রস্থান করা মাত্রই তিনি তার ভাই প্রসেনকে স্যমন্তক মণিটি দিয়ে তাকে আত্মগোপন করে থাকতে বললেন। এরপর তিনি সমগ্র দ্বারকায় প্রচার করে দিলেন যে স্যমন্তক মনিটি অপহৃত হয়েছে এবং দ্বারকেশ্বর দেবকীনন্দন মণিটি দেখে চলে যাওয়ার পরেই মণিটি অদৃশ্য হয়েছে। এইকথা শ্রবণমাত্র শ্রীকৃষ্ণ স্বয়ং ঘটনার প্রকৃত সত্যতানুসন্ধানে প্রবৃত্ত হলেন। বহু অন্বেষণের পর তিনি এক দুর্গম পার্বত্য অঞ্চলে ভল্লুকরাজ জাম্ববানের কাছে স্যমন্তক মণির সন্ধান পেলেন। শ্রীকৃষ্ণ মণিটি তার কাছে প্রার্থনা করলে জাম্ববান তা দিতে অস্বীকৃত হলেন। জাম্ববান বললেন যে যদি যাদবশ্রেষ্ঠ কৃষ্ণ তাকে মল্লযুদ্ধে পরাস্ত করতে পারেন তবেই তিনি মণিটি তাঁকে দিয়ে দেবেন। তখন শ্রীকৃষ্ণ সেই শর্তে সম্মত হলেন এবং বললেন যে যদি জাম্ববান মল্লযুদ্ধে তাঁর কাছে পরাভব স্বীকার করেন তবে স্যমন্তক মণির সাথে সাথে জাম্ববানের পরমাসুন্দরী কন্যা জাম্ববতীকেও স্বয়ং বাসুদেবের হস্তে সমর্পণ করতে হবে। যথানিয়মে মল্লযুদ্ধ আরম্ভ হল। জাম্ববান বীর হলেও মহাবলবান শ্রীকৃষ্ণের সঙ্গে যুদ্ধে অতি সহজেই পরাভূত হলেন। এরপর স্যমন্তক মণি এবং জাম্ববতীকে নিয়ে যদুকুলপতি দ্বারকায় প্রত্যাগমন করলেন। দ্বারকার পৌরপরিষদে উপস্থিত হয়ে শ্রীকৃষ্ণ যখন সকল কথা বিবৃত করলেন তখন দ্বারকার সকল বিশিষ্ট নাগরিক এই রায় দিলেন যে এই মণি এখন শ্রীকৃষ্ণের, সত্রাজিতের এর উপর আর কোন অধিকার নেই। তখন সত্রাজিৎ তার ভুল স্বীকার করলেন এবং বললেন যে প্রায়শ্চিত্তস্বরূপ তিনি তার একমাত্র কন্যা সত্যভামাকে শ্রীকৃষ্ণের হাতে প্রদান করবেন। কিন্তু শ্রীকৃষ্ণ সত্যভামাকে গ্রহণ করলেও স্যমন্তক মণি গ্রহণ করেননি।[১] সত্যভামার গর্ভাধান করে শ্রীকৃষ্ণ দশটি পুত্রসন্তান লাভ করেন

কৃষ্ণ বিদর্ভ রাজ্যের রাজকন্যা রুক্মিণীকে তাঁর অনুরোধে শিশুপালের সাথে অনুষ্ঠেয় বিবাহ মণ্ডপ থেকে হরণ করে নিয়ে এসে বিবাহ করেন। এরপরই কৃষ্ণ ১৬১০০ নারীকে নরকাসুর নামক অসুরের কারাগার থেকে উদ্ধার করে তাদের সম্মান রক্ষার্থে তাদের বিবাহ করেন।[৫২][৫৩] কৃষ্ণের মহিষীদের মধ্যে আটজন ছিলেন প্রধান, যাদের অষ্টভার্যা নামেও অভিহিত করা হয়। এঁরা হলেন রুক্মিণী, সত্যভামা, জাম্ববতী, কালিন্দি, মিত্রবৃন্দা, নগ্নাজিতি, ভদ্রা এবং লক্ষণা।[৫৪][৫৫][৫৬] কৃষ্ণ নরকাসুরকে বধ করে সমস্ত বন্দী নারীদের মুক্ত করেন। তৎকালীন সামাজিক রীতি অনুসারে বন্দী নারীদের সমাজে কোন সম্মান ছিল না এবং তাদের বিবাহের কোন উপায় ছিল না কারণ তারা ইতিপূর্বে নরকাসুরের অধীনে ছিল।[৫৭] বৈষ্ণব মতে কৃষ্ণের সমস্ত মহিষীগণই ছিলেন দেবী লক্ষ্মীর অবতার অথবা সেই সব নারী যারা বহু জন্মের তপস্যাবলে কৃষ্ণের স্ত্রী হওয়ার অধিকার লাভ করেছিলেন। এছাড়া তাঁর এক স্ত্রী সত্যভামা ছিলেন রাধার অংশ[৫৮]


তথ্য সুত্রঃ
Click This Link

Click This Link

Click This Link

Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে মে, ২০১৩ রাত ১:৪৮
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শ্রমিক সংঘ অটুট থাকুক

লিখেছেন হীসান হক, ০১ লা মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪৮

আপনারা যখন কাব্য চর্চায় ব্যস্ত
অধিক নিরস একটি বিষয় শান্তি ও যুদ্ধ নিয়ে
আমি তখন নিরেট অলস ব্যক্তি মেধাহীনতা নিয়ে
মে দিবসের কবিতা লিখি।

“শ্রমিকের জয় হোক, শ্রমিক ঐক্য অটুট থাকুক
দুনিয়ার মজদুর, এক হও,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কিভাবে বুঝবেন ভুল নারীর পিছনে জীবন নষ্ট করছেন? - ফ্রি এটেনশন ও বেটা অরবিটাল এর আসল রহস্য

লিখেছেন সাজ্জাদ হোসেন বাংলাদেশ, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৪

ফ্রি এটেনশন না দেয়া এবং বেটা অরবিটার


(ভার্সিটির দ্বিতীয়-চতুর্থ বর্ষের ছেলেরা যেসব প্রবলেম নিয়ে টেক্সট দেয়, তার মধ্যে এই সমস্যা খুব বেশী থাকে। গত বছর থেকে এখন পর্যন্ত কমসে কম... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রতিদিন একটি করে গল্প তৈরি হয়-৩৭

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৫১




ছবি-মেয়ে ও পাশের জন আমার ভাই এর ছোট ছেলে। আমার মেয়ে যেখাবে যাবে যা করবে ভাইপোরও তাই করতে হবে।


এখন সবখানে শুধু গাছ নিয়ে আলোচনা। ট্রেনিং আসছি... ...বাকিটুকু পড়ুন

একাত্তরের এই দিনে

লিখেছেন প্রামানিক, ০১ লা মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৬


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

আজ মে মাসের এক তারিখ অর্থাৎ মে দিবস। ১৯৭১ সালের মে মাসের এই দিনটির কথা মনে পড়লে এখনো গা শিউরে উঠে। এই দিনে আমার গ্রামের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হুজুররা প্রেমিক হলে বাংলাদেশ বদলে যাবে

লিখেছেন মিশু মিলন, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ৯:২০



তখন প্রথম বর্ষের ছাত্র। আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে আমাদের আরেক বন্ধুর জন্মদিনের উপহার কিনতে গেছি মৌচাক মার্কেটের পিছনে, আনারকলি মার্কেটের সামনের ক্রাফটের দোকানগুলোতে। একটা নারীর ভাস্কর্য দেখে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×