দারুণ পূর্ণিমা রাত। গ্রামের স্কুলের বোর্ডিং। (আগে শিক্ষকদের তত্ত্বাবধানে স্কুলে থাকার নিয়ম ছিলো)। বোর্ডিং-এর ছাত্ররা পড়তে বসেছে রুমে রুমে।
এক ছাত্র আবার ছিলো কবি মনের। ভরা জ্যোৎস্নায় আর রুমে মন টিকছে না তার। চাঁদের আলো এতোই ছিলো যে বাইরে টেবিল নিয়ে তাতেও বইয়ের লেখা প্রায় স্পষ্ট দেখা যায়। ছাত্রটি তাই করলো। বই-টেবিল নিয়ে বাইরে চাঁদের আলোয় পড়তে বসলো।
কিন্তু কবি মন বলে কথা। কিছু একটা লেখার জন্য মনটা উশখুশ করছে। কী লিখবে? জ্যোৎস্নারাত নিয়ে কবিতা লেখাই উত্তম। শুরু হলো লেখা....আহা কী সুন্দর নিশি...... ছাত্রটি জ্যোৎস্নারাত দেখে, চাঁদ দেখে, আকাশ দেখে, আশে পাশে দেখে.....দ্্বিতীয় লাইন আর আসে না, মিলাতে পারে না ছন্দ।
মাথার চুল ছিঁড়তে ইচ্ছে করছে তার। কেমন করে যে মানুষ কবিতা লিখে। কী আর লিখবে? বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরতো সব লিখে গেছেন। বুড়ো কারো জন্য একটু জায়গায়ও রেখে যান নি, যা নিয়ে কবিতা লেখা যায়!?
আবার সে জ্যোৎস্নারাত দেখে, চাঁদ দেখে, আকাশ দেখে, আশে পাশে দেখে.....টেবিলের নিচে দেখে। দেখে পড়ে আছে ছোট্ট একটি সুন্দর শিশি। মাথা খুলে যায় তার। হাতে উঠে আসে কলম, লেখে কবিতা.... আহা কী সুন্দর নিশি
টেবিলের নিচে চেয়ে দেখি ছোট্ট একটা শিশি......(অসমাপ্ত) 25.06.2006