somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

দুঃখিত হবেন না আস্তমেয়ে

২১ শে জুন, ২০০৬ সন্ধ্যা ৭:১১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

দুঃখিত হবেন না আস্তমেয়ে। শিবিরের র্কম আমি যা দেখেছি আপনি তার চেয়ে কম হয়তো দেখেননি । কিন্তু আপনার আর আমার পর্াথক্য হচ্ছে আপনি র্ধমের ঝান্ডা নিয়ে ওরা আছে বলে ওদের কাজে দোষ দেখেন না , আমি র্ধমের ঝান্ডার ব্যবহার
অনৈতিক মনে করি তাই দোষ দেখি ।
আপনার বাবা ভাল মানুষ কোন সন্দেহ নেই। আমি বাবার বিষয় নিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম এই কারণে না যে তাকে আমি মহামানব মানি। পরিস্থিতি এক্সপ্লেইন করার জন্য দিয়েছিলাম। আপানারা যুদ্ধের সময় পাকিস্তান সর্মথনের কু যুক্তি দিয়েছেন সেটার ফাঁক দেখানো। উনি ভাষা আন্দোলনের মিছিলেও ছিল । ভারত ভাগে ও অংশ নিয়েছে , কলেজ লাইফে রাজনীতি করেছে, উনার চোখের সামনে সব নামি-দামী লোক হিন্দুদের লুট করেছে। ভারত আমাদের উপর প্রভাব খাটাতে পারে সেই ভয় উনারও ছিল । লজিক্যালি চিন্তা করলে যে পক্ষ নেওয়া দরকার উনি সেটা নিয়েছে। নিগৃহীত শ্রেনীর মানুষ হিসেবে একবার ভারত ভাগ সর্মথন করেছে , আবার সেই একই শ্রেনীর মানুষ হিসেবে পাকিস্তান ভাগ সর্মথন করেছে ।

দেশ শুধু একটা ভূখন্ড নয়, এই বিষয়টা যতদিন উপলদ্ধি করবেন না , ততদিন জামায়াতের ইসলামের কারণে বা ভারতের ভয় এগুলো যুক্তি যুক্ত মনে হবে । দেশ ভাগের পর 48, 52, 69 হয়ে 71 আসছে । 71 কারো স্বপ্নপ্রাপ্ত না। ষাট এর দশকের বাম দলের তুমুল জনপ্রিয়তার পরও ওরা ক্ষমতায় আসেনি কেন ? একমাত্র কারণ ওরা পিকিং- মস্কো করে ব্যস্ত ছিল । মানুষের প্রাণের কথা বুঝতে পারেনি। শেখ মুজিবের 1001 টা সীমাবদ্ধতার পরও উনি এই বাংগালীর প্রবাদপ্রতিম পুরুষ হয়ে গেছেন । কারণ উনি একমাত্র ব্যক্তি বুঝতে পেরেছিলেন মানুষ কি চায় । যদিও উনি বিপ্লবী ছিলেন না, উনি নিজেও চেয়েছিলেন সহজ পথে মানুষের দাবী আদায় করতে । বাট ইতিহাস বলে দাবী আদায় হয় রক্ত দিয়ে ।
আমরা যদি ধরি ভারত = সিংহ , পাকিস্তান = বাঘ । সিংহ অধিকতর শক্তিশালী । আপনাদের কথায় বোঝা যায় , জামায়াত সিংহের কবলে না পড়ার জন্য , বাঘের খাঁচায় থাকতে চেয়েছিল। বেঁচে থাকতে হয় লড়াই করে। বাঘের খাঁচা থেকে বের হয়ে , সিংহের সাথে ফাইট দেওয়াই হচ্ছে জীবন। আর র্সববৃহৎ ইসলামিক রাষ্ট্র ভেঙ্গে যাবে এটা একেবারেই হাস্যকর কথা। ইসলাম কে পালন করে দেশ না কি দেশের মানুষ ? যদি মানুষ হয় তবে সেই সময় ভারত ছিল সবচেয়ে বড় মুসলিম অধ্যুষিত দেশ । পাকিস্তানের তো ভারত টুকরো করতে আগ্রহের অভাব নেই।
জীবন রক্ষা হলেই পরে র্ধম আসে , শুধু র্ধম দিয়ে জীবন চলে না। জামায়াতের ভূমিকা নিয়ে কথা বললে আপনাদের একটা প্রবণতা হচ্ছে , এটা বলা যে ইসলাম বিরোধী কথা বলি । আমি নিজে একটাও বলিনি কারণ র্ধম পালনে আমার অনীহা থাকতে পারে কিন্তু অশ্রদ্ধা নেই।

পশ্চিম পাকিস্তানিরা আমাদের কে কি করেছে সেটা আমি বেশ কয়েকবার বলেছি , এগুলো ইতিহাস সাক্ষী । আপনারা হয়তো এগুলো পড়েননি , না হলে এগুলো মিথ্যা বলে আপনাদের মনে হয়। আবার একটা কথা মনে পড়ল বলি , 70 এর সাইক্লোনে তখনকার সরকার কি করেছিল আমাদের জন্য পড়ে আসুন । এক লক্ষের উপর মানুষ মারা গিয়েছিল । বাংলাদেশের র্অথনীতি (1930-1980 ) পড়ুন। 1970 সালের সমীক্ষায় পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্রুপের সেরা দশের তালিকায় বাংলাদেশের এ. কে. খান ছিল একমাত্র গ্রুপ। জনসংখ্যায় আমরা বেশী হওয়া সত্ত্বেও কেন একটা মাত্র বাংলাদেশী গ্রুপ ? কারণ খুজুন , তাহলে চোখ খুলবে । র্অথনীতি , উন্নয়ন নীতি, রাষ্ট্রনীতি , সমাজনীতি এগুলো পড়ুন দেখবেন আমরা কতখানি বনচিত জনগোষ্ঠির প্রতিনিধি ।

আজ যদি পর্াবত্য চট্টগ্রামের মানুষ ওদের আলাদা দেশ চায় , বাংলা ভাষী হিসেবে আমার খুব কষ্ট হলেও বলতে হবে ওদের দাবী অযৌক্তিক না। একটা কথা আছে '' History repeats itself '' । ওদের উপর 25 শে মর্াচ আসলে আমাকে ওদের পক্ষে যেতে হবে । কারণ মানুষের প্রাণের দাবী অনেক বড় আমি মনে করি।

ব্যক্তিগত জীবন দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়াটা খুব ভুল। আমি চাকমা বা মারমা নই । তবুও কেন আমি ওদের দাবী সর্মথন করি। আমার না করলেও তো চলতো। আমি সব ধরণের সরকারী সুবিধা ভোগ করে বড় হওয়া মানুষ, আমারতো ওদের সর্মথন করার কথা না।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০
৯৮টি মন্তব্য ০টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্কুলের বাচ্চাদের ভয় দেখানো উচিত হয় নাই

লিখেছেন সাড়ে চুয়াত্তর, ২২ শে মে, ২০২৪ সকাল ৮:৪৫

ফরিদপুরে একটা গার্লস স্কুলের ১৫ থেকে ২০ জন মেয়েকে দিনে দুপুরে এক বা একাধিক ভুত এসে ভয় দেখিয়ে গেছে। আমার মতে ভুতেরা এই কাজটা ঠিক করে নাই। ক্লাস সিক্স থেকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

লাডাইটসঃ প্রযুক্তি যাদের চাকরি কেড়ে নিয়েছিল

লিখেছেন অপু তানভীর, ২২ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:০২



কর্মক্ষেত্রে আধুনিক যন্ত্রপাতি আর প্রযুক্তির ব্যবহারের একটা অর্থ হচ্ছে কিভাবে আরো কম লোকবল ব্যবহার করে আরো বেশি পরিমান কাজ করানো যায় ! আর এআই এর বেলাতে এই লোকবলের সংখ্যা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মাত্র ৯৭ রানের জন্য প্রথম টি-টুয়েন্টি সেঞ্চুরি মিস করলো শান্ত!!!

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ২২ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১২:০২



বাংলাদেশের ক্রিকেট দলের ক্যাপ্টেন লর্ড শান্ত'র ব্যাডলাকের ভাগ্য খারাপ। চমৎকার খেলছিল। ১১ বলে ৩ রান করার পর হঠাৎই ছন্দ পতন। এতো কাছে গিয়েও সেঞ্চুরি মিস। কি আর করা.........আসলে শান্তর... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বর্গের নন্দনকাননের শ্বেতশুভ্র ফুল কুর্চি

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ২২ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৫:১৭


কুর্চি
অন্যান্য ও আঞ্চলিক নাম : কুরচি, কুড়চী, কূটজ, কোটী, ইন্দ্রযব, ইন্দ্রজৌ, বৎসক, বৃক্ষক, কলিঙ্গ, প্রাবৃষ্য, শক্রিভুরুহ, শত্রুপাদপ, সংগ্রাহী, পান্ডুরদ্রুম, মহাগন্ধ, মল্লিকাপুষ্প, গিরিমল্লিকা।
Common Name : Bitter Oleander, Easter Tree, Connessi Bark,... ...বাকিটুকু পড়ুন

হরিপ্রভা তাকেদা! প্রায় ভুলে যাওয়া এক অভিযাত্রীর নাম।

লিখেছেন মনিরা সুলতানা, ২২ শে মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৩


১৯৪৩ সাল, চলছে মানব সভ্যতার ইতিহাসের ভয়াবহ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। টোকিও শহর নিস্তব্ধ। যে কোন সময়ে বিমান আক্রমনের সাইরেন, বোমা হামলা। তার মাঝে মাথায় হেলমেট সহ এক বাঙালী... ...বাকিটুকু পড়ুন

×