প্রায় ছয় মাস টানা মুরগী আর টুনার ক্যানের উপর চলেছি। কয়েকদিন হচ্ছে বিভিন্ন স্বাদের তরকারী চেঁখে দেখছি। লাউ, বাঁধাকপি, ফুলকপি, পালং শাক- সব দেশীয় খাবার। গত পরশুছিল শুটকী রান্নার পালা। শুটকী আমার খুবই প্রিয়। তাও বাসায় ছিল লইট্টা মাছের শুটকী। ইয়াহু!!!
আমি বললাম আমি রান্না করবো। চার শুটকী পানিতে ভিজিয়ে তরকারীতে যাতে বরকত বাড়ে সেই জন্য মনের আনন্দে কয়েকটা আলু কাটতে শুরু করলাম, শেষমেষ দেখি আলু শুটকীর তুলনায় অনেক বেশি হয়ে গেছে। কি আর করা তাই চুলায় চড়িয়ে দিলাম।
একটু পরেই চম্পেস গন্ধ আসা শুরু করল। আহা মরি মরি টাইপের!!! সময় যায় আর আমি একটা একটা করে শুটকী চামুচ দিয়ে মুখে দেই আর নিজেই নিজের সুনাম করি- আহা হাসান তুই তো পাক্কা শেফ হয়ে গেছিস। দারুন রান্না করিস।
এইভাবে চলতে চলতে যতক্ষনে রান্না শেষ হল, অর্ধেক শুটকী আমার পেটে। সারা হাড়িতে আলু ছাড়া কিছুই দৃশ্যমান ছিল না। আমার খিদা তখনও ছিল, তাই সবার আগে প্লেটে ভাত বেড়ে আবার কিছু শুটকী আলুর সাথে বেছে নিলাম।
আমার পরে আরোও চারজন ভাত খেয়েছে। সবাই বলল শুটকীর তো গন্ধ আলুতে পেয়েছি, কিন্তু আলু ছাড়া তো তরকারীতে কিছু পেলাম না।
আমি তো মুচকি হেসে বললাম, দোস্ত শুটকী গলে তরকারী মিশে গেছে, শুটকীর গন্ধ পাইছিস, এইটাই অনেক। আল্লাহর কাছে শুকরিয়া কর ।