somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

রিয়া ওয়ার প্রেম কাহিনী

২০ শে জুন, ২০০৬ ভোর ৬:৫৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

গল্পটার নাম জনৈক রাজাকার তনয়ের গল্পও হতে পারে যেহেতু মুল ভুমিকায় রাজাকারতনয়, কিন্তু রিয়া ওয়ার প্রেম কাহিনীর মধ্যে একটা চটক আর চমক আছে- অনেক ভেবে উল্লেখিত গল্পের নামকরন করা হলো রিয়া ওয়ার প্রেম কাহিনী।

এই টসকে যাওয়া যৌবন দেখে কি আর বোঝা যায় কতটা আগুন হয়ে উঠতো বিছানায় ও, এখনও যৌবনের ধারে, চোরা চাউনিতে কামনার বান ডাকে, কিন্তু মধ্য যৌবনের যৌনচাহিদার সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পারেন না তিনি।
তখন দিলে আল্লামিয়ার কুদরতে জেহাদীজোশ ছিলো, একে একে কতযে কাফের জবাই করেছেন তিনি তার ইয়ত্তা নাই। কচ করে কেটে ফেলা কণ্ঠনালী এর পর গলা দিয়ে ফুঁস করে গরম বাতাস বের হলে, ওজুর বদনা দিয়ে হাত ধুঁয়ে আসরের ওয়াক্তে জায়নামাজ বিছিয়ে আল্লা মিয়ার প্রেমে গন্ড গলগন্ড ভিজিয়ে নামাজ পড়েছেন, দিলে ছিলো পাকিস্তান পায়েন্দাবাদ- আর নফসের জ্বালাও ছিলো।
হিন্দুবাড়ীর মেয়েদের তুলে দিয়ে কনভয়ে তিনি তাহাজ্জুদের নামাজের আগে আগে স্খলনের পর গোসল করে নিতেন।
মাঝে মাঝে উত্থিত শিশ্ন তহবন ভেদ করে গুতা দিতো জায়নামাজে। তিনি এক মনে ধ্যান করে যেতেন। আহা পেয়ারে পাকিস্তানকে টিকিয়ে দাও।
আমি নিজ হাতে 10টা কাফেরের রক্তি দিবো সোনাডাঙা মসজিদের ভিটেতে।
ইসলামকে পতিত িহতে দিবো না।
সদ্য যৌবন , তখনই ছাত্র মজলিসের হয়ে আবৃতি প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছিলেন।
মদিনায় রওজা আছে মহানবি মুস্তফার
পাকিস্তান পূন্যভূমি কায়দে আজম জিন্নাহর
আমার হৃদয়ে ভাসে মহানবীর পূন্যমুখ
ইসলামের অধঃপতনে ভেসে যায় লোমশ বুক
সবটা মনে পড়ে না এই মধ্য পঞ্চাশে এসে কিন্তু এই
আবৃতির জন্য তাকে মোনায়েম খাঁ সোনার পদক দিয়েছিলেন গলায়-
তিনি তিন দিন গোসল না করে পদক ঝুলিয়ে ঘুরে বেড়ালেন ময়মনসিংহ শহর। তার পর তার পিতা শ্রদ্ধেয় হাজী সাব তাকে ডেকে বললেন
বাবা তোমার তো গোঁফের রেখা পষ্ট হয়েছে, বালেগ হয়ে গেলে নবীর সুন্নত পালন করবে না-
তোমার মা বলছিলো তুমি নাকি ভোর বেলা উঠে ঘংহন গোসল করো- দেখো বাবা এই বয়েসের তাজা শরীর এই ভাবে বীর্জ অপচয় করতে হয় না। আল্লা মিয়াতো সব কিছুর পরিমান নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন, এখন অপচয় করলে ভবিষ্যতের প্রয়োজনের সময় খরা যাবে।
তিনি আব্বাজানকে বলেন আমার এখন ইসলামের খেদমত করার সময়, হুজুরে পাক বোলেছেন যৌবনের সঞ্চয় শ্রেষ্ঠ সঞ্চয়, যেজন যৌবনে আল্লার রাহে কাজ করে তার ইবাদত শ্রেষ্ঠ ইবাদট, আল্লাওলি গোলাম আজম বলেছেন এখন এই নির্বাচনে আমাদের প্রার্থির পক্ষে কাজ করাটা হবে ইসলামের খেদমত। এই বয়েসে বিয়ে করা আমার পক্ষে সম্ভব না।
এত পরিশ্রমের পরও তাদের দলের প্রার্থির পক্ষে ভোট গেলো মাত্র 2 হাজার। এরা পাকিস্তানকে কাফেরস্তান বানাতে চয়, সব ভোট দিছে শেখ মুজিবকে। ওর বাপতো একজন্ম আগে ধুতি পড়ে মন্দিরে কাঁসা বাজাইতো, ঐ রকম মুসলিমের হাতে ক্ষমতা গেলে কি আর পেয়ারা পাকিস্তানে ইসলামের খেদমত সম্ভব হবে।
হুহু করে দিন যায়, উত্তাল দিন, এবং তারপর ত্রাতা আসে প্লেনে চেপে, তেজগাঁও আর ক্যান্টনমেন্ট সব খানে ত্রাতা আসে ঝাঁকে ঝাঁকে। এর পর আল্লাওয়ালা গোলাম আজম টিককা খানের সাথে মিটিং করেন, এর পর তিনি কর্মিদের ইসলাম রক্ষায় ঝাপিয়ে পড়ার নির্দেশ দেন। তখনই কোনো এক দিন চোখ পড়ে তারে সদ্য কিশোরী বিলকিস বেগমের দিকে। আহা কি ঢলঢলে লাবন্য, মায়াকাড়া চোখ, পাকিস্তান কায়েম হলেই তিনি নিকাহ করবেন তাকে এমনটা ভাবেন- রক্ত চনমন করে উঠে তার- অক্ষত কুমারীর প্রথম শীৎকার আর রক্তপাতের সম্ভবনায় তার শীতের মাঝেও শরীর ভিজে যায় ঘামে। খানিকটা বীর্যপাত হয়েছে এমনটা বোধ হয় তার।

কিন্তু পাকিস্তান কায়েম হলো না, তিনিও বন্দি হলেন, 4 বছর জেলে ছিলেন, বাইরে এসে দেখলেম সেই কিশোরী বিলকিসের শরীরে তখন যৌবন থইথই করে। তিনি অবশেষে সুন্নত পালন করেন। জেলখানায় তাকে রোজা রাখতে হয়েছে, যৌবন জ্বালায় মাঝে মাঝে পাশের কয়েদির গায়ে গা লাগিয়ে উত্তাপ চেয়েছেন, এর পর সন্তপ্ত হয়ে পারওয়ার দিগারের কাছে মাফি চেয়েছেন, তিনি অনন্ত বিচার দিনের মালিক, তিনিই পরম ক্ষমাশীল শ্রেষ্ঠ বিচারক, তার বিবেচনায় যদি ক্ষমাযোগ্য হয় তবে কয়েকটা দিনের পায়ুকামকে তিনি ক্ষমা করে দিতেও পারেন, নিয়তে কল্পনায় পায়ুকাম ছিলো না মোটেও ওটা, ওটা কুমারী ভেবেই সঙ্গম ছিলো। দিলের গোপন খায়েশ আর ইচ্ছার কথা কি বিবেচনা করবেন না তিনি।
নিয়তের গুনে বরকত হয়, তারও কি এই পায়ুকামে কোনো সাওয়াব হয় নাই??

তার মনটা বিষন্ন, তাই বসে বসে পুরোনো দিনের কথা ভাবছিলেন, বিলকিস বেগম গত রাতে তার সাথে ঘনিষ্ঠ হয়েছিলেন, তার ঈমানে হাত রেখে বলেছিলেন অনেক দিন আপনাকে কাছে পাই না, আজ এসেছেন, আমার সতীন হয়েছে আপনার পার্টি, সারাদিন পার্টি পার্টি করেন, বাসায় ভীড়, রাতেও ক্যাডাররা আসে, ওদের সাথে শলাপরামর্শ করে পরিশ্রান্ত হয়ে ফিরে আসেন- আপনাকে দেখে মায়া হয়। আজ অনেক দিন পর কাছে এসেছেন,
তিনি পারেন না অলচেই হাঁপিয়ে যান। মনের ভেতর সন্দেহ কুটকুট করে, তিনি 96এ একবার পরীক্ষা করিয়েছিলেন, তারা বলেছিলেন তার আর পিতা হওয়ার সম্ভবনা নেই, কিন্তু এর পরও তার ঘর আলো করে এসেছে 2 জন। এটা আল্লা মিয়ার কুদরত হতে পারে। তার লীলা বোঝা দায় কিন্তু ডাক্তার যেমন নিশ্চিত ভাবে বললো তাতেই সন্দেহের অংকুরোদগম হয়, খচখচ করে বিধে, প্রথমটা হয়তো কিন্তু পরেরটাও- আসলেই কি আমার না কি আমার ব্যাস্ততার ফাঁকে অন্য কেউ?
অবশ্য বিশ্বাস নেই কাউকেই, আল্লাওয়ালা গোলাম আজমের পূত্র তার আপন চাচীর ঘরে ঢুকে দোর দিয়েছে আর সে খবর চাউর হয়েছে, পার্টির সবাই ছিঃছিঃ করেছে আড়ালে কিন্তু সমনা সমনি কিছুই বলে নাই। এমনও হতে পারে। কেউ অবসরে এসে -নাহ এমনটা হওয়ার নয়, কালও তো বিবিজান এমন ঘনিষ্ঠ হয়ে কাছে আসলো- কিন্তু সন্দেহের বিষবৃক্ষ ডালপাল ছড়ায় দ্্রুত- এমনটা হতেই পারে এখনতো টার আর সেই জোশ নেই, এই বয়েসেই কামনার তীব্রতা থাকে বেশী। সব শেষ হয়ে যাওয়ার আগে যেভাবে সলতের সবটুকু নিয়ে আগুন জ্বলে উঠে তেমনই এই পড়ন্ত বেলায় হয়তো সক কামনা জ্বলে উঠেছে।

তিনি লাইব্রেরিতে গিয়ে ছেলের কাছে খত লিখেন
786
বাবা
পরম করুনাময়ের কুদরতে আশাকরি ভালোই আছো।
ঠিক মতো ইসলামের খেদমত করবে, এই কাজে ফাঁকি দিও না, আল্লা মিয়া ফাঁকি পছন্দ করেন না।
তুমিতো জানোই আমার বয়েস হয়েছে, এখন শরীর একটু আরাম আয়েশ চায়, প্রিয়জনের সানিধ্য চায়। কিন্তু তোমার মাতা আগার সাথে দুর্ব্যাবহার করছে আজকাল।
আমি আল্লাহর দরবারে মুনাজত করি তিনি যেনো তাকে সুমতি দেন।
শুনেছি কাফেররা নাকি কোন এক ধনন্তরী ট্যাবলেট তৈরি করেছে, ভায়াগ্রা নাম, খেলে নাকি আবার যৌবন ফিরে পাওয়া যায়।
আমার জন্য কিনে পাঠিও বাবা। বয়েস হয়েছে, শরীরে বল পাই না। এত চাপে থাকি,পার্টির কাজ, এলাকার ছেলেরা ধরেছে এবারও নির্বাচন করতে হবে। এত পরিশ্রম করি একটু বলের প্রয়োজন, তুমি ভায়াগ্রা যদি পারো পাঠিয়ে েিদা।
অর্থ সঙ্কট হলে হাবিবুর রহমানের কাছে লইয়া লইবা, তিনি আমাদের পার্টির একজন ভালো কর্মি। বলবা এ ইটাক পার্টির চাঁদা হিসেবে বিবেচিত হবে।
আর কি, ভাল থাকিও, শরীরের যত্ন নিও।
ঠিক মতো ইসলামের দাওয়াত দাও।


পর্ব 2

মসজিদে এসে মেজাজটা খিঁচরে যায় ওয়া আলিমুজ্জামানের, আজকেও মুসল্লি কম। এই মাগরিবের ওয়াক্তে গুটিকতক লোকজন এসেছে। সে পলাশুনা করে, এখনও খানিকটা তোতলা, র উচ্চারণ করতে পারে না ঠিক মতো, তাই কখনই ইমামতির সুযোগ পায় না সে, আজও সে সুযোগ হবে না, মরোককোর আলি বেগ ইমামের জায়গা নিয়েছে।
তাকে প্রথম দিকে একবার ইমামতির সুযোগ দেওয়া হয়েছিল, ইকলা বিহামদি লাবি্বকাল লাদি বলায় পেছনে একজন ফুঁচকি দিয়ে হেসেছিলো, এই রকম অপমানিত হয় নি কখনও সে, অবশ্য দেশী ভাইয়েরা এইসব নিয়ে মাথা ঘামায় না, টার বাবার পরিচয়ে সম্মানিত এখানে সে।
দাওয়াত দিতে গিয়েছিলো এক বাসায়, গৃহকর্তা মনোযগো দিয়ে শুনেছেন তার করা, তার বাসায় দেখা হলো রিয়ার সাথে, আহা কি সৌন্দর্য, বড়ই মনোহর হুরের মতো। এর পর তিনি বললেন তুমি ক করো এখানে বাবা।
সে বলেছিলো আমি এখানে ইউনিভালসিটিতে পলাশুনা কলি চাচ্চু।
হুমম বলে গম্ভির হয়ে গিয়েছিলেন গৃহ কর্তা। আগমনের হেতু শুনে বললেন, তা বাবা এই উন্নত দেশে ক্যানো এসেছো ইসলামের দাওয়াত দিতে। আফ্রিকার দরিদ্্র দেশে ক্যানো ইসলামের দাওয়াত নিয়ে যাচ্ছো না। এইখানে এত প্রাচুর্য আর মনকে বিক্ষিপ্ত করা বিজ্ঞান এখানে স্বয়ং আল্লাকেও টিভিতে বিজ্ঞাপন দিতে হবে।
টিভিতে না বললে এরা কোনো কথাই বিশ্বাস করে না।
তারচেয়ে আফ্রিকার অনুন্নত দেশে যাও। সেখানে মানুষজনের অভাব, সেখানে দাওয়াত সমাজ সেবার কাজ করো। তেলা মাথায় তেল ঢালার কি দরকার, যেখানে প্রয়োজন সেখানে কাজ করতে হবে।
দেখো না মিশনারীরা কখনই এইসব জায়গায় নিজেদের কাজ করে না তেমন করে, ওদের লক্ষ্যই থাকে অনুন্নত সমাজ। ক্যাথলিক চার্চের প্রভাব বাড়াতে ওদের এই দরিদ্্রবিমোচন আর সেবা প্রকল্প কাজে দিচ্ছে খুব। ওদের অনুসারী বাড়ছে কিন্তু মুসলিমরাও পিছিয়ে নেই, ওদের দাওয়াতি কাজ সব বিছানায় হয়। আয়েশে গা এলিয়ে ঘন ঘন মুসলিম জন্ম দিয়ে যাচ্ছে। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রনের কোনো তরিকা না নেওয়ায় ইসলাম এখন ফার্স্ট গ্রোয়িং রিলিজন ইন দি ওয়ার্লড।
যদি মুসলিমদের জন্মনিয়ন্ত্রনের নিয়ম থাকতো তাহলে এত মুসলিম বাড়তো না, আর বাড়ছে যেসব দেশের মুসলিম সবারই নিজের পেট ভরাতে হয়রান হতে হচ্ছে। প্লেটে ভাত নেই কিন্তু একেকজন ভাবের সম্রাট। প্রতিবছর একটা করে বাচ্চা হচ্ছে , বিয়াতে বিয়াতে হয়রান হয়ে গেলো এরা।
ঠিক মতো নামাজে দাঁড়াতে পারে না।
রিয়া কি ওমন বিয়াতে পারবে? অবশ্য শরীরে তাগরা ভাব। পুষ্ঠিকর খাবার খেয়েবড় হয়েছে তা দেহের গড়ন দেখেই বোঝা যায়।
জায়নামাজে দাঁড়িয়ে তার মনটা ভালো হয়ে যায় রিয়ার কথা চিন্তা করে। আসবার আগে দরজায় দাঁড়িয়ে হেসেছে।
কোথায় পড়ে এর খোঁজ নিতে হবে।
এখানে ইসলামের দাওয়াত দেওয়ার নাম করে তার সমস্ত আত্মিয়রা জমায়েত হয়েছে কাউকে বললে জানা যাবে সব।

খবর এসেছে রিয়াও তার সাথেই পড়ে। একই ক্যাম্পাসে, কিন্তু এই ছোটো ক্যাম্পাসে কাউকেই তো দেখে মনে হয় নাই এর চেহারার সাথে রিয়ার চেহারা মিলে।
আজ অধিবিদ্যার ক্লাশ টেস্টে পাশের জন জিজ্ঞাসা করলো ওয়া আলিমুজ্জামান স্লামাআলাইকুম। হাউ আর ইউ?
হিজাব পরিহিত মেয়ে দেখে সম্ভ্রমে মাথা নত করে বলললো যাযাকুল্লাহ খায়েল। আই অ্যাম ফাইন। এন্ড ইয়ু্য।
আই অ্যাম রিয়া, আই গেস ইয়ু্য দিডনট রিকগনাইজ মি।
ও গড- ইয়ু্য!!!
মনটা ফুরফুরে হয়ে যায় তার।
এম এস এন এ নিয়মিত কথা হয় এখন। অনেক কিছু শিখছে সে এই রিয়ার কাছে। যদিও সে রিয়া বলট পারে না ঠিক মতো, লিয়া বলে , রিয়া তাকে বলেছে মানুষের আত্মবিশ্বাস কম হলে সে এমন তোতলায়, তাকে আত্মবিশ্বাসী হতে হবে। মুসলিমদের মহাজাগরনের সময় চলে এসেছে, তারিক রামাদান আর ইউসুফ ইসলামেরা সমস্ত বিশ্বে ইসলামের নিশান উচিয়ে ধরছে-
তাদের দুজনের এত মিল, যেনো নিজ হাতে একজোড়া পদ্ম বানিয়েছেন আললা মিয়া।
তার মতো রিয়ারও আদর্শ নেতা আল্লাওয়ালা গোলাম আজম। গোলাম আজমের জীবনি পড়ে হু হু করে কেঁদেছি আমি, এই বাংলাদেশের পাষান মানুষেরা গোলাম আজমের মতো পবিত্র ব্যাক্তির মা'কে দেখতে যাওয়ার অনুমতি দেয় নাই। ওদের উপর লানত পড়বে। ওরা জানে না গোলাম আব্বার ছেলেরা কি সুন্দর। ঝকঝকে হীরার মতো দু্যতি।
তার কথা শুনলে আমার ভিতরটাকেঁপে উঠে। এত বয়েস অথচ কি হ্যান্ডসাম দেখছো।
সেই দিন থেকে তার প্রণয় গাঢ় হয় রিয়ার প্রতি।

আজ সকালে সে চিঠিটা পেয়েছে, ভায়াগ্রা কিনতে হবে, হাবিবুর আংকেলের কাছে ফোন করেছিলো। হাবিবুর আংকেল চাঁদা দিয়ে যাবে, ক্লাশ শেষে যাবে কিনতে, এর পর ডি এইচ এল এ পাঠিয়েদিবে। আব্বা চেয়েছেন সে এইটুকু করতে পারবে না?
বাধ সাধলো রিয়া। ক্লাশ শেষে বের হতে না হতেই এসে হাজির।
তাকে নিয়ে যেতে লজ্জা লাগছইলো প্রথমে এর পর ভাবলো নিজের জন্য তো কিনতে যাচ্ছে না, বাবার ওষুধ।

রিয়া ফিক ফিক করে হাসে আর আড় চোখে তাকায়, ফার্মেসি থেকে বের হওয়ার পর থেকেই রিয়ার আচরন একটু বদলে গেছে।
এর পর এসে বললো, এত দিনে বুঝলাম তোমার আত্মবিশ্বাস কম ক্যানো? এইসব কোনো ব্যাপার না বুঝলেন? সমবোধন বদলে আলাদা কিছুর অস্তিতব টের পেয়ে তার অস্তিত্বের সংকট তৈরি হয়, কোনো মতে পাজামার নীচে ঝুলে যাওয়া আত্মবিশ্বাস টেনে কোমড় পর্যন্ত তুলে বললো, না তুমি যাভাবছো তা না, আমি সপ্তাহে তিন দিন- মাশাল্লাহ বীর্য কম বের হয় না। আমার ঐখানে সমসয়া নাই। এটা আব্বার ওষুধ।
আপনার আব্বা তো অনেক রোমান্টিক, এই বয়েসেও আন্টির জন্য কি টান। সেটলড ম্যারেজ বুঝি? সেটলড ম্যারেজে এ রকমই হয়। আমার আব্বা আম্মার মধ্যেও এমন টান। বাবার ড্রায়ারেও দেখেছি এই জিনিষ। অবশ্য ভালোবাসার টান পড়ে না এই বয়েসটাতেই। এখনই তো ভালোবাসার সময়।

তার মনটা ফুরফুরে আজ। এই আব্বার ওষুধ কিনতে গিয়ে যে ঝলক দেখলো রিয়ার চোখে তা চিনে নিতে একটুও ভুল করে নি ঘাঘু তার চোখ। ঘরের দাসীর উপর প্রাকটিস ময়াচ খেলে শানিয়ে নিয়েছে নিজেকে, স্বয়ং উর্বশি আসলেও তাকে কাঁপিয়ে দিতে পারবে এমন বিশ্বাস তার।
ডি এইচ এল এ পোষ্ট করে হাত ধরে বসে পার্কে।

শেষ ছবি যা দিয়ে সচারাচর গল্পের অবসান হয়। অবশেষে তাহার সুখে শান্তিতে বসবাস করিতে লাগিলজাতিয় রূপকথায় যা হয়,

পার্কের মাঠে হাত ধরে বসা রিয়া-ওয়া আর সামনের সবুজ ঘাসে চড়তে থাকা রামছাগল আড় চোখে তাকিয়ে দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে।

সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০
২০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জেন্ডার ও সেক্স

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ২৪ শে মে, ২০২৪ সকাল ৯:৫২

প্রথমে দুইটা সত্যি ঘটনা শেয়ার করি।

২০২২ সালে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দিতে জেলা পর্যায়ে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। মৌখিক পরীক্ষার ঘটনা। দুজন নারী প্রার্থী। দুজনই দেশের নামকরা পাবলিক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামীলীগে শুধুমাত্র একটি পদ আছে, উহা সভাপতি পদ!

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৪ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:৪১


বাঙ্গালীদের সবচেয়ে বড়, পুরনো ও ঐতিহ্যবাহী দল হচ্ছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। এই দলটির প্রতি মানুষের ভালোবাসা আছে। মানুষ এই দলের নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন করেছে। ৭০ এর নির্বাচনে এই দলটিকে নিরঙ্কুশ... ...বাকিটুকু পড়ুন

এমপি আনারের মৃত্যু এবং মানুষের উষ্মা

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৪ শে মে, ২০২৪ রাত ৮:২৯


সম্প্রতি ভারতে চিকিৎসা নিতে যাওয়ার পর আনোয়ারুল আজীম আনার নামে একজন বাংলাদেশি এমপি নিখোঁজ এবং পরবর্তীতে তাকে শ্বাসরোধে হত্যার পর তার মরদেহের হাড়-মাংস আলাদা করে হাপিত্যেশ করে দেওয়া হয়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

দোয়া ও ক্রিকেট

লিখেছেন শাহাবুিদ্দন শুভ, ২৪ শে মে, ২০২৪ রাত ৮:৪৪


দোয়া যদি আমরাই করি
তোমরা তাইলে করবা কি?
বোর্ডের চেয়ারম্যান, নির্বাচকের
দুইপায়েতে মাখাও ঘি।

খেলা হচ্ছে খেলার জায়গা
দোয়ায় যদি হইত কাম।
সৌদিআরব সব খেলাতে
জিতে দেখাইত তাদের নাম।

শাহাবুদ্দিন শুভ ...বাকিটুকু পড়ুন

তোমার বকুল ফুল

লিখেছেন নীল মনি, ২৪ শে মে, ২০২৪ রাত ১০:১৪

বকুল ফুলের মিষ্টি গন্ধে ভরে থাকে আমার এই ঘর। আমি মাটির ঘরে থাকি। এই ঘরের পেছন দিকটায় মা'য়ের হাতে লাগানো বকুল ফুলের গাছ৷ কী অদ্ভুত স্নিগ্ধতা এই ফুলকে ঘিরে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×