এই বুকে জগত সংসার।
মেঘের আশিস ধোয়া ঊর্বশী জমিন চষে
এই বুকে ফলে তরতাজা সোনা।
উরুর নিভাঁজ ভেঙে পাতকের সন্ত্রাসী ঔরসে
এই বুকে জন্ম নেয় কৃতঘন মীরজাফর
একজন তীতুমীরের দু'চোখে খেয়ে
এই বুকে উলঙ্গ বিচ্ছিন্ন নাচে ভিনদেশী শৃগাল।
পশ্চিমের দিক-ভাল থেকে উড়ে আসে কালো মেঘ
উন্মত্ত কাল-বৈশাখী সাধের বাংলো ভেঙে নিয়ে যায়
শোষকের পীড়িত সর্বস্ব সয়ে এই বুকে জন্ম নেয় তরতাজা প্রাণ
ত্রিশ লক্ষ দেহের নিংড়ে পূবের আকাশে ভেসে ওঠে কাঙ্ক্ষিত সুরুয।
কিশোরী লতার দেহের শেকলে বাঁধা
এই বুকে নিশ্চুপ দাঁড়িয়ে থাকে ফলবান গাছ
সর্পিল আক্রোশে এখানেই বয়ে যায় কীর্তিনাশা স্রোত।
দরদী মায়ের মতো এই বুক নিশ্চুপ-নিঝুম
আবার অত্যাচারীদের সলিল সমাধির জন্য
এ বুকেই ওঠে হঠাৎ জোয়ার!