somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

“পুলিশ কথন” নায়কের আরেক রুপ যখন দানব তখন “বিড়ালের গলায় ঘণ্টা বাধবে কে”?

১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৫:০৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

দেশের পতাকা কে স্যালুট এবং দেশের সংবিধান,আইন ,মান মরিয়াদা ও জনগনের জান মালের নিরাপত্তা বিধানের শপথ নিয়ে একজন সাধারন নাগরিক পুলিশ বাহিনীতে যোগ দেয়। সেও কিন্তু আপনার আমার মতন মানুষই। কিন্তু কিছু দিনের মাথায় দেখা যায় সে একজন দুরনিতিগ্রস্ত, নিষ্ঠুর এবং নির্বোধ পুলিশ অফিসার এ পরিনত হয়। কিন্তু সে তো এই সপ্ন নিয়ে আসেনি এই পেসায় ! সে এসেছিল নায়ক হতে কিন্তু হয়ে গেল দানব।

প্রতি পাচ বছরের সরকার পরিবর্তন রাষ্ট্র ও সমাজ এর প্রতিটি স্তরে যেই পরিবর্তন আনে সেটিরই একটি চিত্র আমরা দেখতে পাই বাংলাদেশ পুলিশে। সরকার পরিবর্তনের সাথে সাথে থানার ওসির রুমের ছবিগুলির সাথে সাথে পুলিশের ভিতরকার যেই অন্তরাত্মার গোলামির পরিবর্তন হয় সেটি আসলে নতুন কিছু নয়।

আসলে বাংলাদেশ পুলিশ নখ ও দন্তহীন নয়। রাজনীতিবিদদের কুচিন্তা এবং স্বার্থসিদ্ধির কারনে পুলিশকে যুগে যুগে করা নখ দন্তহীন।
আজকের যেই পুলিশ বাহিনী আছে সেটি আসলে জন নিরাপত্তা কম বরং রাজনীতিবিদদের লাথিয়াল বাহিনীতে বেশী পরিনত হয়েছে।কিন্তু এমনতো হবার কথা ছিল না।

আমি বিশ্বাস করি যে অন্তত এই মানুষগুলির মনে দেশের প্রতি প্রেম আছে এবং সেটি আপনার আমার এবং রাজনীতিবিদদের থেকে বেশী।
দেখুন আসলে পুলিশ এর ভাল কাজগুলি আমরা জানতে পারিনা এবং সেটি কিছুটা ঢাকা পড়ে এই কাজগুলিকে তাদের দায়িত্ব হিসেবে ব্যাখ্যা দেয়ার মাধ্যমে। আর আমাদের সামনে আসে খারাপগুলি এবং স্বাভাবিকভাবেই তারা সমালোচিত হন।

কিন্তু খুব বেশি কি এদের করার আছে কিংবা তারা আসলে কতটুকু স্বাধীন এই কাজের জন্য সেটি কিন্তু একটি প্রশ্ন। থানায় গেলে সাধারন রিপোর্ট, নারী নির্যাতনের রিপোর্ট, খুনের রিপোর্ট থেকে শুরু করে যেকোনো রিপোর্ট গ্রহন করতেই যেখানে পুলিশের রাজনীতিবিদদের হস্তক্ষেপের শিকার হতে হয় সেখানে তদন্ত এবং রিপোর্ট প্রদান করা কিভাবে সম্ভব আমার ভাই ।

নানা রকম ভয়ের মাঝে কাজ করতে হয় পুলিশ বাহিনীকে । সাসপেন্ড হবার ভয় থেকে শুরু করে ট্রান্সফার পর্যন্ত এবং এমনকি পরিবারের নিরাপত্তাও হুমকির সম্মুখীন প্রতি মুহূর্তে। এসব এর মধ্য থেকে কাজ করার জন্যও অন্তত আমাদের পুলিশ বাহিনিকে ধন্যবাদ দেয়া যেতে পারে।

শুধু যে রাজনীতিবিদরা তা না ধনী বনিক শ্রেণী ও স্বনামধন্য ব্যাক্তিরাও তাদের অবস্থানের মুনাফা লুটে পুলিশের কাছ থেকে এবং নানা আইনি সুবিধা নিয়ে থাকে। এই অবস্থায় পুলিশের সাথে এই সুবিধাভোগী লোক গুলিকে আলাদা করার উপায় একটিই এবং সেটি হল পুলিশের ভিতরকার পোস্টিং বা ট্রান্সফারটিকে একটি নির্দিষ্ট নিয়মের মাঝে নিয়ে আসা এবং সাথে সাথে তাদের বেতন ভাতা এবং সুবিধাদি বৃদ্ধি করা ।

ট্রান্সফারটির সিস্টেম যদি এমন করা যেত যে একজন পুলিসকে পরিবর্তন করে চাইলেই ইচ্ছেমত যায়গায় দেয়া যাবে না আনাও যাবে না সবাই রোটেটেড হবে একটি সার্কেলে। সুতরাং তখন অন্তত একজন পুলিশ এর রাঙ্গামাটি আর বান্দরবন যাওয়ার ভয় থাকবে না। আর বেতন বা অন্যান্য সুবিধাদি বারালে অন্তত দেখা যাবে যে দুর্নীতির প্রবনতা কমেছে। আমরা কোটি কোটি টাকা দিয়ে সেনাবাহিনীর সর্ব রকম পুনর্বাসন করলাম যারা কিনা দুর্যোগ এবং বিশেষ সময় ছাড়া কোন ব্যাবহার হয় না আর যেই পুলিশ ২৪ ঘণ্টা ৩৬৫ দিন কাজ করে দেশের তরে তাদের জন্য শূন্য থালি। একি নিষ্ঠুর বিমাতাসুলভ আচরন।

যাই হোক আমাদের এই বীর সেনাদের সম্মান জানাই । দেশের তরে তাদের অবদান অনস্বীকার্য। তবে আরও আসাধারন হতে পারত যদি দেশের ওই কিছু পাওয়ারফুল মানুষের আচরন আরও সুন্দর হত। ভাল এবং সুন্দর আগামীর আশা রাখছি এবং নায়কদের নায়করুপে দেখার আশাবাদ ব্যাক্ত করে শেষ করছি।
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৮ ই মে, ২০২৪ ভোর ৬:২৬

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
প্রথমত বলে দেই, না আমি তার ভক্ত, না ফলোয়ার, না মুরিদ, না হেটার। দেশি ফুড রিভিউয়ারদের ঘোড়ার আন্ডা রিভিউ দেখতে ভাল লাগেনা। তারপরে যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আকুতি

লিখেছেন অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক- এর নুডুলস

লিখেছেন করুণাধারা, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫২



অনেকেই জানেন, তবু ক এর গল্পটা দিয়ে শুরু করলাম, কারণ আমার আজকের পোস্ট পুরোটাই ক বিষয়ক।


একজন পরীক্ষক এসএসসি পরীক্ষার অংক খাতা দেখতে গিয়ে একটা মোটাসোটা খাতা পেলেন । খুলে দেখলেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

×