somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অন্যমনষ্ক শরৎ-এর "প্রস্তাবনা" সংক্রান্ত পোষ্ট ও "শ্লীল-অশ্লীল"

১০ ই জুন, ২০০৬ বিকাল ৪:০১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


আমি ভেবেছিলাম এতো মানুষের ভীড়ে মন্তব্য বা কিছু না লেখাই ভাল। কারণ মন্তব্য বা কিছু লিখতে গেলে কারো না কারো বিরাগভাজন যে হব সেটা আমি বুঝতেই পারছি। তবুও আমার মনে হলো ব্যপারটা একটু খোলাসা করা দরকার। আবার এটাও চিন্তা করলাম আমি এ নিয়ে কি ভাবি সেটা সবাই জানুক। কারণ প্রশ্নটা "শ্ল্লীল" বা "শালীন" ও "অশ্লীল" বা "অশালীন" নিয়ে। এখানে পুরো ব্যাপারটাই দৃষ্টিভঙ্গির। পোষ্টটা নিয়ে বিতর্ক হতেই পারে, হবেও এই ধরণের পোষ্ট হলে। কারণ "শ্লীল", "অশ্লীল", "শালীন" ও "অশালীন" এই কথাগুলো আপেক্ষিক। এবং এই কথাগুলো সমাজ, পরিবেশ ও পারিপাশ্বর্িক অবস্থার নিরিখে বিচার ও বিশ্লেষণ করে তবেই গ্রহণযোগ্যতা পায়। "শ্লীলতা" ও "অশ্লীলতা" এর ব্যাখা বা সংজ্ঞা সমাজ, ধর্ম, শিা, সংষকৃতি, দর্শন, কৃষ্টি, মানসিকতা ও দৃষ্টিভঙ্গির উপর নির্ভরশীল। এক এক সমাজে "শ্লীল" ও "অশ্লীল" -এর স্বীকৃতি ও স্বরূপ এক একভাবে পালিত বা গৃহীত হচ্ছে। আমাদের সমাজ রক্ষণশীল তাই আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি আলাদা। যা কিছু দৃষ্টিকটু বা নিন্দনীয়, যা শ্রবনযোগ্য নয় বা যা কিছু মুখ দিয়ে উচ্চারণ করা ঘৃনার ব্যাপার এবং যা যা করা বা করতে যাওয়া দূষনীয় তা'ই "অশ্লীল"। যেখানে এগুলোর কোন কিছুই নেই বা থাকতে পারে না বা থাকা উচিৎ নয় বা আছে এমন ভাবতেও অবান্তর মনে হয় তা'ই "শ্লীল"। আমি আমার দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে এই সবকিছু বিচার করছি। অনেকে আরও অনেক বিষদ ব্যাখা দিতে পারেন। যা এই স্বল্প পরিসরে হয়তো সম্ভব নয়।

পোষ্টের মূল কাঠামো এবং শব্দ বিন্যাসের মারপ্যাঁচে এক একজন এক এক রকম ভাবছেন। তবে বিতার্কিক হিসেবে নিজের প্রতি আস্থা রেখেই আমি কিছু যুক্তি উপস্থাপন করতে চাই। অবশ্যই তা বিতর্কের মূল ভাব ও বিষয়বস্তুর চুলচেরা বিচারের মাধ্যমে। নিজের চিন্তা, চেতনা ও দৃষ্টিভঙ্গিকে সমুন্নত রেখে আমি পোষ্টটাকে বা বিষয়টাকে ঠান্ডা মাথায় খুব ভাল করে এবং গভীরভাবে আবারও সকলকে পড়তে অনুরোধ করছি। সবার চিন্তা ও চেতনাকে নিরপেক্ষ ও উন্মুক্ত করার জন্য এই অনুরোধটা না করে পারছি না।

আপনারা লক্ষ্য করুন পোষ্টে যে "প্রস্তাবনা" দেয়া হয়েছে তা ইনভার্টেড কমার মধ্যে আছে কিনা। আমি দেখছি আছে। সুতারাং ধরে নিতে পারি পুরো প্রস্তাবনাটা অন্যমনস্ক শরৎ- এর নিজস্ব কোন "কোট" বা "কোটেশন" বা কোন "উক্তি" বা বিতর্কের বিষয়বস্তু যা "প্রস্তাবনা" আকারে উপস্থাপন করা হয়েছে। এটা যে শরতের নিজের কথা তা কিন্তু একবারের জন্যেও উল্ল্লেখ নেই। কারণ ইনভার্টেড কমার মধ্যে থাকা প্রস্তাবনাটি নির্দ্দিষ্টভাবে শুধুমাত্র এই বিষয়টিকে পোষ্ট হিসেবে দেয়া যাবে কী না এর উপর। শরৎ প্রস্তাবনাটির কেমন গ্রহণযোগ্যতা পায় তা নির্ণয় করতে বা মাপতে চেয়েছে। এই প্রস্তাবনাকে রূপক হিসেবে ব্যবহার করে এমন সব ধরণের প্রস্তাবনার মূল্যায়ন বা গ্রহণযোগ্যতাকে এক কথায় "হ্যাঁ" কিংবা "না" উত্তর চাওয়া হয়েছে। তাই এর বিষদ ব্যখা, আলোচনা বা ভাব সমপ্রসারণ সবকিছুই কিন্তু এই "হ্যাঁ" কিংবা "না" কে নিরূপণ করার জন্য। আপনি যুক্তি দিয়ে অবশ্যই বলবেন প্রস্তাবনাটি "শ্লীল" বা "অশ্লীল" হবে কী না। এবং পারলে অবশ্যই বলবেন কেন "হ্যাঁ" হবে বা কেন "না" হবে ।

অথচ আপনারা অত্যন্ত জঘন্য ও অশ্লীল ভাষার ব্যবহার করে আপনাদের যে মনোভাব বা চিন্তার প্রকাশ ঘটালেন তাতে অন্যমনস্ক শরৎ যেমন পোষ্টটা দিয়ে যুক্তিহীন বিতর্কের অবতারণা করেছে আপনারা কেউ কেউ তার চেয়েও বেশী নোংরা মানসিকতার পরিচয় দিয়ে ফেলেছেন। যার কোন প্রয়োজনই ছিল না। আপনার ভাল না লাগলে কোন মন্তব্য করতেন না। সোজা ইগনোর করতেন। আর মন্তব্য করতে হলে মন্তব্যের শুরুতে অবশ্যই লেখা উচিৎ ছিল "হ্যাঁ" কি "না"। আমি জানি সবাই আমার মত "না" উত্তর দিতেন। আর তার থেকেই বোঝা হয়ে যেত এই সাইটে কে কি চায়। অথর্াৎ নোংরামির কোন জায়গা এখানে নেই। নোংরামি কোন ভাবেই এই সাইটে সহ্য করা হবে না বা হতে দেয়া যাবে না।

এবার পোষ্টটা নিয়ে কিছু বলা যাক। ইনভার্টেড কমার মধ্যে তার "প্রস্তাবনা" বা প্রতিপাদ্য শেষ। তারপর তার জিজ্ঞাস্য ছিল, "যদি সত্যিই এমন একটা 'প্রস্তাবনা' ব্লগে প্রকাশ করা হয় তাহলে এটিকে কোন ধরনের পোষ্ট বলে আপনারা মনে করেন"। এখন প্রশ্ন হচ্ছে ব্লগের পরিভাষায় এই ধরণের পোষ্ট "শ্লীল" হবে নাকি "অশ্লীল" হবে? আপনি কোন পক্ষ নেবেন? এই প্রস্তাবনা পোষ্টের পক্ষে এবং বিপক্ষে আপনাদের মতামত দেবেন। সবার মত যে এক হবে তা না। তবুও এই প্রস্তাবনার সূত্র ধরে ব্লগে পোষ্ট আসতে পারে "আছেন এমন কেউ লিভ টুগেদার-এ আগ্রহী", "আছেন এমন কেউ পার্টটাইম লাইফ পার্টনার হতে চান" অথবা "আছেন এমন কেউ যিনি প্রেমে নয় সেক্সে বিশ্বাসী " ইত্যাদি ইত্যাদি। তখন ব্লগে লগইন করে আপনি আমি সবাই এক বিব্রতকর অবস্থার স্বীকার হবো। যাই হোক আমি শরৎ'কে অনুরোধ করবো জরিপ শেষে পোষ্টটি মুছে ফেলার জন্য। আশা করি এসব বিষয়ের অবতারণা সবাই ভাবনা চিন্তা করেই করবেন। পরিশেষে এই ব্লগ পরিবারে নিজেদের মানিয়ে চলার মত পরিবেশ ধরে রাখি যাতে আমাদের বিনোদনের পথটা যেন হারিয়ে না যায়।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০
২২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

সচিব, পিএইচডি, ইন্জিনিয়ার, ডাক্তারদের মুখ থেকে আপনি হাদিস শুনতে চান?

লিখেছেন সোনাগাজী, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:৪৫


,
আপনি যদি সচিব, পিএইচডি, ইন্জিনিয়ার, ডাক্তারদের মুখ থেকে হাদিস শুনতে চান, ভালো; শুনতে থাকুন। আমি এসব প্রফেশানেলদের মুখ থেকে দেশের অর্থনীতি, রাজনীতি, সমাজনীতি, বাজেট,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আকুতি

লিখেছেন অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক- এর নুডুলস

লিখেছেন করুণাধারা, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫২



অনেকেই জানেন, তবু ক এর গল্পটা দিয়ে শুরু করলাম, কারণ আমার আজকের পোস্ট পুরোটাই ক বিষয়ক।


একজন পরীক্ষক এসএসসি পরীক্ষার অংক খাতা দেখতে গিয়ে একটা মোটাসোটা খাতা পেলেন । খুলে দেখলেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

×