somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

প্যাশন ওফ দি গোট-একটি অশালীন ছবির গল্প

০৯ ই জুন, ২০০৬ রাত ১২:৩৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ভুবন ডাঙার মাঠে দেখা গেলো ত্রিকালজ্ঞ মহান রাম ছাগলকে। তিন ভুবনের বাসিন্দা রামছাগলের নামের মাহত্ব্য আছে-তার মাথা অতীতে মানে একসময় ছিলো কিন্তু এখন বিবর্ন ধুসর স্মৃতি- মাঝে মাঝে সেই বিগত মাথার শোক এড়াতে জ্ঞানগর্ভ কথা বলা ত্রিকালজ্ঞের প্রিয় প্যাশন- প্যাশন ওফ দি গোট নামে তার একটা বিশাল ধর্মগ্রন্থ ছাপা হচ্ছে নিয়মিত।
তার দেহের মধ্যভাগ ইহকালে মানে বর্তমানে, দেহের কাজ ভোগ করা, ভোগ বাদী চেতনা ধারন করে শরীর, আর মস্তিস্ক বিহীন বা চেতনাবিহীন কামনা সব সময়ই কিছু না কিছু ঝামেলার জন্ম দেয়।
তার পদচতুষ্টয় পড়েছে ভবিষ্যতে মানে পরকালে। পরকাল চিন্তায় অস্থির তার চতুষ্পদ। এই নিয়ে তিনভুবনের বাসিন্দা ত্রিকালজ্ঞ মহান রামছাগল কিভাবে কিভাবে যেনো ভুবন ডাঙার উঁচু গাছের ডালে ঝুলে পড়লো, সেখান থেকেই নিয়মিত তার জ্ঞানগর্ববাতচিতশোনানো শুরু করলো -মহান রামছাগলের দলের পতাকার রং ছিলো সবুজ- কারনটা সহজ গাছের পাতা সবুজ, পাতা তাদের জীবনীশক্তির উৎস, এই পাতার রংই তাদের জাতীয় পতাকার রং হবে এটাতে দ্্বিমতের কিছুই নেই।
গোল বাধলো সবুজের মাঝে কি বসবে এটা নিয়ে। বিড়ালতপস্বি বুজুর্গ বিড়াল মোচে মোচড় দিয়ে বললেন-পতাকার সাথে ঈমানের সম্পর্ক আছে, ঈমান এখন আর পৃথিবীতে নেই আছে মহাশুন্যে, সেখানে চাঁন তারার দেশের ফেরেশতারা এখনও ইবাদাত বান্দেগি করে নিয়মিত- তাই চাঁন তারার ছবি থাকাটাই সবচেয়ে শোভন হবে-

যারা এখন ভ্রু কুঁচকে ভাবছেন বিড়াল গাছের ডগায় চড়েছে এটাতে আশ্চর্য হওয়ার কিছুই নেই কিন্তু রামছাগল কিভাবে গাছের ডগায় চড়লো? কথাটা ভাববার মতোই, বিড়ালের মুখে সব সময় মধুর বানী, বিড়াল আদরপ্রেমী, ভদ্্র বিড়াল হাগু করলে ঢেকে ফেলে, আর লাঞ্চ ডিনারের পর থাবা চেটে খায়, এবং সব সময়ই ওরা পশুজগতের শীর্ষে মানে ওদের জাতভাইরা সবাই পশু জগতের শীর্ষে অবস্থান করে, যেমন ধরেন বনের রাজা সিংহ, বাঘ, জাগুয়ার, চিতা সবাই বিড়ালের জাত ভাই, এদের মামা মাসি বিড়াল-এরা শীর্ষে উঠবেই কোনো প্রশ্ন নেই- শিকার দিকে যাদের নজর, যারা সব সময় উচ্ছিষ্ট এঁটো কাঁটা খেয়ে জীবন ধারণ করে, যারা বিভিন্ন ছলে পরিবারের ভেতরে ঢুকে আদর পেয়ে মাথায় চড়ে বসে থাকে তারা ভূবন ডাঙার মাঠের গাছের মগডালে চড়ে বসে থাকবে এই দৃশ্য তেমন আশ্চর্য কিছু না।
কিন্তু রামছাগল কিভাবে উঠলো গাছের মগডালে? ওদের শীর্ষে উঠার কোনো যোগ্যতা নেই, খুরের মধ্যে এমন কোনো সুপার গ্লু লাগানো নেই সেটা দিয়ে ওরা এই মধ্যাকর্ষনকে ফাঁকি দিবে?

উত্তর দিয়ে গেছেন আইনস্টাইন- অঈনস্টাইন জীবনের অনেক ভুল করেছেন কিন্তু সবচেয়ে বড় ভুল করেছিলেন নিউটনের সূত্র ভুল প্রমানিত করে- তিনি পরকাল এবং মহাবিশ্বের প্রসারণ নিয়ে কি বলছেন তা জানাচ্ছি একটু পরে, একটুরিসার্চ করতে হবে ইন্টারনেটে-কিন্তু গুগল ইয়াহু কাজ করছে না, সার্চ অপশন বন্ধ। একটু ঘুরে এসে জানাচ্ছি রিসার্চের খবর, বুক মার্ক করা ছিলো না-
খুরের আঘাতে কি বোর্ড ছিন্ন ভিন্ন হয় প্রতিদিন, রামছাগল প্রায় পর্যুদস্ত করে ফেলেছেন তাবত বিজ্ঞানি এবং ছোটো মাপের গবেষকদের।
আইনস্টাইন বলেছেন সময় বস্তু দ্্বারা প্রভাবিত হয় কিন্তু এটা কোরানের বানীর সাথে খাপ খায় না, ঐ বেটা বুঝবে কি, বেটা উজবুক ইহুদি বললেই হলো সময়কে বস্তু নিয়ন্ত্রন করে, সময় কি বস্তুবাদী? কোরানে বলা আছে সময় সৃষ্টি করেছেন আল্লাহ- রিসার্চাররা বিভিন্ন জায়গায় এইসব প্রমান করে যাচ্ছেন প্রতিদিন। প্রতিদিন কোরানের আয়াতের নতুন নতুন অর্থ নির্ণয় হচ্ছে আর এই বেকুব আইনস্টাইন বলে কি, ওরে 2টা ভার্চুয়াল উস্টা লাগাও।
রামছাগল অশ্ল ীলতা বিরোধী, ছোটো ভাইবোনেরা ভুবন ডাঙায় বেড়াতে আসে, তাই তিনি হাফপ্যান্ট কিনেছেন নতুন, যদিও পশুদের ন্যাংটা থাকাটাই প্রাকৃতিক নিয়ম কিন্তু উপরে ঝুলে থাকলে ইজ্জত আব্রু রেখে ঢেকে রাখতে হবে।

বিড়ালতপস্ব ীর জয় হোক, জয় হোক রামছাগলের-বুনিয়াদ বুলন্দ করো জনগন- হাঁক দাও - আগার মা কা দুধ পিয়া তো সামনে আ, আহা আগে কি সোন্দর দিন কাটাইতাম আমরা আগে কি সোন্দর দিন কাটাইতাম যখন
ও যখন ওমর বককর আলী উসমান
দজলার ঘোলা জলে ভাসাইলো সাম্পান
তখন কি সোন্দর দিন কাটাইতাম আমরা তখন কি সোন্দর দিন কাটাইতাম

অবিশ্বাসীর চোখ খুঁজে পায় না সত্য, সত্য অনুভবের বিশ্বাসের- ইনিয়ে বিনিয়ে বলা চলে- একটা গর্ত খুড়লে এবং সেই গর্তে ছেড়ে দিলে 2টা 4টা 6টা ব্যাং ওরা কি করবে? ওরা জগত সংসারের কি বুঝে, আমি ফিশফ্রাই খাই-ইহা হালাল কিন্তু ফ্রগফ্রাই খাই না-মাঝে মাঝে চিংড়ি পোকা খাই ধরে ধরে কিন্তু লবস্টার ফ্রাই খাই না।
আদতে সবটাই এক- বাঘের কাবাব খাই না, স্বাজাতির মাংস ভক্ষণ ঠিক না, আর কুকুরের নাগাল পাই না। কিন্তু কুরিয়ান চাইনিজ কুকুরের মাংস খায়, যদিও জ্ঞান আহরনের চীনে যাওয়ার কথা ছিলো কিন্তু বেদাতি জ্ঞানের দরকার নাই আমার- আমার ঘরের কোণায় ইঁদুরের সাথে ডিগবাজী খেলা এটাই শিক্ষা, একটা ইঁদুরের ঘাড় মটকে দিলে এক বেলা শান্তির ঘুম।

ছবি পরিচিতি-
রামছাগলের ভাষ্য: ছবিটা অশালীন, আমার ছোটো ভাই বোনেরা এইখানে এসে এইসব ছবি দেখে নষ্ট হয়ে যাবে, আমাদের পরিবারভূক্ত মেয়েদের ঘরের বাইরে এনে ন্যাংটা করে রেখেছে এটা ইহুদিদের চক্রান্ত। শুধু কি তাই, দেখো একটা বিড়াল আবার- ছিঃ ছিঃ ছিঃ না আমি খারাপ কথা বলা পছন্দ করি না। অশালীন কিছু দেখা আমার পছন্দ না, সামহোয়ারইনে আসতাম ভাবতাম এটা একটা ভালো সাইট ,কিন্তু এইখানেও এই রকম পর্নোগ্রাফিক ছবি-

আমার ভাষ্য: ছবিটার মধ্যে একটা চরম সত্য বিদ্যমান। এটা আমাদের ব্লগ গাছের প্রধান বৃক্ষের ডালের সাংকেতিক ছবি।
ছবিটার অন্য একটা মাহত্ব্য হলো এর সার্বজনীনতা- বিড়াল তপস্বি মানুষেরা এই ভাবেই যুগে যুগে ছগলদের ইহকাল দোহন করে নিজেদের আখের গুছিয়ে নিচ্ছে, ছাগলেরা পরম আমোদে নিজেদের ইহকলাের সব কিছু খুলে দিয়েছে বিড়ালতপস্ব ীদের। বড়ই গুঢ় ছবি- ছবি কথা বলে -
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০
৮টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আকুতি

লিখেছেন অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক- এর নুডুলস

লিখেছেন করুণাধারা, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫২



অনেকেই জানেন, তবু ক এর গল্পটা দিয়ে শুরু করলাম, কারণ আমার আজকের পোস্ট পুরোটাই ক বিষয়ক।


একজন পরীক্ষক এসএসসি পরীক্ষার অংক খাতা দেখতে গিয়ে একটা মোটাসোটা খাতা পেলেন । খুলে দেখলেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কারবারটা যেমন তেমন : ব্যাপারটা হইলো কি ???

লিখেছেন স্বপ্নের শঙ্খচিল, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০২

কারবারটা যেমন তেমন : ব্যাপারটা হইলো কি ???



আপনারা যারা আখাউড়ার কাছাকাছি বসবাস করে থাকেন
তবে এই কথাটা শুনেও থাকতে পারেন ।
আজকে তেমন একটি বাস্তব ঘটনা বলব !
আমরা সবাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আর আদর্শ কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৭

তার বিশেষ কিছু উক্তিঃ

১)বঙ্গবন্ধু বলেছেন, সোনার মানুষ যদি পয়দা করতে পারি আমি দেখে না যেতে পারি, আমার এ দেশ সোনার বাংলা হবেই একদিন ইনশাল্লাহ।
২) স্বাধীনতা বৃথা হয়ে যাবে যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×