আমি বিশ্বাস করি যেকোন শিল্পকর্মের মত সম্পর্কের ও সৌন্দর্যতা -কদর্যতা থাকে। আশপাশের লোকেরা সুন্দর সম্পর্ক উপভোগ করে, আকর্ষন বোধ করে।
শুধু নারী-পুরুষের সম্পর্ক নয়, যেকোন সম্পর্ক সুন্দর হবার কিছু পূর্ব শর্ত থাকে। পারস্পরিক সম্মানবোধ এদের মধ্যে প্রথম। কাউকে সম্মান করতে না পারলে ভালবাসা যায়না। তা সে প্রেমিকা হোক, বাবা হোক আর মেয়েই হোক।
'সমমর্যাদাবোধ' সুন্দর সম্পর্কের একটি আবশ্যক উপাদান, আমার মতে। এই 'সমমর্যাদাবোধ' জিনিষটার প্রবল শত্রু হচ্ছে নির্ভরশীলতা। তা সে অর্থনৈতিক হোক আর আবেগগত বা মানসিক হোক। আমি বলতে যাচ্ছি দুটি স্বাধীন, মর্যাদাবোধসম্পন্ন মানুষই পারে একটা সুন্দর সম্পর্ক গড়তে। আমি কাউকে ভালবাসি এবং আমি কারুর ওপর নির্ভরশীল ু কথা দুটি আমার কাছে বিপরীতার্থক মনে হয়। আমি ভালবাসি মানে আমি দেবো- এটাই স্বাভাবিক ভাবি।
এখন যদি নির্দিষ্ট করে দাম্পত্য জীবনের কথা বলতে হয়, তাহলে বলবো ু সমমর্যাদাবোধসম্পন্ন দুটি মানুয় কখনোই দায়িত্ব সমানভাবে ভাগ করে নিতে দ্বিধা করবেনা। তা সে ঘরের হোক আর বাইরের হোক। আর পৃথিবীটার তুলনায় ঘর খুব ছোট একটা জায়গা। কোন মানুষের কর্মস্থল ঘর হতে পারেনা। এর অর্থ আবার এই না যে সুন্দর সম্পর্কের জন্য দুজনকেই কামাই করতে হবে। দুজনের কেউ যদি উপার্জনে অম হন, তাহলেও সুন্দর সম্পর্ক হতে পারে যদি সমমর্যাদাবে ধে অপূর্ণতা না থাকে।
আর সন্তানদের ঠিকমত মানুষ করতে সারান সাথে রাখার দরকার নেই। যুগের হাওয়া আপনার সন্তানের গায়ে লাগবেনা _ এটাতো অসম্ভব, তাইনা?
যতই গম্ভীর শোনাক এটাই আমার বিশ্বাস।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০