somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ধ্রুব

১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:২৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

১।
আমার খুব ভাবতে ভাল লাগে। মানে যা দেখি সেটা নিয়ে ভেবে আমি ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাটিয়ে দিতে পারি। মাঝে মাঝে সেই ভাবনায় এমনি ডুবে যাই যে নিরব ডাকলেও সাড়া দিইনা।সাড়া দেয়া তো পরের ব্যাপার, আমি শুনতেই পাইনা। কদিন আগে হলে এই নিয়ে নিরব চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করত। বলত, কি এত ভাব সারাক্ষণ বলতো? দেশের বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবীদের সব ভাবনা কি তুমি একাই ভেবে ফেলবে নাকি?

কদিন ধরে নিরব বকে না আমাকে। বকা তো দূরে থাক।রাগী গলায় কথা পর্যন্ত বলেনা। এমন না যে হঠাৎ করে আমি ভাবনাদের ছুটি দিয়ে ওর ডাকে সাড়া দিচ্ছি। আমি বরং আগের চেয়েও বেশি ভাবনাদের সঙ্গে থাকি। কিন্তু ও বকতে পারছে না। যদি আমার পেটের দুষ্টুটা বাবাকে রাগী ভেবে ভয় পায়! রোজ অফিস থেকে ফিরেই নিরবের এখন একটাই কাজ।আমার হাত ধরে বসে থাকা। মাঝে মাঝে পেটে হাত রেখে বাবুটার অস্তিত্ব বুঝতে চেষ্টা করা। কিন্তু বাবুটা,যাকে আমি আর নিরব ধরেই নিয়েছি মেয়ে বাবু, এখনো নড়ার মত বড় হয়ে ওঠেনি। আমি আমার ভাবনারাজ্যে উঁকি দিলেই গুটিসুটি মেরে ঘুমিয়ে থাকা বাবুটাকে দেখতে পাই। আমাকে দেখতে পেলেই পাজিটা বাবার কথা জানতে চায়। বোঝেও না বাবাকে অফিস যেতে হয়! মেয়েগুলো বড্ড বাপসোহাগী হয়। ওকে নিয়ে দিনভর ভেবেও আমার ভাবনা শেষ হয়না। রাতে নিরব ফিরলে ওকেও সঙ্গে নিই। দুজনে মিলে আমাদের বাবুটার সঙ্গে এত্ত এত্ত গল্প করি।

সেই সময়টায় নিরবও শিশু হয়ে যায়। অর্থহীন কিছু শব্দ করে আমাকে বলে, ‘বুঝেছ কিছু? তুমি না বুঝলেও আমাদের বাবুটা বুঝেছে। জন্মের পর তো এসব ভাষায়ই কথা বলবে ও। তারপর আস্তে আস্তে আমাদের কাছ থেকে শিখবে কিভাবে বাংলায় কথা বলতে হয়! তুমি যদি ভেবে থাক শব্দগুলো অর্থহীন, তাহলে ভুল করছ। কোন শব্দই অর্থহীন না। তুমি হয়ত সে শব্দের অর্থটা জান না। এটুকুই। ছোট শিশুরা কি বলে আমরা সেটা বুঝতে পারি না কারণ বড় হতে হতে আমরা শব্দগুলো ভুলে যাই। নতুন শব্দ শিখি। কিন্তু তার মানে এই না যে এগুলো শেখার আগে যা বলেছি, সেগুলো অর্থহীন...’

আমি মুগ্ধ হয়ে দেখি বাবা হওয়ার অপেক্ষায় ঝকমক করতে থাকা নিরবের মুখ। ভীষণ ভাল লাগে আমার!

২।

আটমাস চলছে আমার। আজকাল বাবুটা খুব ভাল করেই তার উপস্থিতি জানান দেয়। মাঝে মাঝেই তার ছোট্ট পায়ে এমন লাথি লাগায়! যেন রেগে মেগে বেরিয়ে আসতে চাচ্ছে মায়ের কাছে। মা তাকে বের করে নিচ্ছে না বলে রাগে হাতপা ছুঁড়ছে! এত রাগ! বাবুটা কি ছেলে হবে নাকি! ডাক্তার বলেছে এখন আমরা চাইলেই জানতে পারি বাবুটা ছেলে নাকি মেয়ে! কিন্তু নিরব মানা করেছে। বলেছে, ‘ ছেলে হোক বা মেয়ে, দুটার ক্ষেত্রেই আমি ভীষণ খুশি। আগেই জেনে সারপ্রাইজটা নষ্ট করতে চাই না!’ কথাটা আমারও পছন্দ হয়েছে খুব। কদিন আগেই বাবুটার নাম ঠিক করতে চেয়েছে নিরব। একটা ছেলের নাম আর একটা মেয়ের নাম খুঁজতে বলল আমাকে! অন্য সব বাবা মায়ের মতই আনকমন একটা নাম রাখা নিয়ে দারুণ উত্তেজিত সে। আমি বলেছি, উহু। এখন না। বাবুটা পৃথিবীতে আসুক। ওর মুখ দেখে প্রথম আমার যা মনে হবে, আমি সেটাই ওর নাম রাখব ।

নিরব খানিকক্ষণ ভেবে বলেছে, ভাল তো বুদ্ধিটা!

আমি মনে মনে বললাম, আমার বুদ্ধি ভাল তো হবেই!



৩।

অনেকবার মায়ের মুখে শুনেছি, লেবার পেইনের কষ্টটা কখনই কেউ ভুলতে পারত না যদি না বাচ্চার মুখ দেখার পর তারচেয়েও কোটি গুণ আনন্দ এসে ভেতরটাকে ভাসিয়ে না নিত! এটা যে কতটা সত্যি আমি কখনই জানতে পারতাম না যদি জ্ঞান ফেরার পর পাশে শুয়ে থাকা ছোট্ট মুখটা দেখে খুশিতে আমার চোখে পানি এসে না যেত! ব্যাথায় আমার মনে হয়েছিল আমি আর বাঁচব না। এত কষ্ট কেন মা হতে! কিন্তু এখন এই বাবুটার মুখ দেখে আমার মনে হচ্ছে ওকে পাওয়ার জন্য এর চেয়ে বেশি কষ্টও আমি করতে পারতাম। এত্ত বড় একটা ধ্রুব সত্যি আবিস্কার করলাম বলেই কিনা কে জানে! আমি আমার ছেলের নাম রাখলাম ধ্রুব।



৪।

একটা শিশুর পৃথিবীতে আসাটা আসলে অসম্ভব চমৎকার একটা ব্যাপার! নিজে নিজে একটা কাজও করতে পারে না অথচ সবার মনোযোগটা নিজের দিকে রাখতে সে ষোলআনা সফল। খানিকক্ষণ পরপর ধ্রুবকে খাওয়ানো, কাঁথা বদলে দেয়া, ঘুম পাড়ানো এই করেই দিন কাটে আমার। নিরব একটু পর পর অফিস থেকে ফোন করে জানতে চায় বাবুটা এখন কি করছে, জেগে আছে নাকি ঘুমোচ্ছে, খেয়েছে কিনা, কাঁদছে কিনা! আর অফিস থেকে আজকাল বেশ আগে আগেই ফেরে নতুন বাবা হওয়া নিরব। এসেই তার সারাদিনের ঘটনা বাবুকে শোনাতে শুরু করে। কিছুক্ষণ স্বাভাবিকভাবে যেন আমি বুঝতে পারি আর কিছুক্ষণ অদ্ভুত সব শব্দ করে, যেন বাবুকে শোনাচ্ছে। ওর ছেলেমানুষি দেখে আমি দারুণ মজা পেলেও ধ্রুবর এদিকে কোন খেয়াল নেই। সে নিজের মনে ঘরের দেয়াল দেখতে থাকে।

নিরব কিছুক্ষণ পর আমার দিকে তাকিয়ে বলে, আমি বোধহয় ওর ভাষাটা ঠিকমত বলতে পারছি না!

আমি হাসি ওর ছেলেমানুষি দেখে।

৫।

আমাদের বাবুটার কদিন আগেই ছয় মাস হয়ে গেল। এখন সে দুধের পাশাপাশি খিচুড়িও খাচ্ছে। নিরব খুব অস্থির হয়ে আছে কবে সে বাবুর মুখে প্রথম ‘বাবা’ বা ‘ আব্বা’ ডাক শুনবে। অস্থির আমিও। কিন্তু আমাদের বাবুটা দারুণ চুপচাপ। খুব ভাবুক হয়ে সে দেশ ও জাতি নিয়ে ভাবতে থাকে। আর কোন দিকে মনোযোগ নেই তার।

নতুন কিনে আনা ঝুনঝুনি বা নরম সরম পুতুলগুলোর কিছুই সে ছুঁয়েও দেখে না। আমি আর নিরবই খেলি ধ্রুবর নানা-নানুমনি, দাদু-দিদা, খালামনি আর চাচ্চুর দেয়া দারুণ সব খেলনা নিয়ে। বাবা বলেন, ধ্রুব নাকি তার দাদার মত গম্ভীর স্বভাবের হবে।

আমি আর নিরব হাসি। আমাদের মত চঞ্চল আর পাজি বাবা মা থাকতে ধ্রুব কিভাবে গম্ভীর হবে!

৬।

ধ্রুবর প্রথম জন্মদিন নিয়ে নিরব খুব উত্তেজিত। পরিচিত এমন কেউ নেই যাকে সে দাওয়াত দিতে বাদ রেখেছে! গতকাল বাবুকে তার নানুমনির কাছে রেখে আমি আর নিরব ঘণ্টা পাঁচেক লাগিয়ে শপিং করেছি পার্টির জন্য। কিন্তু যার জন্যে এত কিছু তার কোন মনোযোগ নেই কোন দিকে। বাবার কথাই ঠিক। ধ্রুব তার দাদার মতই গম্ভীর হয়েছে। বলা ভাল, তার দাদার চেয়েও বেশি গম্ভীর হয়েছে। এত্ত গল্প, গান, কবিতা শোনাই, সে কোন পাত্তাই দেয় না। নিজের মনে হাত পা নাড়ে। হামাগুড়ি দেয়, খাটের কোনা ধরে দাঁড়ায়ও। কিন্তু একটা কথাও বলে না। এত সখ করে রাখা নাম ধরে ডাকলেও ফিরে চায় না। আমি ভীষণ ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম যে ওর কোন হিয়ারিং প্রবলেম আছে কিনা! কিন্তু ডাক্তার বললেন, সব ঠিকই আছে। কোন কোন বাচ্চার নাকি একটু দেরি হয় কথা বলতে!

আমার ভাল লাগে না। কবে যে আমার ধ্রুব ‘মা’ বলে ডাকবে! আজকাল ঘুমাতেও ইচ্ছা হয়না আমার। পাছে ধ্রুব আমাকে ডেকে জবাব না পায়! আমার ছেলের প্রথম ‘মা’ ডাক আমি কিছুতেই মিস করতে চাই না !

৭।

নিরবকে আজকাল আমি ধ্রুবর বাবা বলে ডাকি। সে ভীষণ আগ্রহ নিয়ে জবাব দেয় কিন্তু ধ্রুব নিজেই তার নাম নিয়ে খুশি না। ডাকলে ফিরে চায় না, আমি আর নিরব যখন গল্প শোনাই ফিরেই চায় না।আড়াই বছর হয়ে গেল আজ পর্যন্ত আমার ছেলেটা আমার চোখের দিকে তাকিয়ে একটা শব্দ বলল না। পাশের ফ্ল্যাটের ভাবি প্রায়ই আসেন তার বাচ্চাকে নিয়ে। ধ্রুবরই বয়সি সে। কি সুন্দর করে ‘মা’ ডাকে ছেলেটা! ধ্রুবর খেলনা নিয়ে খেলে। অথচ ধ্রুব নিজেই সেগুলো ছুঁয়ে দেখে না! ভাবি বলেন, আপনার বাচ্চাটা কি শান্ত হয়েছে ভাবি! আমার ছেলে তো দিনরাত জ্বালিয়ে মারে।

আমি মনে মনে বলি, আমি তো চাই আমার ধ্রুবও আমাকে দিনরাত জ্বালিয়ে অস্থির করে রাখুক। ও কেন এত শান্ত!

বাচ্চাটা ধ্রুবর পাশে বলে কি কি সব বলে, ধ্রুব পাত্তাই দেয় না। নিরব বলে, দেখ দেখ এখনই কি ভাব নিচ্ছে আমার ছেলে।

কিন্তু আমার কেমন ভয় ভয় করে! আমার ধ্রুবর কি কোন সমস্যা হচ্ছে! কেন সে কিছু বলবে না!

এসব নিয়ে চিন্তায় আমি যখন প্রায় বিপর্যস্ত তখনই এক দুপুরে ধ্রুব প্রথম একটা শব্দ বলল, সেটা হচ্ছে ‘পানি’। খাওয়াবার সময় প্রায়ই সে পানির গ্লাস নিয়ে একটা গ্লাস থেকে আরেকটায় পানি ঢালতে ঢালতে খেলে। এটা তার খুবই পছন্দের কাজ। ঘণ্টার পর ঘণ্টা এটা নিয়ে কাটিয়ে দেয় সে। আমি কতবার তাকে বলেছি, এটা পানি । বাবা বল, পানি। সে কিছুই বলেনি। এতদিন পর আমার ছেলে একটা শব্দ বলেছে, না হোক সেটা ‘বাবা’ কিংবা ‘মা’, আমার ছেলে কথা বলতে পারে সেই আনন্দে আমার চোখে পানি এসে গেল!কি মিষ্টি রিনরিনে গলা তার! আমি নিরবকে ফোন করে বললাম তোমার ছেলে একটা শব্দ বলেছে। সে চিৎকার করে বলল, নিশ্চয়ই বাবা বলেছে! আমি থমকে গিয়ে বললাম, না! ‘পানি’ বলেছে!

৮।

ধ্রুবর সাথে নিরব আর আগের মত অফিস থেকে ফিরেই গল্প করতে বসে না। বেচারার দোষই বা দিই কি করে! ধ্রুব কিছুরই জবাব দেয় না। তাকে যদি নিরব প্রশ্ন করে, বাবা কি খেয়েছ? ধ্রুব জবাব তো দেবেই না। বরং বলতেই থাকবে, ‘কি খেয়েছ? কি খেয়েছ?’

মানা করলে রেগে গিয়ে কাঁদতে শুরু করে! নিরব তাই আজকাল একাই থাকে বেশি। আমি ধ্রুবকে নিয়ে ব্যস্ত থাকি বলে বেচারাকে সময়ও দিতে পারি না! ছেলেটার দিকে একটু খেয়াল না রাখলেই বিপদ! কিছু একটু এদিক সেদিক হলেই সে রাগে অস্থির হয়ে যায়! রোজ রাতে কোলবালিশ ওর ডানপাশে থাকে, সেদিন ভুলে বামপাশে রেখেছি বলে সে কেঁদেকেটে একাকার করল! এইটুকু বাচ্চা! তার একটা রুটিনের একটু এদিক ওদিক হলে সে চিৎকার করে বাড়ি মাথায় তোলে! আর কদিন পর তাকে স্কুলে দেয়ার বয়স হবে! কিন্তু কিছুই শেখাতে পারছি না! পেন্সিলটা ধরে মুঠো করে। ঠিক করে দিতে গেলে আবার সেই বদমেজাজ! নিরব আজকাল টিভিতে খেলাও দেখে সাউন্ড অফ করে। জোরে হঠাৎ শব্দ হলে ধ্রুব কাঁদতে থাকে!

এমন কেন আমার ছেলেটা!

নিরবকে বলে ওকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে যেতেই হল অবশেষে! সব দেখে শুনে ডাক্তার যা বললেন, তাতে সত্যিকার অর্থেই আমার মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ল! আমার ধ্রুবর মধ্যে এসব নাকি অটিজমের লক্ষণ! এতদিন কথা বলতে না পারা, একই কথা বারবার বলা, চোখের দিকে তাকিয়ে কিছু বলতে না পারা, একই কাজ ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে করা, রুটিনের একটু এদিক সেদিক মেনে নিতে না পারা, কারণ ছাড়াই রেগে যাওয়া, জোরে শব্দ হলে কাঁদতে শুরু করা এগুলোকে আমরা ভেবে নিয়েছিলাম জেদি আর অমিশুক হওয়ার কারণে করা! অথচ আমার বাচ্চাটা যে আর দশটা স্বাভাবিক বাচ্চার মত না সেটা ভাবতেই চাইনি। আমি অনেক চেষ্টা করেও নিজেকে ধরে রাখতে পারলাম না। কেঁদে ফেললাম ডাক্তারের চেম্বারেই। নিরব আমাকে থামাতে চেষ্টা করল কিন্তু ধ্রুব ফিরেও চাইল না। যেন তার মা কাঁদলেও কিছু যায় আসে না তার!

সেদিন রাতে ধ্রুব ঘুমিয়ে পড়ার পর ওর মাথার পাশে অনেকক্ষণ বসে রইলাম আমি আর নিরব। এই দেবশিশুর মত বাচ্চাটার দিকে তাকিয়ে বিশ্বাস করতে ইচ্ছা হয় না ডাক্তারের কথাগুলো। অবশ্য ডাক্তার বলেছে আমরা যদি ঠিকমত ওর যত্ন নিতে পারি, ওকে বুঝতে চেষ্টা করি, তাহলে হয়ত আস্তে আস্তে ও স্বাভাবিক আচরন শিখে স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারবে। আমার আবার বুক চিরে একটা দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে আসে। নিরব আস্তে করে আমার হাতে হাত রাখে। কোমল গলায় বলে, মন খারাপ করো না। আমাদের ধ্রুব যে কোন একদিন আইনস্টাইনকে ছাড়িয়ে যাবে না সেটা কে বলেছে? জান তো আইনস্টাইনের ও অটিজম ছিল। ওকে রেগুলার মেডিসিন, সাইকোথেরাপি যা লাগে সব কিছু দেব আমি।

আমার বাচ্চাটা হয়ত রেইনম্যান মুভির ডাস্টিন হফম্যান বা আইনস্টাইন হবে না। কিন্তু সে তো আমার বাচ্চা! অনেক ভালবাসায় বড় করব আমি তাকে। সারাক্ষণ তার পাশে থাকব। আমার বাবাটার যেন কখনও ভালবাসার অভাব না হয়। ডাক্তার বলেছে ওকে সাপোর্ট দিতে। ভালবাসার চেয়ে বড় কোন সাপোর্ট হয় নাকি!

আমিও তাই ভাবি। আমার ধ্রুবকে আমি কখনও একা হতে দেব না। ওর ছোট্ট আঙ্গুলগুলো ছুঁয়ে আমারও মনে হয়, ভালবাসার চেয়ে বড় কোন সাপোর্ট হয় নাকি!
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৩২
৪টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কিভাবে বুঝবেন ভুল নারীর পিছনে জীবন নষ্ট করছেন? - ফ্রি এটেনশন ও বেটা অরবিটাল এর আসল রহস্য

লিখেছেন সাজ্জাদ হোসেন বাংলাদেশ, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৪

ফ্রি এটেনশন না দেয়া এবং বেটা অরবিটার


(ভার্সিটির দ্বিতীয়-চতুর্থ বর্ষের ছেলেরা যেসব প্রবলেম নিয়ে টেক্সট দেয়, তার মধ্যে এই সমস্যা খুব বেশী থাকে। গত বছর থেকে এখন পর্যন্ত কমসে কম... ...বাকিটুকু পড়ুন

সম্পর্ক

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৪২


আমারা সম্পর্কে বাঁচি সম্পর্কে জড়িয়ে জীবন কে সুখ বা দুঃখে বিলীন করি । সম্পর্ক আছে বলে জীবনে এত গল্প সৃষ্টি হয় । কিন্তু
কিছু সম্পর্কে আপনি থাকতে চাইলেও থাকতে পারবেন... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রতিদিন একটি করে গল্প তৈরি হয়-৩৭

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৫১




ছবি-মেয়ে ও পাশের জন আমার ভাই এর ছোট ছেলে। আমার মেয়ে যেখাবে যাবে যা করবে ভাইপোরও তাই করতে হবে।


এখন সবখানে শুধু গাছ নিয়ে আলোচনা। ট্রেনিং আসছি... ...বাকিটুকু পড়ুন

একাত্তরের এই দিনে

লিখেছেন প্রামানিক, ০১ লা মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৬


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

আজ মে মাসের এক তারিখ অর্থাৎ মে দিবস। ১৯৭১ সালের মে মাসের এই দিনটির কথা মনে পড়লে এখনো গা শিউরে উঠে। এই দিনে আমার গ্রামের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হুজুররা প্রেমিক হলে বাংলাদেশ বদলে যাবে

লিখেছেন মিশু মিলন, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ৯:২০



তখন প্রথম বর্ষের ছাত্র। আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে আমাদের আরেক বন্ধুর জন্মদিনের উপহার কিনতে গেছি মৌচাক মার্কেটের পিছনে, আনারকলি মার্কেটের সামনের ক্রাফটের দোকানগুলোতে। একটা নারীর ভাস্কর্য দেখে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×