রামপুরা এক ও.সি. র বাসায় অনেকদিন ভাড়াটিয়া ছিলাম। ও.সি. সাহেব খুব সদাশয় ব্যক্তি, তার বউ একটু কড়া।ও.সি সাহেব নামাজ পড়েন, চোখে সুরমা দেন, আর জাফর ইকবালের বই পড়েন। মিরপুর থানার ও.সি. ছিলেন বিধায় প্রতি বৃহস্পতিবার তার বাসায় কতগুলো বেওয়ারিশ হাস-মুরগী এসে যেতো, তার সুরমা লাগানো চোখের দয়াদ্্র চাহনিতে অভিভূত হয়ে। ও.সি. সাহেবের তিনটি মেয়ে ছিল, তিনটাই সুন্দরী। সুন্দরী মেয়েদের যা হয়, তারা আশা করে তাদের আশে পাশের সব ছেলে তাদের জন্য পলটি খাবে। আমতা আমতা করে বলবে আপনার বিড়ালটাতো খুব সুইট, প্রায় বাঘের মত। যা হোক এসব কিছুই আমার হচ্ছিলো না , কারন আছে সেটার অন্য গল্প।
একদিন গিয়েছি তাদের বাসায় ভাড়ার টাকা দিতে, দরজা খুললো কে একজন। দেখে আমার কলজে পালায় পালায়। ত্রিশ সেকেন্ড বাদে বুঝলাম বড় মেয়েটিই। কিন্তু ওর চেহারা দেখে আমার ফের্াড কাপোলার ছবিটার কথা মনে পড়ছিল। একধরনের আঁশটে হলদে চেহারা। আমার অবস্থা দেখে সে নিজেই বললো আমি। মুখে আসলে ডাল মেখেছিল। ভাড়াটা দেওয়ার পর বললাম যাই। দরজা বন্ধ করার পর ঐখানে দাড়িয়ে একচোট হাসলাম, নিজের র্নিবুদ্ধিতায়।
পরে আমার এক প্রতিবেশীর কাছে শুনি বলেছে,
' এত হাসলো কেনো, ঢং এর কি, ডাল মাখা মেয়ে দেখেনি ' ?
এখান থেকে প্রাপ্ত শিক্ষা , সাধু সাবধান একেই বলে , দরজায় ও ফুটা থাকে ।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০