somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মরলে শহীদ বাঁচলে গাজী জামাত শিবির করতে কে কে আছেন রাজি????? জামাত শিবিরের কাছে সাতটি প্রশ্ন, উত্তরের অপেক্ষায় রইলাম

১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:০৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


কারাগার থেকে 'মাকে' উদ্দেশ্য করে এক শিবির কর্মীর চিঠি - সবার সাথে শেয়ার করালাম –
[চিঠি -
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
মা কেমন আছেন । আমি ভাল আছি । আমাদের এ পরযন্ত ৭ টি মামলা হয়েছে । আরো মামলা হতে পারে । দুআ করবেন আর যেন মামলা না হয় । আমার এখানে কোন সমস্যা নেই । সংগঠন টাকা, পয়সা, খাবার দাবারসহ সকল ব্যবস্থা করছে । আসমা মরিয়মকে ভালভাবে পড়াশুনা করতে বলবেন । তালহা লাবিবা কেমন আছে । আপনি শুধু মনে রাখবেন ইসলাম এর জন্য আমরা কারাগারে আছি । আল্লাহ অবশ্যই এর বিনিময় আপনাকে জান্নাতে দিবেন ।
(ডিবি পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর রিমান্ডের অমানুষিক যন্ত্রনা ভোগ করে কারান্তরীন থেকে মাকে লেখা চিঠি)]
কেন সে তার মাকে সান্ত্বনা দিল এই বলে যে > ???
বেশ কিছুদিন আগে মনস্থির করেছিলাম জামাত শিবির নিয়ে লিখব না। যারা মনে করেন জামাত একটি ইসলামী রাজনৈতিক দল তাদের মাঝে ভুল ধারনা সৃষ্টির জন্য এই দলটি ধর্মকে হাতিয়ার করে শুরু থেকেই পথ চলা আরম্ভ করে এবং প্রতিনিয়ত করেই চলছে। একবার একজনকে ফেবুতে এমন একটা লেখায় প্রশ্ন করেছিলাম। তার বক্তব্য ছিল “দেশে ইসলামী শাসন চাই”। তাকে বললাম ভাই আপনার এই ইসলামী শাসনটা কি জামাতে র ইসলামী শাসন না ইসলাম ধর্মের ইসলামী শাসন। বেচারা দিলে মহা চোট পাইছিল।
জামাত একটি ইসলামের নামদারী সহজ-সরল ধর্ম প্রান মুসলামানদের ধর্মীয় অনুভূতির ফায়দা লুট কারী রাজনৈতিক দল। আমাদের দেশের মানুষের মাঝে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে যেমন রাজনীতি করে আওয়ামী লীগ, বিএনপি বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের দোহাই দিয়ে রাজনীতি করে আর জামাত এই দুই দলের চাইতে আরো ভয়ঙ্কর বিষয় নিয়ে রাজনীতি করে আর তা হলো ধর্মের নামে। এ দিক দিয়ে জামাতকে তুলনা করা যায় ভারতের উগ্র হিন্দু রাজনৈতিক দল বিজিবির সাথে। এরা ইসলামের নামে ধর্মের নামে প্রতারনা করে এবং প্রকৃত ধর্মীয় আলেমদের সাধারন জনগনের কাছে হেয় করার চেষ্টায় সর্বদা লিপ্ত। কেননা ৭১ এ জামাতের কৃত অপরাদের শাস্তি হয়ে গেলে তখন জামাতের বড় শত্রু হবে দেশের আলেম সমাজ। কেননা জামতের আকিদা ঠিক নেই। আর ইসলাম ধর্মে আকায়েদের গুরুত্ত্ব অপরিসীম, ভ্রান্ত আকীদার লোকজন কখনই আর যাই হোক ইসলামের মিত্র হতে পারে না।

উপরে উল্লেখিত কারাগার থেকে 'মাকে' উদ্দেশ্য করে লেখা শিবির কর্মীর চিঠিই প্রমান করে এরা যে ভ্রান্ত আকিদার। ইসলাম ধর্মের কোথায় আছে যে রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের জন্য দেশে অরাজগতা সৃষ্টি করে সাধারন মানুষের জান-মালের ক্ষতি করার কারনে জেলে গিয়ে টর্চারে মারা গেলে জান্নাত পাবে। আপনারা লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন জামাত বা শিবিরের কোন কর্মী যদি বিপক্ষ দলের সাথে রাজনৈতিক কলহ-বিবাদের কারনে মারা-মারি করে মৃত্যু বরন করে জামাত বা শিবির থেকে তাদের মৃত কর্মীকে শহীদ হিসেবে প্রচার করা হয়। তাহলে কি আমরা একথা ধরে নিব জামাত শিবিরের বাহীরে দেশের বাকী সকল মানুষ তাদের দৃষ্টিতে কাফের। এখানে জামাত শিবিরের কাছে প্রশ্ন (১) আপনাদের বিপক্ষে যারা আছেন বা থাকেন তারা কি কাফের? (২) যদি কাফের না হয়ে থাকে তাহলে আপনাদের কর্মী শহীদ কোন হিসেবে? (৩) শহীদের সংঙ্গা কি কি? (৪) কি ধরনের মৃত্যুকে ইসলাম ধর্মে শহীদি মৃত্যু বলা হয়? দেশ স্বাধীনের পরে জামাত শিবিরের যে সকল কর্মী সমর্থকের জন্ম তাদের কাছে প্রশ্ন (৫) এটাতো প্রতিষ্ঠিত সত্য জামাত ৭১ এ স্বাধীনতার বিপক্ষে ছিল, আপনাদের নেতারা কি ৭১ এর ভূমিকার জন্য আজ অবধি জাতির নিকট ক্ষমা চেয়েছে?
তিরমিযি এবং সুনানে নাসায়িতে একটি হাদিস বর্ণিত হয়েছে : ‘হজরত আবু হুরায়রা (রাযি.) থেকে বর্ণিত হয়েছে, হজরত রাসুলে কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন—মুসলমান তাকে বলা হবে যার মুখ ও হাত থেকে অন্য মুসলমান নিরাপদ। এবং মুমিন ওই ব্যক্তি যার পক্ষ থেকে অন্য মানুষের জান-মালের কোনো শঙ্কা না থাকে।’
হাদিসের ভাষ্যে সুস্পষ্টভাবে হাত এবং মুখের উল্লেখ শুধু এজন্য করে দেয়া হয়েছে যে, সাধারণ মানুষ অন্যকে এই দুইটি মাধ্যমেই কষ্ট দিয়ে থাকে। অন্যথায় হাদিসের উদ্দেশ্য হলো যে, মানুষকে কোনোভাবেই কোনো ধরনের কষ্ট দেয়া যাবে না। হাতের দ্বারা নয়, মুখের দ্বারাও নয়, এমনকি অন্য কোনো পন্থাতেই নয়। হাতের দ্বারা কষ্ট দেয়ার উদ্দেশ্য তো স্পষ্ট। কেননা এর মাধ্যমে অন্যায়ভাবে মারপিট, লড়াই-ঝগড়া সম্পন্ন হয়ে থাকে। কিন্তু মুখের দ্বারা কষ্ট দেয়ার ভেতর অসংখ্য গোনাহ ও অন্যায়ের সমন্বয় ঘটে থাকে। দৃষ্টান্তস্বরূপ মিথ্যা, ধোঁকা-প্রতারণা, অঙ্গীকার ভঙ্গ, গিবত, পরশ্রীকাতরতা, গালমন্দ বা এমন কোনো কথা বলে দেয়া; যার দ্বারা অন্যের অন্তর ভেঙে চুরমার হয়ে যায়, কিংবা তার অন্তরপীড়া কিংবা দৈহিক কষ্টের সম্মুখীন হতে হয়। এছাড়াও কষ্ট পোহানোর আরও যত পদ্ধতি হতে পারে, তার সবগুলোকেই এই হাদিসে তেমনি হারাম সাব্যস্ত করা হয়েছে।
এই হাদিসে মহানবী হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একজন মুসলমানের স্বতন্ত্র ও বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত কিছু গুণাবলীর কথা উল্লেখ করে দ্বীনের বিশাল এক তাত্পর্যময় শাখার প্রতি ইঙ্গিত করেছেন। যাতে অজ্ঞতার দরুন মানুষ দ্বীনের শাখা জ্ঞান করতেও চায় না। অনেকেরই ধারণা হলো, দ্বীন কেবল কিছু আকিদা-বিশ্বাস, নামাজ, রোজা এবং নির্দিষ্ট কিছু ইবাদত-বন্দেগির নাম। এসব ইবাদত-বন্দেগি পালন করার পর মানুষ তার জীবনের নিত্যনৈমিত্তিক বিষয়ে আজাদ এবং স্বাধীন। অথচ বাস্তবতা হলো, ইসলাম যেমনিভাবে আমাদের নামাজ-রোজা এবং অন্যান্য ইবাদতের প্রশিক্ষণ দিয়েছে, একইভাবে জীবনের প্রতিটি শাখা-প্রশাখাতেই এমন এক শিক্ষা ব্যবস্থা দিয়েছে যার ওপর আমল করলে আমরা আমাদের সমাজকে জান্নাতে রূপান্তর করতে পারি।হজরত আয়েশা (রাযি.) বলেন, যখন মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাহাজ্জুদ নামাজের জন্য জাগ্রত হতেন তখন সব কাজ এত আস্তে সম্পন্ন করতেন যে, কারও যেন ঘুম ভেঙে না যায়। কেননা নফল ইবাদতের জন্য অন্য কাউকে কষ্ট দেয়া ইসলামী চিন্তা-চেতনা পরিপন্থী।
এখন আসি মূল কথায় জামাত শিবির যে নিজেদেরকে ইসলামী দল বলে দাবী করে তারা কি এই হাদীস মানে? যদি তারা এই হাদীস মানে তাহলে প্রশ্ন (৬) আপনাদের যে সকল নেতা মানবতা বিরুধী অপরাধের অভিযোগে আটক আছেন তাদের মুক্তির দাবীতে আপনারা যে হরতাল ভাংচুর সহ জালাও-পোড়াও কর্মগুলো করেছেন এই হাদীসের আলোকে তা কোন পর্যায়ে পড়ে একটু বলবেন কি? ধর্মে বলা আছে আল্লাহ রাব্বুল ইজ্জত নিজ গুনে বান্দার সকল গুনা ক্ষমা করবেন একমাত্র বান্দার হক ছাড়া যতক্ষন না সে যার হক নষ্ট করেছে তার নিকট ক্ষমা প্রর্থনা করে উক্ত মজলুমের কাছ থেকে ক্ষমা পাবে। এখন প্রশ্ন (৭) হলো আপনাদের যে সকল নেতা ৭১ এ যেই সকল বান্দার হক নষ্ট করেছে তাদের কাছে কি ক্ষমা চেয়েছেন? যদি ক্ষমা না চেয়ে থাকে তবে তাদের বিষয়ে ইসলামের হুকুম কি?
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:১৪
২৬টি মন্তব্য ২২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বিসিএস দিতে না পেরে রাস্তায় গড়াগড়ি যুবকের

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৫৫

আমাদের দেশে সরকারি চাকরি কে বেশ সম্মান দেওয়া হয়। আমি যদি কোটি টাকার মালিক হলেও সুন্দরী মেয়ের বাপ আমাকে জামাই হিসেবে মেনে নিবে না। কিন্তু সেই বাপ আবার ২০... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। আমের খাট্টা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৪



তাতানো গরমে কাল দুপুরে কাচা আমের খাট্টা দেখে ব্যাপারটা স্বর্গীয় মনে হল । আহা কি স্বাদ তার । অন্যান্য জিনিসের মত কাচা আমের দাম বাড়াতে ভুল করেনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ডাক্তার ডেথঃ হ্যারল্ড শিপম্যান

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:০৪



উপরওয়ালার পরে আমরা আমাদের জীবনের ডাক্তারদের উপর ভরশা করি । যারা অবিশ্বাসী তারা তো এক নম্বরেই ডাক্তারের ভরশা করে । এটা ছাড়া অবশ্য আমাদের আর কোন উপায়ই থাকে না... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ইতং বিতং কিচ্ছার একটা দিন!!!

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:০৩



এলার্ম এর যন্ত্রণায় প্রতিদিন সকালে ঘুম ভাঙ্গে আমার। পুরাপুরি সজাগ হওয়ার আগেই আমার প্রথম কাজ হয় মোবাইলের এলার্ম বন্ধ করা, আর স্ক্রীণে এক ঝলক ব্লগের চেহারা দেখা। পরে কিছু মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কে কাকে বিশ্বাস করবে?

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৯


করোনার সময় এক লোক ৯৯৯ এ ফোন করে সাহায্য চেয়েছিল। খবরটা স্থানীয় চেয়ারম্যানের কানে গেলে ওনি লোকটাকে ধরে এনে পিটিয়েছিলেন। কারণ, ৯৯৯ এ ফোন দেওয়ায় তার সম্মানহানি হয়েছে।

সমাজে এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×