একটি কাবিতা লেখা হবে
তার জন্য অপেক্ষার উত্তেজনা নিয়ে লক্ষ লক্ষ উন্মত্ত অধীর ব্যাকুল বিদ্রোহী শ্রোতা
বসে আছে ভোর থেকে জন সমুদ্রের উদ্যাম সৈকতে,
কখন আসবে কবি, কখন আসবে কবি,
এই শিশু পার্ক সেদিন ছিলো না,
এই বৃক্ষে ফুলে শোভিত উদ্যান সেদিন ছিল না,
এই তন্দ্রাচ্ছন্ন বিবর্ন বিকেল সেদিন ছিল না,
তাহলে! তাহলে কেমন ছিল সেদিনের সেই বিকেল বেলাটি,
তাহলে কেমন ছিল শিশু পার্কে, বেঞ্চে, বৃক্ষে ফুলের বাগানে,
ঢেকে দেওয়া এই ঢাকার হৃদয় মাঠখানি,
জানি সেদিনের সব স্মৃতি মুছে দিতে হয়েছে উদ্যত কালো হাত,
তাই দেখি কবিহীন এই বিমুখ প্রান্তরে আজ
কবির বিরুদ্ধে কবি, মাঠের বিরুদ্ধে মাঠ, বিকেলের বিরুদ্ধে বিকেল, উদ্যানের বিরুদ্ধে উদ্যান,
মার্চের বিরুদ্ধে মার্চ
হে অনাগত শিশু, হে আগামি দিনের কবি,
শিশু পার্কের রঙিন দোলনায় দোল খেতে খেতে
তুমি একদিন সব সব জানতে পারবে
আমি তোমাদের কথা ভেবে
লিখে রেখে যাচ্চ্ছি সেই শ্রেষ্ঠ বিকেলের গল্প
সেদিন এই উদ্যানের রূপ ছিল ভিন্নতর,
না পার্ক না ফুলের বাগান
এ সবের কিছুই ছিল না
শুধু এক খন্ড অখন্ড আকাশ যে রকম
সে রকম দিগন্ত প্লাবিত ধূ ধু মাঠ ছিল দূর্বাতলে ঢাকা সবুজে সবুজে সবুজময়
আমাদের স্বাধীনতাপ্রিয় প্রানের সবুজ এসে মিশেছিল
এই ধূ ধূ মাঠের সবুজে
কপালে কব্জিতে লাল সালু বেধে
এই মাঠে ছুটে এসেছিল কারখানা থেকে লোহার শ্রমিক
লাঙল জোয়ালে বেধে এসেছিল ঝাক বেধে উলঙ্গ কৃষক
পুলেশের অস্ত্র কেড়ে নিয়ে এসেছিল প্রদীপ্ত যুবক
হতের মুঠোয় মৃত্যু
চোখে স্বপ্ন নিয়ে এসেছিল মধ্যবিত্ত, নিম্নমধ্যবিত্ত,করুন কেরানী, নারী বিত্ত বেশ্যা, ভবঘুরে
আর আর তোমাদের মত শিশু পাতাকুরানিরা দলবেঁধে,
একটি কবিতা পরা হবে, তার জন্য সে কি ব্যাকুল প্রতিক্ষা মানুষের
কখন আসবে কবি, কখন আসবে কবি
শত বছরের শত সংগ্রাম শেষে, রবীন্দ্রনাথের মত দীপ্ত পায়ে হেটে
অতঃপর কবি এসে জনতার মঞ্চে এসে দাড়ালেন
তখন পলকে দাড়ুন ঝলকে তড়ীতে উঠিল জল
হৃদয়ে লাগিল দোলা
জন সমুদ্রে জাগিল জোয়ার সকল দুয়ার খোলা
কে রোধে তাহার বজ্রকন্ঠ বানী
গনসূর্যের মঞ্চ কাপিয়ে কবি শোনালেন তার অমর কবিতাখানি
এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম
এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম
সেইথেকে স্বাধীনতডা শা্দটি আমাদের