আজকের সমকাল পএিকার (25 মে) প্রতিবেদনে বলা হয়, "বিদ্যমান ভোটার তালিকা হালনাগাদের জন্য আদালতের দেওয়া রায় বাস্তবায়নে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) বিচারপতি এমএ আজিজ আর কত কালক্ষেপণ করবেন? এ প্রশ্ন এখন শুধু সাধারণ মানুষের নয়, খোদ নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের। কারণ তিনি আদালতের রায় ঘোষণার একদিন পরও 'রায়' জানতে পারেননি। এমনকি রায়ের সার্টিফায়েড কপির জন্যও আবেদন জানানো হয়নি। ফলে তার স্বেচ্ছাচারে তৈরি খসড়া ভোটার তালিকা নিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কি করবেন তা বুঝতে পারছেন না। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা না পেয়ে খসড়া তালিকা সম্পর্কে প্রায় এক লাখ দাবি, আপত্তি ও সংশোধনী নিয়ে কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে আছে রিভাইজিং কতর্ৃপক্ষ। স্থগিত হয়ে গেছে সারাদেশে প্রায় আড়াই লাখ তথ্য সংগ্রহকারী ও সুপারভাইজারের পারিশ্রমিকের অর্থ প্রদান প্রক্রিয়া। সিইসির নতুন ভোটার তৈরির জন্য এরই মধ্যে খরচ হয়ে গেছে 52 কোটি টাকা। এখন সিইসির কাছে এসব কর্মকর্তা-কর্মচারীর একটাই আবেদন, এবার রেহাই দিন। এদিকে বুধবার বিকেল সাড়ে 5টায় নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের বারান্দায় গাড়িতে ওঠার আগে সাংবাদিকরা ভোটার তালিকা নিয়ে কি করবেন_ এ প্রশ্ন করলে সিইসি জানান, 'রায়ের কপি হাতে পেলে সিদ্ধান্ত নেব।' এ সময় তার একগুঁয়ে মনোভাবের কারণে কমিশনের ভাবমূর্তি বিনস্টের দায়ে পদত্যাগ করবেন কি-না প্রশ্ন করা হলে তিনি কোনো উত্তর দেননি। দ্রুত গাড়িতে ওঠার জন্য কাতর কণ্ঠে বলেন, আমাকে গাড়িতে উঠতে দিন। এরপরই দ্রুত গাড়িতে করে তিনি কমিশন সচিবালয় ত্যাগ করেন..."।
ভোরের কাগজ 23 মে তারিখে লেখে, "...ভোটার তালিকা প্রণয়ন সংক্রান্ত হাইকোর্টের রায় অমান্য করার বিরুদ্ধে গতকাল সিইসিসহ 2 নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনের সচিবের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলার শুনানিতে ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলাম বলেন, ভোটার তালিকার প্রশ্নে হাইকোর্টের রায় অমান্য করে ভোটার তালিকা করা হয়েছে। আদালতের রায় অনুযায়ী বিদ্যমান তালিকাকে আমলে না নিয়ে ইসি তথ্য সংগ্রহকারী নিয়োগের মাধ্যমে তাদের পছন্দসই লোকদের এবং যাদেরকে বাড়িতে উপস্থিত পাওয়া গেছে শুধুমাত্র তাদেরকে ভোটার করেছে। আর যারা বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন না তাদেরকে তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। 4 জানুয়ারি হাইকোর্টের দেওয়া নির্দেশ মতে কমিশনের কোনো সভা অনুষ্ঠিত হয়নি। আদালতের রায় বাস্তবায়নে কমিশন কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। আদালতের নির্দেশনা জনসমক্ষে প্রকাশ করা হয়নি। হাইকোর্টের রায়ের 15 দিন পরে কমিশনের মিটিং অনুষ্ঠিত হয়েছে। যে মিটিঙে সিইসি আদালতের রায় সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করে বলেছেন, আদালতের নির্দেশ মানতে কমিশন বাধ্য নয়। তাছাড়া ভোটার তালিকার প্রশ্নে হাইকোর্ট যে রায় প্রদান করেছে তা এখতিয়ারবহিভর্ূত। কমিশনের সদস্যরা আদালতের রায় সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করেছেন, যা আদালতের সম্মান ক্ষুণ্ন করেছে..."।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০