এককালে শুনতাম পর্দা পড়ে চলাফেরা করা মেয়েদের জন্য সেফ! ইদানীং শুনি, পর্দা করা রিক্সি! নেকাব টানার জন্য ওমুক বরখাস্ত, তমুক বহিস্কার!
মুখঢাকা থাকলে নাকি স্টুডেন্ট চিনা যায়না। ভিসি আর রেজিস্টার কয়জন স্টুডেন্টকে চিনে, এটা নিয়ে “মুখখোলা পরীক্ষা” চালাইলে বোঝা যাবে!
বিশ্ববিদ্যালয় কি ব্যাংক, পারমাণবিক চুল্লি, সামরিক স্থাপনা নাকি হাইটেক বায়োল্যাব যেটিতে কঠোর নিরাপত্তা লাগে? বাংলাদেশের ডিইউ, বুয়েট, মেডিকেলের মত বাঘা প্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তা লাগেনা আর এই ফার্মের মুরগীর খাচায় লাগে?? একটা ব্যাপার বোধগম্য নয়। ইসলামী ব্যাংকের মহিলা কর্মকর্তাদের দেখি নেকাব পড়ে কাউন্টারে বসে। ব্যাংকের মত একটা সিকিউর প্রতিষ্ঠান নেকাবকে হুমকী বিবেচনা করলনা, ব্রাক ইউনি কুন তালেবর জাতি জানতে চায়।
ব্যক্তিগত আইডেনটি পরীক্ষা করা হয় সিগনেচার দিয়ে। বায়েমেট্রিক পদ্ধতি- রেটিনা স্ক্যান, ফিঙ্গারপ্রিন্ট, ফেসডিটেকশন এগুলা করে উন্নত প্রতিষ্ঠান। প্রশ্ন হইল, ব্রাকের কি ফেসডিটেকশন যন্ত্র আছে, নাকি হুদাই ফাপড় দিচ্ছে? নাকি গেটে ছবি হাতে দাড়োয়ান দাড়ায়া থাকে, ছবি মিলায়া মিলায়া স্টুডেন্টদের ঢুকতে দেয়?? এগুলোর কোনটা না হইলে চেহারা খুলে রাখতে বলার কারণ কি??
কারণ হতে পারে পরিমলগত লালসা। আজ ব্রাক বলছে, নেকাব তাদের নিরাপত্তার জন্য হুমকি, কাল নর্থসাউথ বলবে ওড়না তাদের জন্য হুমকি... মূলকথা কাপড় পড়াটাই সম্ভবত নিরাপত্তার জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি! জাতির নেকাব টেনে ধরার পেছনে ব্রাকের ধান্ধাবাজী অনুসন্ধান এবং নব্য পরিমলদের যথাযথ ভেক্সিন প্রদান করতঃ জাতিকে ভবিষ্যত মহামারীর হাত থেকে রক্ষা আমাদের সকলের কাম্য
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৭