somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

দুষ্ট কাজল-পিএ কাজল। দোষ স্বীকার, ভারতে পালালেন পিএ কাজল। এবার মুখ খুললেন অমৃতা। এবার পিএ কাজল-অমৃতার কথোপকথন। অমৃতার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাকড! সন্ধান মিলেছে পিএ কাজলের

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

গত কয়েকদিনের খবর।

দোষ স্বীকার, ভারতে পালালেন পিএ কাজল

চলচ্চিত্রকারদের রোষ থেকে বাঁচতে ভারত পালিয়েছে বিতর্কিত চলচ্চিত্র পরিচালক পিএ কাজল। খবরটি নিশ্চিত করেছে পরিচালক সমিতি। সমিতির সভাপতি শহীদুল ইসলাম খোকন জানান, কুকর্মের দায়ে অভিযুক্ত পিএ কাজল শুক্রবার কলকাতা থেকে ফোনে কৃতকর্মের কথা স্বীকার এবং ক্ষমা করে দিতে অনুনয়-বিনয় করে। কিন্তু সভাপতি খোকন তাকে দৃঢ়ভাবে জানিয়ে দেন চলচ্চিত্রকারদের গায়ে কালিমা লেপনের মতো ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছে সে। তাই তার কোনো ক্ষমা নেই। সভাপতি তাকে দ্রুত দেশে ফিরে সমিতির বিচারের মুখোমুখি হওয়ার জন্য কঠোর নির্দেশ দেন। তখন কাজল জানায়, সে গুরুতর অসুস্থ এবং চিকিৎসার জন্য কলকাতা গেছে। চিকিৎসকের পরামর্শে শিগগিরই তাকে চেন্নাই যেতে হবে। তাই দ্রুত দেশে ফিরে আসা সম্ভব হবে না। এর জবাবে সভাপতি খোকন তাকে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন, সে যেন কখনো তার অনুমতি ছাড়া এফডিসিতে প্রবেশ না করে। শহীদুল ইসলাম খোকন বলেন, এই নির্মাতার অপকর্মের কারণে তার বিরুদ্ধে চলচ্চিত্র জগৎ সোচ্চার। তাকে কখনোই ক্ষমা করা কিংবা এফডিসিতে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। পরিচালক সমিতির বিচারের মুখোমুখি তাকে হতেই হবে।

এদিকে পরিচালক সমিতির কার্যকরী পরিষদ পিএ কাজলের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে বুধবার জরুরি বৈঠক করে। এতে সমিতির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তাকে তিন দিনের মধ্যে লিখিত জানাতে শোকজ নোটিস দেয়। নোটিসটি তার বাসার ঠিকানায় কুরিয়ারে পাঠানো হলেও এ পর্যন্ত তা কেউ গ্রহণ করেনি এবং তিনবার ফেরত আসে।

বিশেষ একটি সূত্র জানায়, ফেসবুকে এক নারী মডেলকে দেওয়া তার কুপ্রস্তাবের কথা মিডিয়ায় ফাঁস হলে অবস্থা বেগতিক দেখে চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে পিএ কাজল ভারত পালিয়ে যায়। সূত্রটি দাবি করে চলচ্চিত্রে অভিনয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তরুণীদের সর্বনাশ করাই ছিল তার কাজ। চলচ্চিত্রে অশ্লীলতার সময় চিত্র পরিচালনায় তার আত্মপ্রকাশ এবং বেশ কয়েকটি অশ্লীল চলচ্চিত্রও নির্মাণ করেছে সে। ওয়ান-ইলেভেনের পর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় র্যাবের হাতে গ্রেফতারের ভয়ে তখনো ভারতে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছিল কাজল। অভিনয়ের লোভে তার জালে আটকানো মেয়েদের নিজে ভোগ করার পাশাপাশি বিভিন্ন জনের কাছে অর্থের বিনিময়ে পাচার করাও ছিল তার ব্যবসা। সূত্রটির মতে, পিএ কাজল মূলত নারী ও মাদক পাচারকারী সিন্ডিকেটের একজন সক্রিয় সদস্য।

এদিকে, যেসব নির্মাতা ও শিল্পীর নামে ওই মডেলের কাছে অপপ্রচার চালানো হয়েছিল তারা তার কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির কাছে। নির্মাতা সোহানুর রহমান সোহান, গুলজার, অভিনেত্রী পূর্ণিমা, সাহারা ও মাহি পরিষ্কার ভাবে জানিয়ে দিয়েছেন পরিচালক সমিতিকে তার বিরুদ্ধে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে এবং তারা প্রত্যেকে কাজলের বিরুদ্ধে শিগগিরই মানহানির মামলা করবেন। পিএ কাজলের এই অপকর্মে ফুঁসে উঠেছে চলচ্চিত্র জগৎ।চলচ্চিত্রকারদের রোষ থেকে বাঁচতে ভারত পালিয়েছে বিতর্কিত চলচ্চিত্র পরিচালক পিএ কাজল। খবরটি নিশ্চিত করেছে পরিচালক সমিতি। সমিতির সভাপতি শহীদুল ইসলাম খোকন জানান, কুকর্মের দায়ে অভিযুক্ত পিএ কাজল শুক্রবার কলকাতা থেকে ফোনে কৃতকর্মের কথা স্বীকার এবং ক্ষমা করে দিতে অনুনয়-বিনয় করে। কিন্তু সভাপতি খোকন তাকে দৃঢ়ভাবে জানিয়ে দেন চলচ্চিত্রকারদের গায়ে কালিমা লেপনের মতো ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছে সে। তাই তার কোনো ক্ষমা নেই। সভাপতি তাকে দ্রুত দেশে ফিরে সমিতির বিচারের মুখোমুখি হওয়ার জন্য কঠোর নির্দেশ দেন। তখন কাজল জানায়, সে গুরুতর অসুস্থ এবং চিকিৎসার জন্য কলকাতা গেছে। চিকিৎসকের পরামর্শে শিগগিরই তাকে চেন্নাই যেতে হবে। তাই দ্রুত দেশে ফিরে আসা সম্ভব হবে না। এর জবাবে সভাপতি খোকন তাকে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন, সে যেন কখনো তার অনুমতি ছাড়া এফডিসিতে প্রবেশ না করে। শহীদুল ইসলাম খোকন বলেন, এই নির্মাতার অপকর্মের কারণে তার বিরুদ্ধে চলচ্চিত্র জগৎ সোচ্চার। তাকে কখনোই ক্ষমা করা কিংবা এফডিসিতে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। পরিচালক সমিতির বিচারের মুখোমুখি তাকে হতেই হবে।

এদিকে পরিচালক সমিতির কার্যকরী পরিষদ পিএ কাজলের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে বুধবার জরুরি বৈঠক করে। এতে সমিতির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তাকে তিন দিনের মধ্যে লিখিত জানাতে শোকজ নোটিস দেয়। নোটিসটি তার বাসার ঠিকানায় কুরিয়ারে পাঠানো হলেও এ পর্যন্ত তা কেউ গ্রহণ করেনি এবং তিনবার ফেরত আসে।

বিশেষ একটি সূত্র জানায়, ফেসবুকে এক নারী মডেলকে দেওয়া তার কুপ্রস্তাবের কথা মিডিয়ায় ফাঁস হলে অবস্থা বেগতিক দেখে চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে পিএ কাজল ভারত পালিয়ে যায়। সূত্রটি দাবি করে চলচ্চিত্রে অভিনয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তরুণীদের সর্বনাশ করাই ছিল তার কাজ। চলচ্চিত্রে অশ্লীলতার সময় চিত্র পরিচালনায় তার আত্মপ্রকাশ এবং বেশ কয়েকটি অশ্লীল চলচ্চিত্রও নির্মাণ করেছে সে। ওয়ান-ইলেভেনের পর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় র্যাবের হাতে গ্রেফতারের ভয়ে তখনো ভারতে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছিল কাজল। অভিনয়ের লোভে তার জালে আটকানো মেয়েদের নিজে ভোগ করার পাশাপাশি বিভিন্ন জনের কাছে অর্থের বিনিময়ে পাচার করাও ছিল তার ব্যবসা। সূত্রটির মতে, পিএ কাজল মূলত নারী ও মাদক পাচারকারী সিন্ডিকেটের একজন সক্রিয় সদস্য।

এদিকে, যেসব নির্মাতা ও শিল্পীর নামে ওই মডেলের কাছে অপপ্রচার চালানো হয়েছিল তারা তার কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির কাছে। নির্মাতা সোহানুর রহমান সোহান, গুলজার, অভিনেত্রী পূর্ণিমা, সাহারা ও মাহি পরিষ্কার ভাবে জানিয়ে দিয়েছেন পরিচালক সমিতিকে তার বিরুদ্ধে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে এবং তারা প্রত্যেকে কাজলের বিরুদ্ধে শিগগিরই মানহানির মামলা করবেন। পিএ কাজলের এই অপকর্মে ফুঁসে উঠেছে চলচ্চিত্র জগৎ।

বাংলাদেশ প্রতিদিন

এবার মুখ খুললেন অমৃতা

পিএ কাজলের থলের বিড়াল একের পর এক বেরিয়ে আসছে। ফেইস বুকে এক মডেলকে কুপ্রস্তাব দেওয়ার কথা ফাঁস হয়েছে গত সপ্তাহে। মিডিয়ায় এই কাজল তত্ত্ব প্রকাশের পর এবার মুখ খুললেন চলচ্চিত্রের নতুন নায়িকা অমৃতা।
তিনি জানান, এ নির্মাতা তাকেও তার সঙ্গে বিশেষ সম্পর্ক গড়ে তুলতে বলেছিলেন। এ যেন কেঁচো খুঁড়তে সাপ বেরিয়ে এলো। তরুণীদের নায়িকা বানানোর প্রলোভন দেখিয়ে কাজল তাদের শুধু নিজেই ভোগ করতেন না, অর্থের বিনিময়ে অন্যদের কাছে পাচার করতেন।

অমৃতা আরও বলেন, ওই নির্মাতা তার কয়েকটি চলচ্চিত্রে তাকে বিশেষ সম্পর্কের মাধ্যমে চুক্তিবদ্ধ হতে জোর করেন। কিন্তু কোনোভাবেই অমৃতা এতে রাজি হননি। শুধু অমৃতা নয়, অনেক মডেল ও অভিনেত্রী পিএ কাজলের বিরুদ্ধে এখন মুখ খুলছেন।

বাংলাদেশ প্রতিদিন


এবার পিএ কাজল-অমৃতার কথোপকথন

এবার ফাঁস হলো চলচ্চিত্রের নতুন নায়িকা অমৃতা খানের সঙ্গে ফেসবুকে পিএ কাজলের কথোপকথন। ফেসবুকে তাদের চ্যাট করা কথোপকথন ছিল এরকম-

পিএ কাজল- আমার কমার্শিয়াল মুভি করবে?

অমৃতা- নাম কি মুভির?

পিএ কাজল- শোনো মেয়ে আগে আমার সম্পর্কে জিজ্ঞেস কর তারপর কথা বল। নামধাম পরে হবে, তুমি যেসব মুভি করছ হলে (প্রেক্ষাগৃহে) আসবে কিনা জানি না।

অমৃতা খান- আপনি তো জিজ্ঞেস করলেন, কাজ করব কিনা।

পিএ কাজল- আমার নাম জান তুমি, দেখেছ। আল্লাহ বলেছে তুমি বসে থাক আমি খাইয়ে দেব, নাকি তুমি চেষ্টা কর। প্রেমযুদ্ধে সব হালাল। ক্যারিয়ার একটা যুদ্ধের মতো।

পিএ কাজল- কি, সাইলেন্ট (চুপ) কেন, কিছু বল, ফোন ধর।

অমৃতা- এসব আমি করতে পারব না।

পিএ কাজল- কোন সব।

অমৃতা- ভালোভাবে কাজ করতে চাই, আর কিছু না।

পিএ কাজল- নায়ক যদি বলে।

অমৃতা- তাও না,

পিএ কাজল- তোমার তো কাউকে ভালো লাগতে পারে।

অমৃতা- লাগে না

পিএ কাজল- তুমি কি সমকামী

অমৃতা- না, ভাইয়া

পিএ কাজল- প্রেমের দৃশ্যে জড়াজড়ি করতে হবে, তা বুঝলাম তোমার পেমেন্ট কত।

অমৃতা- আগের মুভিতে ২ লাখ দিয়েছে, পরেরটা ২ লাখ ৫০ হাজার, আপনারটা আপনার ইচ্ছে, কিছু বলব না।

পিএ কাজল- হা-হা-হা।

অমৃতা- হাসেন ক্যান?

পিএ কাজল- যে মুভি হল (প্রেক্ষাগৃহ) পায় না তার হিরোইন বলে কি...

এ ব্যাপারে অমৃতার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, পিএ কাজল তাকে তার সঙ্গে বিশেষ সম্পর্ক গড়ে তুলতে বলেছিলেন। এ সম্পর্কের মাধ্যমে তার কয়েকটি চলচ্চিত্রে চুক্তিবদ্ধ হতে জোর করেন। কিন্তু অমৃতা এতে রাজি না হওয়ায় কাজল তাকে হাজি বলে বিদ্রূপ করেন।

এদিকে একটি সূত্র দাবি করেছে পিএ কাজল দেশেই আছেন। এই নির্মাতা নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ২৩ সেপ্টেম্বর রাত ১২টার পর একটি স্ট্যাটাস দেন। তাতে প্লেস আপডেটে তার বর্তমান অবস্থান হিসেবে 'নিয়ার ঢাকা' অর্থাৎ ঢাকার কাছে উল্লেখ রয়েছে। স্ট্যাটাসে কাজল লিখেছেন, 'বন্ধু ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের আগেও জানিয়েছিলাম যে, আমার আই ডি হ্যাক করা হয়েছে, আমার নাম ইউজ করে একাধিক ফেক আইডি থেকে নানারকম কথা ছড়ানো হচ্ছে, আপনারা দোয়া করুন, সুস্থ হয়ে যেন দেশে ফিরে আসি, সবাই ভালো থাকুন।' ২৩ সেপ্টেম্বর রাত ১২টার পর অর্থাৎ ২৪ সেপ্টেম্বর নিজ অ্যাকাউন্টে কাজলের দেওয়া স্ট্যাটাসের অটোমেটিক সিস্টেমে তার নামের নিচে প্লেস আপডেটে 'নিয়ার ঢাকা', অর্থাৎ ঢাকার কাছে উল্লেখ থাকায় তার বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে রহস্য দানা বেঁধে উঠেছে। সূত্র মতে, পিএ কাজল যদি ঢাকাতেই থাকেন তাহলে পরিচালক সমিতির সভাপতির কথার সঙ্গে তার অবস্থানের মিল খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। কারণ সমিতির সভাপতি শহীদুল ইসলাম খোকন জানান, গত শুক্রবার পিএ কাজল ভারত থেকে তাকে ফোন দিয়েছিলেন এবং কাজল ফিরে এলেই তাকে সমিতির বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।

বাংলাদেশ প্রতিদিন


অমৃতার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাকড!

ঢালিউডের নবাগতা নায়িকা অমৃতা খানের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়েছে। অমৃতা তার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট গতরাত একটার পর থেকে লগইন করতে পারছেন না বলে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানিয়েছেন।
এছাড়াও তিনি জানিয়েছেন, আমি আমার সকল ফেসবুক বন্ধু ও ভক্তদের কাছে জানাতে চাই আমার অ্যাকাউন্টটি আমি পরিচালনা করতে পারছি না। আপাতত আমার পুরোনো ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি আমি চালু করছি। কিন্তু যে বা যারা আমার ফেসবুক একাউন্ট হ্যাক করেছে তাদের এধরনের আচরণের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। পরিচালক পি এ কাজলের সঙ্গে তার একটি ফেসবুক কথোপকথন গণমাধ্যমের কাছে প্রকাশ করার পর আলোচনায় আসেন অমৃতা। আর এ ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই অমৃতার ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি হ্যাক হল।

বাংলাদেশ প্রতিদিন


সন্ধান মিলেছে পিএ কাজলের

সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে পিএ কাজলের সন্ধান মিলেছে। বিতর্কিত এই নির্মাতা এখন কলকাতায় অবস্থান করছেন। আজ বাংলাদেশ প্রতিদিনের সিনিয়র সাব-এডিটর শামছুল হক রাসেলের সঙ্গে তার কথা হয়। এ সময় তিনি জানান, তাকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ফাঁসানো হয়েছে। কোনো চিত্র নির্মাতা বা কোনো শিল্পীর বিরুদ্ধে ফেসবুকে তিনি কিছু বলেননি এবং কারও ভয়ে তিনি কলকাতা পালিয়ে যাননি। চিকিত্সার প্রয়োজনে তাকে সেখানে যেতে হয়েছে। কাল শুক্রবার সেখানে তার এন্ড্রোসকপি হবে। রবিবার দেশে ফিরেই এ ঘটনার মোকাবিলা করবেন তিনি। তা ছাড়া ফিরে এসেই ৩টি বিগ বাজেটের চলচ্চিত্রের নির্মাণ কাজও শুরু করবেন।
নায়িকা অমৃতার সঙ্গে ফেসবুকে তার কথোপকথন প্রসঙ্গে এ নির্মাতা বলেন, এ নামে আমি কাউকে তেমন একটা চিনি না। সুতরাং অচেনা কারও সঙ্গে ফেসবুকে কথা বলার প্রশ্নই ওঠে না। সস্তা জনপ্রিয়তার জন্য অনেকেই আমাকে জড়িয়ে অনেক কিছু করতে পারে, এটাই স্বাভাবিক। পিএ কাজল আরও জানান, প্রায় এক মাস আগে তার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়েছে এবং ইনবক্স ম্যাসেজের মাধ্যমে তা ফেসবুক ফ্রেন্ডদের জানানো হয়েছে। তিনি বলেন, হয়তো কেউ তার হ্যাক হওয়া অ্যাকাউন্টটি ব্যবহার করে এই অপপ্রচার চালিয়ে থাকতে পারে। তিনি বলেন, চলচ্চিত্রে এখন মুষ্টিমেয় কয়েকজন নির্মাতা কাজ করছেন। তাদের মধ্যে তিনি একজন এবং পরিচালনায় স্বল্প সময়ে জাতীয় পুরস্কার লাভসহ নানা সফলতা অর্জন করেছেন। তার এ সফলতায় ইর্ষান্বিত হয়ে অনেকেই তার বিরুদ্ধে কাদা ছোড়াছুড়িতে নেমেছেন। তিনি বলেন, কেউ যদি তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলে তবে তিনিও তার বিরুদ্ধে পাল্টা ব্যবস্থা নেবেন। কারণ এ ধরনের কোনো ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন তিনি।

এদিকে পরিচালক সমিতির সভাপতি শহীদুল ইসলাম খোকন আবারও জানিয়েছেন, পিএ কাজলের অপকর্মের যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ তার কাছে রয়েছে। বিতর্কিত এই নির্মাতা ফোনে তার কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। তিনি ফিরে এলেই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সমিতির সভাপতি খোকন আরও জানান, এ পর্যন্ত একাধিকবার শোকজ নোটিস নিয়ে সমিতির সাংস্কৃতিক সম্পাদক শিল্পী চক্রবতী পিএ কাজলের স্বামীবাগের বাসায় গিয়েছেন। কিন্তু সেখানে কাউকে না পেয়ে ফেরত এসেছেন। সভাপতি আরও বলেন, অপকর্মকারীকে উপযুক্ত শাস্তি পেতেই হবে। বিচারের হাত থেকে কারও রেহাই নেই।

অপরদিকে চিত্রনায়িকা অমৃতা খান বিনোদন প্রতিবেদক আলী আফতাবের কাছে পিএ কাজলের এ বক্তব্যের নিন্দা জানিয়ে বলেন, ‘তিনি আমাকে চেনেন না বলে যা বলেছেন তা একবারেই মিথ্যা। শুধু ফেসবুকে নয়, ফোনেও তিনি চলচ্চিত্রে কাজের ব্যাপারে অনেকবার কথা বলেছেন আমার সঙ্গে। এর যথেষ্ট প্রমাণও রয়েছে।

এদিকে কাজলতত্ত্বে ক্রমেই বিস্ফোরণ উন্মুখ হয়ে উঠছে চলচ্চিত্র জগত্। চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে পিএ কাজলের দেওয়া কুপ্রস্তাবের কথা মিডিয়ার কাছে ফাঁস করে দেন মডেল তাবাসসুম রিয়া। এরপর নায়িকা অমৃতা খান একই অভিযোগে মুখ খোলেন। ‘চলচ্চিত্রে সুযোগ পেতে হলে নির্মাতাদের সঙ্গে বিশেষ সম্পর্ক রাখতে হয়’ এই দুই মডেল অভিনেত্রীর কাছে দেওয়া পিএ কাজলের এমন তত্ত্বে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছেচলচ্চিত্র জগত্।


বাংলাদেশ প্রতিদিন
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৩৯
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমি ভালো আছি

লিখেছেন জানা, ০৯ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৪৯



প্রিয় ব্লগার,

আপনাদের সবাইকে জানাই অশেষ কৃতঞ্গতা, শুভেচ্ছা এবং আন্তরিক ভালোবাসা। আপনাদের সবার দোয়া, সহমর্মিতা এবং ভালোবাসা সবসময়ই আমাকে কঠিন পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে শক্তি এবং সাহস যুগিয়েছে। আমি সবসময়ই অনুভব... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইউরোপের বিভিন্ন দেশে আমার ড্রোন ছবি।

লিখেছেন হাশেম, ০৯ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৩

বৃহত্তর প্যারিস তুষারপাত।

ফ্রান্সের তুলুজ শহরে বাংলাদেশের প্রথম স্থায়ী শহীদ মিনার।

হ্যাসল্ট, বেলজিয়াম।

ভূমধ্যসাগর তীরবর্তী ফ্রান্সের ফ্রিওল আইল্যান্ড।


রোডেসিয়াম এম রেইন, জার্মানি।

... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বাধীনতার সুফল কতটুকু পাচ্ছে সাধারণ মানুষ

লিখেছেন এম ডি মুসা, ০৯ ই মে, ২০২৪ রাত ১১:২৮

(১) আমলা /সরকারের কর্মকর্তা, কর্মচারীর সন্তানদের জন্য আলাদা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করার প্রস্তাব হতাশাজনক। মুক্তিযুদ্ধের ১৯৭১ সালের রক্ত দেওয়া দেশের এমন কিছু কখনো আশা কি করছে? বঙ্গবন্ধু এমন কিছু কি আশা... ...বাকিটুকু পড়ুন

এলজিবিটি নিয়ে আমার অবস্থান কী!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১০ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:১৫

অনেকেই আমাকে ট্রান্স জেন্ডার ইস্যু নিয়ে কথা বলতে অনুরোধ করেছেন। এ বিষয়ে একজন সাধারণ মানুষের ভূমিকা কী হওয়া উচিত- সে বিষয়ে মতামত চেয়েছেন। কারণ আমি মধ্যপন্থার মতামত দিয়ে থাকি। এ... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুসলমানদের বিভিন্ন রকম ফতোয়া দিতেছে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১০ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩


আপন খালাতো, মামাতো, চাচাতো, ফুফাতো বোনের বা ছেলের, মেয়েকে বিবাহ করা যায়, এ সম্পর্কে আমি জানতে ইউটিউবে সার্চ দিলাম, দেখলাম শায়খ আব্দুল্লাহ, তারপর এই মামুনুল হক ( জেল থেকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×