চ্যালেঞ্জ করে আমি হয়েছি বিজয়ী।বিজয়ী হয়েও আমি হলাম শতভাগ দুঃখী।দুঃখের বোঝা বইতে পারছি না বলেই লিখছি।ব্লগে যোগদান করেছিলাম কিছু উদ্দেশ্যকে সঙ্গী করে।জন্মগ্রহণ করেছি স্বাধীনতার অনেক পরে।দেশের মাটিতে বড় হয়েছি মুক্তিযুদ্ধের কথা লোক মুখে শুনে।ভেবেছি দেশের জন্যে সবাই কত ত্যাগ স্বীকার করেছে,কাজেই আমারও দেশের জন্যে কিছু করতে হবে।দেশের মানুষের ত্যাগের বিনিময়ে স্বাধীনতার স্বাধ নিয়ে ঘুরছি-ফিরছি দেশের বুকে।দেশের জন্যে কিছুই করতে পারিনি তাই মনে আছে অনেক ব্যথা।দেশের জন্যে কিছু করব বলেই শুরু করেছি ব্লগে লেখা।আমার কলম বলতে চায় উন্নয়নের কথা।এক ছাদের নিচে জড় করতে চাই তরুণ সমাজকে। লেখার মাধ্যমে তরুণ শক্তিকে কাজে লাগিয়ে নিঃস্বার্থভাবে দেশের জন্যে চাই কিছু করতে।সত্যিকার অর্থে নিজেদের মেধাকে কাজে লাগিয়ে টেকসই কিছু করতে পারলে আমরা হব স্বয়ং সম্পূর্ণ।আমাদের আর ছুটতে হবে না চাকুরীর পিছে,দেশ হবে মুক্ত দারিদ্রের করাল থাবা থেকে।দুঃখের সাথে বলতে হয় মুখে আমরা দেশকে ভালবাসার কথা বলি ।সত্যিকার অর্থে আমরা কি দেশকে ভালবাসি? আমরা আরো বলি দেশী পণ্য কিনে হও ধন্য।আসলে কি আমরা দেশী পণ্য কিনে নিজেদের ধন্য করি? ছোট একটা কাজ, করে দেখাও আজ বিজ্ঞাপনটা আমরা খুবই আনন্দসহ কারে দেখি।পরে কি আমরা কোন কাজ করার জন্যে উদ্যেগী হই?আমার ধারণা আমরা যে কি বলি আর কি করি,কি চাই আর কি পাই ,তা হয়তো আমরা নিজেরাও জানি না।আমরা যদি গভীর মমত্ব দিয়ে দেশকে উপলব্ধি করতাম তাহলে এ সমস্যা গুলোর সৃষ্টি হতো না।চীন-জাপান বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশ হয়েও আজ তাদের নিজ মেধা,বুদ্ধি আর দক্ষতায় তারা বিশ্ববাজারে নিজেদের অবস্থান সুদৃঢ় করেছে।অথচ এই তথ্যপ্রযুক্তির যুগে অবস্থান করেও আমরা কত ই না পিছে পড়ে আছি।একমাত্র আমাদের মানসিকতার পরিবর্তনই পারে আমাদেরকে বদলাতে।আমি যখন ব্লগে দেশ নিয়ে,দেশের মানুষের সুখ-দুঃখ নিয়ে লিখতে চাই তখন আমার এক পরিচিত জন বলেছিলেন,তোমার লেখাই পারবে তরুণ সমাজকে সচেতন করতে।আমি হেসে বলেছিলাম তরুণরা তাদের তারুন্যকে কাজে লাগায় হাসি,ঠাট্টা আর গল্পে।ওদের এত সময় নেই দেশের জন্যে কিছু করার।দোষটা আসলে ওদের নয়,এটাই যুগের ধারা।আমার কথার শতভাগ মূল্যায়ন আমি পেয়েছি আমার লেখণীর মাধ্যমে।উন্নয়ন নিয়ে লিখলে পাঠক পাই ২৪/২৫জন থেকে ৫০জনের মধ্যে আর চটুল লেখা লিখলে পাঠক পাই ৩০০জনের উপরে।এই অবস্থায় কি তরুণ সমাজকে সচেতন করা যায়? বস্তুনিষ্ঠ আর কর্ম নিষ্ঠ লেখা পড়তে পাঠক গণের আছে যথেষ্ঠ অনীহা।এই চ্যালেঞ্জ করে যদিও আমি বিজয়ী হয়েছি তথাপি আমি বলতে বাধ্য হচ্ছি পরাজয়ের গ্লানি মিশ্রিত জয় কে কি বিজয় বলে?প্রশ্ন থাকল পাঠকগণ আপনাদের বিবেকের কাছে।
সভ্য জাপানীদের তিমি শিকার!!
প্রথমে আমরা এই নীল গ্রহের অন্যতম বৃহৎ স্তন্যপায়ী প্রাণীটির এই ভিডিওটা একটু দেখে আসি;
হাম্পব্যাক হোয়েল'স
ধারনা করা হয় যে, বিগত শতাব্দীতে সারা পৃথিবীতে মানুষ প্রায় ৩ মিলিয়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন
রূপকথা নয়, জীবনের গল্প বলো
রূপকথার কাহিনী শুনেছি অনেক,
সেসবে এখন আর কৌতূহল নাই;
জীবন কণ্টকশয্যা- কেড়েছে আবেগ;
ভাই শত্রু, শত্রু এখন আপন ভাই।
ফুলবন জ্বলেপুড়ে হয়ে গেছে ছাই,
সুনীল আকাশে সহসা জমেছে মেঘ-
বৃষ্টি হয়ে নামবে সে; এও টের... ...বাকিটুকু পড়ুন
যে ভ্রমণটি ইতিহাস হয়ে আছে
ঘটনাটি বেশ পুরনো। কোরিয়া থেকে পড়াশুনা শেষ করে দেশে ফিরেছি খুব বেশী দিন হয়নি! আমি অবিবাহিত থেকে উজ্জীবিত (বিবাহিত) হয়েছি সবে, দেশে থিতু হবার চেষ্টা করছি। হঠাৎ মুঠোফোনটা বেশ কিছুক্ষণ... ...বাকিটুকু পড়ুন
আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
প্রথমত বলে দেই, না আমি তার ভক্ত, না ফলোয়ার, না মুরিদ, না হেটার। দেশি ফুড রিভিউয়ারদের ঘোড়ার আন্ডা রিভিউ দেখতে ভাল লাগেনা। তারপরে যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন
মসজিদ না কী মার্কেট!
চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷
আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন