somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বর্তমান সউদী আরবে প্রচলিত ওহাবী ফিরক্বা মূলত ক্ষমতালিপ্সু গোত্র প্রধানদের মত-পথ, যা কখনো হাক্বীক্বী পবিত্র দ্বীন ইসলাম নয়

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৫৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বর্তমান সউদী রাজবংশের পূর্বপুরুষদের তালিকা দেখলে দেখা যায়, প্রথম ও দ্বিতীয় রাজবংশের প্রধানদের ‘ইমাম’ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। অথচ এরা প্রত্যেকেই ছিলো লুটেরা এবং ক্ষমতালিপ্সু। ওহাবী মতবাদ ছিলো তাদের রাজ্য বিস্তারের হাতিয়ার। ‘ইমাম’ আখ্যায়িত ফরয হয় মানুষকে প্রতারিত করার জন্য, যাতে বুঝানো যায় যে, সমগ্র হিজাজে হয়তো প্রথম থেকেই এসব ইমামদের প্রচারিত ওহাবী ইসলাম সেখানে ছিলো। কিন্তু বাস্তবে তা নয়। পবিত্র হিজাজে কখনো ওহাবী মতবাদ ছিলো না, বরং সবসময়ই ওহাবী মতবাদ মুসলমানগণ দ্বারা প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। সুতরাং সউদী আরবের ইসলামকে যারা আদর্শ মনে করে তাদের জানা উচিত ওহাবী মতবাদ কখনোই আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত উনাদের আক্বীদা নয়]
প্রথম মুহম্মদ ইবনে সউদ (১৭২৫-৬৫ ঈসায়ী) দারিয়ায় প্রথম সউদী রাজবংশ প্রতিষ্ঠা করে। ১৭০৮ সালে জন্ম এবং ১৭২৫ থেকে ১৭৬৫ ঈসায়ী সন পর্যন্ত প্রায় চল্লিশ বছর সে শাসন করে। ওহাবী নজদীর সাথে সাক্ষাতের পর সে তার মতাদর্শে উদ্বুদ্ধ হয় এবং তার কন্যাকে বিয়ে করে সম্পর্ক আরো মজবুত করে। আব্দুল ওহাব নজদী যখন তার বদআক্বীদার জন্য তার নিজ শহর উযাইনা থেকে বিতাড়িত হয়, তখন মুহম্মদ ইবনে সউদ তাকে আশ্রয় দেয়। সে ওহাবী আন্দোলনকে ব্যবহার করে রাজনৈতিক আকাঙ্খা চরিতার্থ করার চেষ্টা করে। ১৭৬৫ সালে প্রথম ইবনে সউদ মারা গেলে তার ছেলে আব্দুল আজিজ বিন সউদ ক্ষমতায় বসে। ১৭৬৫ ঈসায়ী থেকে ১৮০৩ ঈসায়ী সাল পর্যন্ত তার শাসনামল। প্রথম আব্দুল আজিজ সেও ওহাবী মতবাদ প্রচারে এবং রাজ্য সম্প্রসারণে চেষ্টা করে। কিন্তু সে সময় পবিত্র মক্কা শরীফ এবং পবিত্র মদীনা শরীফ উনার অধিবাসীগণ ওহাবী মতবাদকে প্রত্যাখ্যান করেন। ১৮০৩ ঈসায়ী সালে একজন শিয়া আততায়ীর হাতে প্রথম আব্দুল আজিজ নিহত হয়।

সউদী ইহুদী সরকার থেকে সাবধান!

১৯৭১ সালের ২৯শে আগস্ট (হিজরী ১৩৯১ সাল) সউদী ইহুদী সরকারের ১৩৭/১ নম্বর রয়াল ডিক্রি অনুযায়ী তাদের উচ্চ পর্যায়ের মাওলানাদের নিয়েএকটি চিরস্থায়ী ফতওয়া কমিটি করা হয়, যার নামকরণ করা হয়, ‘আল-লাজনাহ আদ-দাইমাহ লিল-বুহুছ আল ইলমিয়া ওয়াল ইফতা’। সউদী ইহুদী সরকারের এই ফতওয়া কমিটিকে প্রশ্ন করা হয়েছিল-
هل التصوير بالكاميرا حرام أم لا شيء على فاعله؟
অর্থাৎ “ক্যামেরা দিয়ে ছবি তোলা কি হারাম অথবা না?” সে প্রশ্নের জবাবে তারা যা বলে তা নিম্নরূপ-
نعم، تصوير ذوات الأرواح بالكاميرا وغيرها حرام، وعلى من فعل ذلك أن يتوب إلى الله ويستغفره ويندم على ما حصل منه ولا يعود إليه.
অর্থাৎ “সকল মানুষ এবং অন্যান্য প্রাণী যাদের জীবন আছে তাদের ক্যামেরা বা অন্য কিছু দিয়ে ছবি তোলা হারাম। এবং যারা এরকম ছবি তুলে তাদের অনুতপ্ত হয়ে মহান আল্লাহ পাক উনার কাছে তওবা করা উচিত। তার দ্বারা যা হয়ে গেছে তাতে যেন সে আর ফিরে না যায়।”(ফতওয়ার নম্বর : ৩৫৯২, ভলিউম : ১, পৃষ্ঠা : ৬৭১)
ডিক্রির ধারা অনুযায়ী এই ফতওয়ায় স্বাক্ষর করে কমিটির প্রধান- শেখ আব্দুল আজিজ ইবনে আব্দুল্লাহ বিন বা’য, উপপ্রধান- শেখ আব্দুর রাজ্জাক আফিফি, সদস্য- শেখ আব্দুল্লাহ বিন জুদাইয়ান, সদস্য- শেখ আব্দুল্লাহ বিন কুউদ।
এই ফতওয়া থেকে যে বিষয়টি স্পষ্ট হলো তা হচ্ছে, সউদী সরকার কর্তৃক ওহাবী মাওলানাদের নিয়ে গঠিত সর্বোচ্চ ফতওয়া কমিটির ফতওয়া অনুযায়ী ক্যামেরার সাহায্যে যে কোনো প্রাণীর ছবি তোলা হারাম।
অথচ সউদী ইহুদী সরকার প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরেও আকাশে ইনফ্রারেড ক্যামেরাযুক্ত হেলিকপ্টার আর নিচে আধুনিক ক্যামেরাযুক্ত সিসিটিভি’র মাধ্যমে ক্রমাগত বিশ্বের অগণিত হাজী ছাহেব উনাদের ছবি তুলবে। নাঊযুবিল্লাহ!
পাশাপাশি এ বছরও চাঁদ না দেখে পবিত্র যিলহজ্জ শরীফ মাস শুরু করে পবিত্র হজ্জ মুবারক নষ্ট করার ষড়যন্ত্র চলছে।
তাহলে বর্তমান যামানার মুসলমান উনারা কীভাবে সউদী ইহুদী সরকারকে মুসলমান ভাবতে পারে বা তাদের কুফরীর ফাঁদে পা দিয়ে নিজের ঈমান নষ্ট করতে পারে?


০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুরসি নাশিন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৫


সুলতানি বা মোগল আমলে এদেশে মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল৷ আশরাফ ও আতরাফ৷ একমাত্র আশরাফরাই সুলতান বা মোগলদের সাথে উঠতে বসতে পারতেন৷ এই আশরাফ নির্ধারণ করা হতো উপাধি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আর আদর্শ কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৭

তার বিশেষ কিছু উক্তিঃ

১)বঙ্গবন্ধু বলেছেন, সোনার মানুষ যদি পয়দা করতে পারি আমি দেখে না যেতে পারি, আমার এ দেশ সোনার বাংলা হবেই একদিন ইনশাল্লাহ।
২) স্বাধীনতা বৃথা হয়ে যাবে যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

---অভিনন্দন চট্টগ্রামের বাবর আলী পঞ্চম বাংলাদেশি হিসেবে এভারেস্ট জয়ী---

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ১৯ শে মে, ২০২৪ দুপুর ২:৫৫





পঞ্চম বাংলাদেশি হিসেবে বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট জয় করেছেন বাবর আলী। আজ বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৮টায় এভারেস্টের চূড়ায় ওঠেন তিনি।

রোববার বেসক্যাম্প টিমের বরাতে এ তথ্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

সকাতরে ঐ কাঁদিছে সকলে

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:২৯

সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে, শোনো শোনো পিতা।

কহো কানে কানে, শুনাও প্রাণে প্রাণে মঙ্গলবারতা।।

ক্ষুদ্র আশা নিয়ে রয়েছে বাঁচিয়ে, সদাই ভাবনা।

যা-কিছু পায় হারায়ে যায়,... ...বাকিটুকু পড়ুন

বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!

লিখেছেন নাজনীন১, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:০৯


যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।

কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!

ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×