খুলনার জনসভায় যোগ দিতে ঢাকা ছেড়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
Published : 28 Sep 2013, 05:25 PM
শনিবার বিকালে সড়ক পথে রওনা হওয়া খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানাতে জড়ো হওয়া নেতা-কর্মীদের ভিড়ে গাবতলী এলাকায় ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়।
বিকাল পৌনে ৫টার দিকে গুলশানের বাড়ি থেকে বের হন বিরোধীদলীয় নেতা। রাতে যশোর থাকবেন তিনি।
বিরোধীদলীয় নেতার প্রেসসচিব মারুফ কামাল খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, রোববার বেলা ১২টায় খুলনা রওনা হবে খালেদা জিয়া।
খুলনা সার্কিট হাউজে দুপুরের খাবার খেয়ে সার্কিট হাউজ মাঠে জনসভায় যোগ দেবেন বিএনপি চেয়ারপারসন। রাতে ঢাকায় ফিরবেন তিনি।
নির্দলীয় সরকার পদ্ধতি সংবিধানে পুনঃস্থাপনের দাবিতে জনমত গঠনের অংশ হিসেবে এই মাসের শুরু থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে জনসভায় করছেন খালেদা।
১৮ দলীয় জোটের কর্মসূচি হিসেবে খুলনার জনসভাটি চতুর্থ। এর আগে গত ৮ সেপ্টেম্বর নরসিংদী, ১৫ সেপ্টেম্বর রংপুর এবং ১৬ সেপ্টেম্বর রাজশাহীতে জনসভা করেন বিএনপি চেয়ারপারসন।
ঢাকা থেকে বের হওয়ার পথে শ্যামলী থেকে আমিনবাজার পর্যন্ত সড়কে দুই পাশে দাঁড়িয়ে বিএনপি নেতা-কর্মীরা খালেদা জিয়াকে শুভেচ্ছা জানান।
শ্যামলীতে রফিকুল ইসলাম মিয়া ও সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, গাবতলীতে এস এ খালেক ও মুন্সি বজলুল বাসিত আনজু, আমিনবাজারে আমান উল্লাহ আমান নেতা-কর্মীদের নেতৃত্ব দেন।
এরপর সাভারে সাবেক সংসদ সদস্য দেওয়ান সালাউদ্দিন, ধামরাইয়ের সাবেক সংসদ সদস্য জিয়াউর রহমান খানের নেতৃত্বে নেতা-কর্মীরা সড়কের দুই পাশে অবস্থান নেন। মানিকগঞ্জে নেতৃত্ব দেনহারুনার রশীদ খান মুন্নু, আফরোজা বেগম রীতা ও মইনুল ইসলাম শান্ত।
নানা রঙের ডিজিটাল ব্যানার-ফেস্টুন ও ধানের শীষ হাতে নিয়ে দাঁড়ানো নেতা-কর্মীদের শুভেচ্ছার জবাব গাড়ি থেকে হাত উঁচিয়ে দেন খালেদা জিয়া। ওই গাড়িতে তার সঙ্গে রয়েছেন দলের সহসভাপতি সেলিমা রহমান।
বিএনপি তো-কর্মীদের ভিড়ে শ্যামলী থেকে গাবতলী পর্যন্ত সড়ক এক পর্যায়ে আটকে যায়। ফলে যাত্রীদের এই পথ পেরোতে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি সময় লেগে যায়।
অন্যদিকে সিটি সার্ভিসের অনেক বাস গাবতলী থেকে রাজধানীতে আর না ঢোকায় যাত্রীদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়।