রাজধানীর কিছু এলাকায় থ্রিজি সেবা চালু করেছে মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোন।
Published : 29 Sep 2013, 01:41 PM
রোববার সকালে প্রতিষ্ঠানের প্রধান কার্যালয় জিপি হাউজে আনুষ্ঠানিকভাবে থ্রিজি যাত্রার উদ্বোধন করেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী সাহারা খাতুন।
এ সময় সাহারা খাতুন বলেন, গ্রামীণফোনের থ্রিজি সেবা শুরু করার মাধ্যমে টেলিযোগাযোগ খাতে এক নতুন অধ্যায় শুরু হলো। গ্রামীণফোন দ্রুত সারাদেশে থ্রিজি সেবা পৌঁছে দেবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে টেলিনর গ্রুপের সিইও জন ফ্রেডিক বাকসাস বলেন, থ্রিজি শুরু করার মাধ্যমে বাংলাদেশে একটি নতুন অধ্যায় শুরু হলো। নতুন এই মোবাইল প্রযুক্তির মাধ্যমে গ্রাহকরা নতুন নতুন সেবা উপভোগ করতে পারবেন।
গ্রামীণফোনের সিইও বিবেক সুদ বলেন, অক্টোবরের মধ্যে ঢাকা ও চট্রগ্রামে থ্রিজি সেবা শুরু করা হবে। এ বছরের মধ্যে সব বিভাগীয় শহরে এবং আগামী বছরের প্রথম প্রান্তিকে ৬৪টি জেলায় থ্রিজি প্রযুক্তি পৌঁছে দেয়া হবে।
অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব আবু বকর সিদ্দিক, নরওয়ের রাষ্ট্রদূত রাগনে বিরটে লান্ড, বিটিআরসি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদসহ গ্রামীণফোনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
গ্রামীণফোনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা ও আশেপাশের এলাকার গ্রাহকরা থ্রিজি সেবা পাবেন। বর্তমানে এই নেটওয়ার্ক গ্রামীণফোন কর্মী এবং কিছু নির্বাচিত গ্রাহক ব্যবহার করতে পারবেন।
ইতোমধ্যে মোবাইল ফোন অপারেটর রবি ঢাকা ও চট্রগ্রামে তাদের পরীক্ষামূলক থ্রিজি চালু করেছে।
নিলামে ওঠা দামের প্রথম কিস্তি পরিশোধ করে তৃতীয় প্রজন্মের মোবাইল ফোন সেবা দেয়ার লাইসেন্স পায় চার বেসরকারি মোবাইল অপারেটর গ্রামীণ ফোন, রবি ও এয়ারটেল ও বাংলালিংক।
গত ৮ সেপ্টেম্বর দেশে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত থ্রিজি তরঙ্গের নিলামে অংশ নিয়ে গ্রামীণ ফোন ১০ মেগাহার্টজ এবং বাংলা লিংক, রবি ও এয়ারটেল পাঁচ মেগাহার্টজ করে তরঙ্গ কেনে।
বেসরকারি এর চার অপারেটর জানিয়েছে, গ্রাহকরা তাদের পুরনো সিমের প্যাকেজ বদলালেই এ সেবা পাবেন।