বাহ মানবী বেশ .........
কয়েছ আহমদ বকুল
মেয়েরা জন্মায় শুধু সন্তান জন্ম দিতে
অথবা স্বামীর মনোরঞ্জন-
ভাই বাবার আজ্ঞাবহ পুতুল
সমাজ সংসার আগলে রাখার অলিখিত রীতি
বাসন কুসন ছাঁই চুম্বন
শরীরের বাঁধন খুলে স্বেচ্চাচারী হিংস্র রাতের শোভা,
আইয়েমে জাহেলিয়া যুগের তথাকথিত তস্কর নিয়ম
অমানবিক মোহাবিষ্ট বিষ্টা প্রথা
একবিংশ শতাব্দীতে কোথাও এখনো বর্তমান
স্বার্থমত্ত মানুষ গুলো এখনো এভাবে ভাসায়
প্রিয়তম আত্মাত আপন কিছু জলে-
তুমিও আবদ্ধ ছিলে তেমনই প্রচীর পুরে এক,
তোমার ইসপিস মগ্ন মননে ছিলো সৃজন ক্ষমতা
তোমার মগজে ছিলো আগল ভাঙ্গার সুপ্ত অনুরণন
তুমি স্বাভাবিক হার মানা নারী না ভেবে নিজেকে
ভেবেছিলে মানুষ তুমি
খুঁজেছিলে আত্মার অনিন্দে জমে থাকা ইচ্ছার সোপান
অথচ তোমাকেও ভাসানো হয়েছিলো
মানহীন মানবেতর স্রোতে
তোমার চোখের স্বপ্নিল ঔজ্জল্যকে ছাপিয়ে
মুছে দিয়ে মানবিক পরিচয়
তোমাকেও মেনে নিতে বাধ্য করা হচ্ছিল
সৌখিন স্বজন অভিলাষ,
নিঃশেষিত হতে হতে
নিবিয়ে দিতে দিতে আশা দীপ
তুমি দপ করে জ্বলে ওটা বাতী-
আঁধার রাত্রী মাঝে অমানিশা ভেঙ্গে খুঁজো জীবনের রেষ
বাহ মানবী বেশ
তোমার নতুন আশা স্বপ্নে আশিষ অনিমেষ।