somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের ভায়েরা ,বুখারী সাহেবের এই হাদিসটি সম্পর্কে কি বলবেন?

০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

জাবের (রা) বর্ণনা করেছেন, এক সময় রাছুলুল্লাহ (সা) এক দল সৈন্যকে কোরায়েশদের এক দল বণিকের পশ্চাদ্ভাবন করার জন্য সমুদ্র তীরবর্তী রাস্তায় পাঠালেন এবং আবু ওবায়দাকে (রা) আমীর বা প্রধান কর্তারূপে নিযুক্ত করে দিলেন। সৈন্য দলের সংখ্যা তিন শত ছিল এবং আমিও তাহাদের মধ্যে একজন ছিলাম। পথিমধ্যেই আমাদের খাদ্য ঘাটতি দেখা দিল। তখন আমাদের আমীর আবু ওবায়দা (রা) আদেশ করলেন, প্রত্যেকের নিকট যা কিছু খাদ্য বস্তু আছে সব একত্র করা হোক। তাই করা হল এবং দুই বস্তা খেজুর মওজুদ হল। অতঃপর তিনি স্বয়ং প্রতিদিন অল্প অল্প করে খাদ্য আমাদিগকে বন্টন করে দিতে লাগলেন। এতদ্সত্ত্বেও তা প্রায় নিঃশেষ হয়ে আসল, এমনকি আমরা মাথাপিছু মাত্র একটি খুরমা পাচ্ছিলাম। ঘটনা বর্ণনাকারী জাবেরকে (রা) এক ব্যক্তি জিজ্ঞাসা করলো, মাত্র একটি খুরমায় একটি লোকের কি হ’ত? জাবের (রা) বললেন, যখন ঐ একটি হ’তেও বঞ্চিত থাকতে হ’ল তখন ঐ একটিরই মূল্য বোধ হ’ল। ইতিমধ্যেই আমরা সমুদ্রের নিকটে পৌঁছে সমুদ্র তীরের অদূরে একটি বিরাট বালুচরের ন্যায় দেখলাম। আমরা উহার নিকট উপস্থিত হয়ে দেখতে পেলাম, উহা একটি বিরাটকায় মৎস; যাহার নাম “আম্বর।” প্রথমে আমাদের আমীর উহাকে একটি মৃত জীব বলে খেতে ইতস্তত করলেন। অতঃপর তিনি আমাদিগকে বললেন, ইহা খেতে দ্বিধাবোধ করার কারন নেই, যেহেতু আমরা রাছুলুল্লাহ'র (সা) প্রেরিত লোক এবং আল্লাহর রাস্তায় বের হয়েছি। এতদ্ভিন্ন তোমরা সকলেই খাদ্যাভাবে অতিশয় কাতর হয়ে পড়েছো, তাই তোমরা ইহা খেতে পার। সেখানে আমাদের দীর্ঘ এক মাসকাল অবস্থান করতে হ’ল। আমরা তিন শত সৈনিক দীর্ঘকাল পর্যন্ত ঐ মৎসটিই খেতেছিলাম, এমনকি ঐ মৎস খাওয়ার ফলে আমাদের শরীর মোটা-তাজা হয়ে গেল। আমরা উহার চোখের গর্ত থেকে সূর্য তাপে গলিত তৈল কলস ভরে ভরে উঠাতাম এবং এত এত কলস উঠিয়ে ছিলাম। একদা আমাদের সেনাপতি আমীর আবু ওবায়দা (রা) আমাদের মধ্য থেকে ১৩ জন লোককে ১৩টি কলসসহ উহার চোখের গর্তের মধ্যে নামিয়ে দিলেন। অন্য একদিন তিনি উহার একটি পাঁজরের কাঁটা উঠিয়ে ধরলেন এবং আমাদের মধ্য থেকে সর্বাধিক দীর্ঘকায় ব্যক্তিকে সর্বাধিক উঁচু একটি উটের উপর আরোহণ করিয়ে ঐ কাঁটার তলদেশ দিয়ে যাতায়াত করালেন, তাহাতে কাঁটাটির বাঁক তাহার মাথা স্পর্শ করল না। অতঃপর আমরা তথা হ’তে প্রত্যাবর্তনের প্রস্তুতি করলাম এবং সঙ্গে ঐ মৎস্যের কিছু খন্ড নিলাম। মদীনায় এসে আমরা রাছুলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহে অসাল্লামের নিকট পূর্ণ ঘটনা বললাম। তিনি বললেন, উহা আল্লাহ তা’আলার পক্ষ থেকে তোমাদের জন্য একটি বিশেষ রিযিক ও খাদ্য সামগ্রী ছিল। তোমাদের নিকট উহার কোন অংশ থাকলে আমাকেও খেতে দাও। আমরা কিছু অংশ তাঁহার জন্য পাঠিয়ে দিলাম, তিনি উহা খেলেন (মাছ যত বড়ই হোক, মরা হলেও উহা হালাল)। [ দ্র: বোখারী; ৩য় খ. ৮ম সংস্করণ, পৃ: ১, শায়খ আজিজুল হক]।
২টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সভ্য জাপানীদের তিমি শিকার!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৫

~ স্পার্ম হোয়েল
প্রথমে আমরা এই নীল গ্রহের অন্যতম বৃহৎ স্তন্যপায়ী প্রাণীটির এই ভিডিওটা একটু দেখে আসি;
হাম্পব্যাক হোয়েল'স
ধারনা করা হয় যে, বিগত শতাব্দীতে সারা পৃথিবীতে মানুষ প্রায় ৩ মিলিয়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

রূপকথা নয়, জীবনের গল্প বলো

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৩২


রূপকথার কাহিনী শুনেছি অনেক,
সেসবে এখন আর কৌতূহল নাই;
জীবন কণ্টকশয্যা- কেড়েছে আবেগ;
ভাই শত্রু, শত্রু এখন আপন ভাই।
ফুলবন জ্বলেপুড়ে হয়ে গেছে ছাই,
সুনীল আকাশে সহসা জমেছে মেঘ-
বৃষ্টি হয়ে নামবে সে; এও টের... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে ভ্রমণটি ইতিহাস হয়ে আছে

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১:০৮

ঘটনাটি বেশ পুরনো। কোরিয়া থেকে পড়াশুনা শেষ করে দেশে ফিরেছি খুব বেশী দিন হয়নি! আমি অবিবাহিত থেকে উজ্জীবিত (বিবাহিত) হয়েছি সবে, দেশে থিতু হবার চেষ্টা করছি। হঠাৎ মুঠোফোনটা বেশ কিছুক্ষণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৮ ই মে, ২০২৪ ভোর ৬:২৬

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
প্রথমত বলে দেই, না আমি তার ভক্ত, না ফলোয়ার, না মুরিদ, না হেটার। দেশি ফুড রিভিউয়ারদের ঘোড়ার আন্ডা রিভিউ দেখতে ভাল লাগেনা। তারপরে যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

×