somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

জাতীয় অভিবাবক পরিষদ - ধারনা হিসেবে কি আপনি পছন্দ করেন?

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বদরুদ্দিন উমরের -আত্মঘাতি বাঙালী!!

শুধু এটাই মনে পড়ছে রাজনীতিবিদ, আমলা, সুশীল সমাজ, আইন, বিচার, প্রশাসন, মিডিয়া, সকলের-কাজকাম দেখে!!!!

কারো কাছে কেউ দায়হীন না হলে কি এমনই হয়???

সরকারের মোসাহেবী কমন জিনিষ। ব্যক্তিত্ব, মেধা এবং আত্ম মর্যাদাহীনরা এটা যুগে যুগে করে আসছে ব্যক্তিগত লোভ, লালসা আর অর্থনৈতিক লোভে। কিন্তু সেটা যখন প্রতিযোগীতার আইটেম হয়ে পড়ে- তখন জাতি হিসেবে শংকিত হতে হয়।

একজন মন্ত্রীকে যখন ভিন্নমতের কারণে মন্ত্রনালয় ছাড়তে হয়- তা চিন্তার বৈকি!
একজন এমপিকে যখন প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীর হাতে নিমর্ম ভাবে দিনদুপুরে আহত হতে হয়- তখন পুরা জাতি আতংকিত হয়ে পড়ে।

একজন এমপিকে যখন ভিন্নমত লেখার কারণে কারাগারে যেতে হয়-তখন সুবচন নির্বাসনে না গিয়ে উপায় কি?

এই সব কিছূই কি একক সংখ্যাগরিষ্টার ফলে?

বিরোধী দলে যে ব্যালেন্স অব পাওযারে থাকার কথা তা থেকে ছিটকে পড়ে.. তখন সরকার প্রচন্ড রকম একমূখি হয়ে পড়ে। রাষ্্রট বিজ্ঞানের ভাষায় এই জাতীয় সরকারের দোষ গুন পাতার পর পাতা লেখা যাবে। কিন্তু বাস্তবতা হলো- নেতিবাচক।

কর্ম, বক্তৃতা, আচরন পরিচালনা সকল ক্ষেত্রে আমজনতা নেতিবাচকতায় হাপিয়ে উঠেছে; কিন্তু নিরুপায়!!!
এইরকম অচলাবস্থা যাতে না হয় তারজন্যই রাষ্ট্রের ৩ টি মৌলিক কাঠামো ছিল ব্যালেন্স অব পাওয়ার হিসেবে।
আইন প্রণেতারা সীশা অতিক্রম করলে প্রশাসন, এবং বিচার স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে সক্ষম ছিল।
কিন্তু দুঃখজনক হলো এবার সব যেন ভেঙ্গেচূড়ে একাকার হয়ে গেছে।

সুশীল সমাজ বা ব্যবসায়ী সমাজ যাওবা ক্ষমতা ধারন করে, তারাও যেন স্রেফ স্বার্থমূখীতা আর প্রতিশ্রতির আড়ালে নৈতিকতা আর বিবেককে বন্ধক রেখেছে!!!

আমজনতা এখন মূহাশূন্যে নিপতিত। তাদের কারো কাছে যাবার আর আ্শ্রয় রইল না! এইরকম অবস্থা থেকে পরিত্রান পেতে
আমাদের একটা জাতীয় অভিভাবক পরিষদ দরকার। ব্লগার রা কি বলেন?

যারা ব্যালেন্স অভ পাওয়ার হিসেবে থাকবে।

আইন, বিচার, প্রশাসন, সামরিক বাহিনী সুমীল সমাজ, ব্যবসায়ী সকলের মাঝে দাড়িপাল্লার মতো- নিয়ন্ত্রনের ভূমিকা পালনকারী একটা গ্রুপ দরকার।

বৃটেনে যেমন রাণী বা রাজপরিবার এ ভূমকাটা পালন করে্

আম্রিকায় তাদের ডেভেলপড সিস্টেমেই সেই নিয়ন্ত্রন প্রতিষ্ঠিত, আন্ডার গ্রাউন্ডে (ফ্রি ম্যাসন থাক বা অন্যকিছু যাই শুনি না কেন ;) )

ইরানে আছে সর্বোচ্চ আধ্বাতিক নেতা এবং তার প‌্যানেল!!

আমাদের দেশেও সর্বদলীয়, সর্বজনকতৃক নির্বাচিত ১০১ জন বা সংসদীয় আসন অানুপাতিক হিসেবে ৩:১ এই হারে থাকতে পারে।
যারা ৩ বছর অন্তর অন্তর অভ্যন্তরীন নির্বাচনের মাধ্যমে তাদের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব নির্ভাচিত করবেন। এভং পুরা জাতিকে স্রেফ দেশ এবং দেশের স্বার্থের প্রতি লক্ষ্য রেখে পরিচালনা করতে সহযোগীতা করবেন।

তবে বোধকরি আজকে মতো একক সংখ্যাগরিষ্ঠাতায়ও জাতি স্বেচ্ছাচার থেকে মুক্ত থাকতে পারবে-এবং আমজনতার একটা যাবার, বলার জায়গা থাকবে। সেই জন্যই এই পাওয়ার ব্যালেন্স বীমটা খুব দরকার!!!

আপনার সমৃদ্ধ মতামত দিয়ে ধারনাটা যৌক্তিক বা প্রয়োজনীয় কিনা প্রকাশ করুন। অসহায়, অন্ধের খুড়কুটো আকড়ে ধরার মতোই মনে হল আমাদের মুক্তির একটা পথ ভীষন দরকার।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:২৯
৯টি মন্তব্য ১১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্বর্গের নন্দনকাননের শ্বেতশুভ্র ফুল কুর্চি

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ২২ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৫:১৭


কুর্চি
অন্যান্য ও আঞ্চলিক নাম : কুরচি, কুড়চী, কূটজ, কোটী, ইন্দ্রযব, ইন্দ্রজৌ, বৎসক, বৃক্ষক, কলিঙ্গ, প্রাবৃষ্য, শক্রিভুরুহ, শত্রুপাদপ, সংগ্রাহী, পান্ডুরদ্রুম, মহাগন্ধ, মল্লিকাপুষ্প, গিরিমল্লিকা।
Common Name : Bitter Oleander, Easter Tree, Connessi Bark,... ...বাকিটুকু পড়ুন

সচলের (সচলায়তন ব্লগ ) অচল হয়ে যাওয়াটই স্বাভাবিক

লিখেছেন সোনাগাজী, ২২ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৫:২৬



যেকোন ব্লগ বন্ধ হয়ে যাওয়ার খবর, একটি ভয়ংকর খারাপ খবর; ইহা দেশের লেখকদের অদক্ষতা, অপ্রয়োজনীয় ও নীচু মানের লেখার সরাসরি প্রমাণ।

সচল নাকি অচল হয়ে গেছে; এতে সামুর... ...বাকিটুকু পড়ুন

হরিপ্রভা তাকেদা! প্রায় ভুলে যাওয়া এক অভিযাত্রীর নাম।

লিখেছেন মনিরা সুলতানা, ২২ শে মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৩


১৯৪৩ সাল, চলছে মানব সভ্যতার ইতিহাসের ভয়াবহ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। টোকিও শহর নিস্তব্ধ। যে কোন সময়ে বিমান আক্রমনের সাইরেন, বোমা হামলা। তার মাঝে মাথায় হেলমেট সহ এক বাঙালী... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছেলেবেলার বন্ধু ও ব্যবসায়িক পার্টনারই মেরেছে এমপি আনারকে।

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ২২ শে মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


ঝিনাইদহ-৪ আসনের সরকারদলীয় এমপি আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী ছিল তারই ছোটবেলার বন্ধু ও ব্যবসায়িক পার্টনার আক্তারুজ্জামান শাহীন!

এই হত্যার পরিকল্পনা করে তা বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল আরেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

টাকা ভাংতি করার মেশিন দরকার

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ২৩ শে মে, ২০২৪ সকাল ৯:১০

চলুন আজকে একটা সমস্যার কথা বলি৷ একটা সময় মানুষের মধ্যে আন্তরিকতা ছিল৷ চাইলেই টাকা ভাংতি পাওয়া যেতো৷ এখন কেউ টাকা ভাংতি দিতে চায়না৷ কারো হাতে অনেক খুচরা টাকা দেখছেন৷ তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×